বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স সম্পর্কে তাদেরই খুব ভালোভাবে জানার দরকার যারা কিনা আইনজীবী হতে ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন। কারণ যে কোন চাকরির ক্ষেত্রে অথবা কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য অবশ্যই একটি বয়সের সীমারেখা রয়েছে। যা অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবী অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বয়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এবং সেটি সংশোধনের জন্য হাইকোর্ট আবার নির্দেশ ও দিয়েছেন। তাই আপনি যদি একজন আইনজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। 
বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স
তাই অনুরোধ থাকবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করার জন্য। আমরা আজকে বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিব। আরো এ আর্টিকেলে যে বিষয়গুলো জানতে পারবো সেগুলো হল আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা, সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা, উকিল হতে গেলে কি বিষয় নিয়ে পড়তে হয় এবং উকিল হওয়ার যোগ্যতা, বার কাউন্সিল পরীক্ষার যোগ্যতা ও বয়স সহ আরো অনেক বিষয় আমরা বিস্তারিত ভাবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজকে জানতে পারব। তাই আপনি যদি বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

সাধারণত আমরা আইনজীবী বলতে “উকিল” কে বোঝাই। কিন্তু বইয়ের পরিভাষা অনুযায়ী “একজন আইনজীবী হলেন একজন ব্যক্তি যিনি কিনা আইন অনুশীলন করে থাকেন এবং বিভিন্ন আইনি এখতিয়ার অনুযায়ী আইনজীবীর ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে সেগুলো নির্ধারণ এবং পরিবর্তন করে থাকেন। আইনজীবীকে ব্যারিস্টার, এডভোকেট, আইন নির্বাহী, সিভিল নোটারি, ক্যানন আইনজীবী, অ্যাটর্নি এবং সরকারি কর্মচারী হিসেবে অভিভুক্ত করা যেতে পারে। একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করার জন্য সাধারণত বিমুর্ত আইনি তত্ত্বের ব্যবহার এবং 

প্রয়োগ পাশাপাশি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট জ্ঞান লাভ করতে হয়। এটি এমন একটি পেশা যেখানে তার নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠা আন্তরিকতা এবং সফল প্রচেষ্টা ছাড়া কোনভাবেই সামনে অগ্রসর করা সম্ভব নয়। একজন জাজকে সঠিক বিচারের জন্য সাহায্য করার ক্ষেত্রে একজন আইনজীবীর ভূমিকা অপরিহার্য। জে এস যাদব বনাম মোস্তফা হাজী মুহাম্মদ ইউসুফ (এ আই আর ১৯৯৩, এসসি ১৫৩৫) আইনি পেশা একটি মহৎ পেশা বলে তিনি অভিহিত করে গেছেন।

আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা

আমরা বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে আসুন প্রথমে আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা গুলো কি কি সে সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিই। আমরা যখন কোনরকম মামলা-মোকদ্দমায় পড়ে যাই তখন আমাদের আইনজীবীর নিকট যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আর একজন অভিজ্ঞ এবং ভালো আইনজীবী আমাদেরকে সঠিক পথ অনুসরণের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পেতে সাহায্য করেন। আইন প্রণয়ের জন্য আবার জনগণের সঠিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব সময় তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ। 

যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর অন্যায় অত্যাচার হয় সেক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়া অথবা পাওয়ার লক্ষ্যে আইনজীবীরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং এটাই তাদের মূল দায়িত্ব। “Collins English Dictionary” অনুযায়ী “একজন আইনজীবী এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি কিনা সমাজের লোকদের আইন সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি আদালতে তাদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য যোগ্যতা রাখেন। এরকম একটা মহৎ পেশা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স আসলে কত হওয়া উচিত। 
এটি নিয়ে সংশোধনের জন্য হাইকোর্ট পর্যন্ত নির্দেশ দিয়েছে। একজন পরিপূর্ণ আইনজীবী হওয়ার জন্য The Bangladesh Legal Practitioners And Bar Council Orders, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদে আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বিশদভাবে বলা হয়েছে ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন ব্যক্তি কিভাবে অ্যাডভোকেটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। নিচে সেগুলো বর্ণনা করা হলো।
  • অবশ্যই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে।
  • বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স হিসেবে প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে।
  • নিচের পাঁচটি উপায়ে ডিগ্রী অর্জন থাকতে হবে।
  • বাংলাদেশের মধ্যে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রী অর্জন।
  • ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পূর্বে পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয়ে ডিগ্রী অর্জন।
  • ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট এর পূর্বে The Government of India Act ১৯৩৫ (৪) এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ভারতের সীমানার যেকোনো এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয়ে ডিগ্রী অর্জন।
  • বার কাউন্সিল হতে স্বীকৃত বাংলাদেশের বাইরের দেশের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন এমনকি ব্যারিস্টারি পাশ করলে।
বার কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত আইনজীবী নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে আইনজীবী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া সম্ভব। উপরে বর্ণিত সবগুলো যোগ্যতা যদি কারো থাকে তাহলে সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করতে পারবে।

বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স

যদিও আমরা উপরে বর্ণিত আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা অনুচ্ছেদে কত বয়স প্রয়োজন সে সম্পর্কে জেনেছি। আইনজীবীদের পেশা এমন একটি পেশা যেখানে সব সময় তারা বিভিন্ন রকম ব্যস্ততা এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ ও প্রচারের জন্য বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তির সাথে কাজ করে থাকেন। তারা সমাজ থেকে অপরাধ তুলে দিতে অভ্যন্তরীণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। পাশাপাশি সমাজে যাদের উপর অন্যায় অবিচার হচ্ছে তাদের পক্ষে ন্যায় বিচারের জন্য লড়ে থাকেন। এমন একটি মহৎ পেশা সবাই অবলোকন করতে চায়। কিন্তু অনেক সময় বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স এর 

তারতম্যের কারণে উক্ত ব্যক্তি এই কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে না। হাইকোর্ট থেকে এটা সিদ্ধান্ত এসেছে যে একজন ইন্টার্ন আইনজীবী তার ইন্টিমেশন ফর্ম এর শুরুতেই ঘোষণা দিতে হয় যে সে “অন্য কোন পেশায় নিয়োজিত নেই”। আবার বার কাউন্সিল আইনের ২৭(১) বিধানে বলা হয়েছে অ্যাডভোকেট অর্থাৎ আইনজীবী হওয়ার জন্য কমপক্ষে ২১ বছর বয়স হতে হবে। কিন্তু তারা উল্লেখ করেনি যে আইনজীবী এর শেষ বয়স সীমা কত। অর্থাৎ কত বয়স পর আর কোন ব্যক্তি আইনজীবী হতে পারবেন না কিংবা তার নাম এডভোকেট ভুক্ত করা যাবে না। 

কিন্তু পরবর্তীতে এসে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ এটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ৪০ বছরের পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আর কোন আইনজীবী হিসেবে সনদ গ্রহণ করতে পারবেন না। যেহেতু এ বিষয়ে পূর্বে কোন বয়স সীমা নির্ধারণ করা নেই তাই অনেকে অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকার পরেও বার কাউন্সিলের ইন্টিমেশন ফর্মে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে দেয়। যেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। উদাহরণস্বরূপ ১৯৮৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সৈয়দপুর মহিলা কলেজে প্রভাষক ক্ষিতীশ চন্দ্র রায় কিন্তু পরবর্তীতে সে ২০১০ সালের ১৫ই ডিসেম্বরে এসে নীলফামারী জেলার আইনজীবী হিসেবে যোগদান 
করেন। এবং তিনি অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্ত হয়ে যান। বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকলেও কোন বয়সসীমা সেই সময় না থাকা একটি হাতিয়ার হিসেবে অনেকে কাজে লাগিয়েছে। এই অনিয়ম গুলো আসলে কিভাবে হয়েছে সেটি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরবর্তীতে খতিয়ে দেখেছে। এবং তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের মাধ্যমে বয়স সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের এবং হাইকোর্টের আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হওয়ার জন্য এ সকল যোগ্যতা প্রয়োজন সে সম্পর্কে আমরা উপরে মোটামুটি ধারণা পেয়েছি। একজন আইনজীবী হওয়ার জন্য অবশ্যই তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। পাশাপাশি তাকে আইন বিষয়ে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। যেহেতু আইন পেশা একটি মহৎ পেশা অনেকেই তাদের কর্মজীবন আইন পেশা হিসেবে বেছে নিতে চায়। কেননা আইনজীবীরা আইনের শাসনের বিষয়বস্তুকে সমর্থন পরে পাশাপাশি দুর্নীতি ও অপব্যবহার থেকে সমাজকে রক্ষা করে। তারা নিশ্চিত করে যে আইন সমভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে কিনা। 

এবং সকলের জন্য সেটা সমতুল্য বজায় রাখছে কিনা। সেটা তারা সবসময় রক্ষা করার চেষ্টা করে। যদিও পূর্বে বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স ২১ বছর নির্ধারণ করা ছিল কিন্তু কত বছর বয়স পর্যন্ত আইনজীবী হওয়া যাবে সেটি নির্ধারণ করা ছিল না। বর্তমানে সেটি এখন নির্ধারণ করা হয়েছে এবং একজন ব্যক্তি ৪০ বছর বয়সের পর সে আর কোন অ্যাডভোকেটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না। আইনজীবী পেশা গ্রহণ করার জন্য একজন ব্যক্তিকে যেমন কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রী অর্জন করতে হয়। আবার বার কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। 

পাশাপাশি নিম্ন আদালতে তাকে দুই বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে উত্তীর্ণ হতে হবে। এবং সে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করতে পারে। আর এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণের মাধ্যমে সে হাইকোর্টের প্র্যাকটিস করার লাইসেন্স লাভ করে। আবার অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে হাইকোর্টে উকিল হওয়ার যোগ্যতা গুলো কি কি। সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হওয়ার দরুন সে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়। 

আবার কেউ যদি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেয় এবং সেখানে উত্তীর্ণ হয় তাহলে সে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করতে পারবে। পূর্বে হাইকোর্টের সনদের পরীক্ষার জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সিস্টেম চালু ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেটির সঙ্গে MCQ পরীক্ষা যুক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫০ নম্বর তুলতে হবে। পাশাপাশি কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। যেমন বৈধ রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত কপি, শিক্ষা সনদ, বার কাউন্সিল সনদ, আইনজীবী সমিতিতে যোগদানের তারিখ ও সদস্য সনদ, পাঁচটি দেওয়ানি, 

দশটি রিট ও ফৌজদারী মামলার তালিকা, চার কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি সত্যায়িত করা। তবে হাইকোর্টে আইনজীবী নিযুক্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স সম্পর্কে এমন কিছু বলা নেই। সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর সে যদি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাহলে সে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হবে।

বার কাউন্সিল পরীক্ষার যোগ্যতা বয়স

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইন ২৭(১) অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাবে বলা রয়েছে যে অ্যাডভোকেট অর্থাৎ আইনজীবী অভিভূক্ত হওয়ার জন্য কমপক্ষে ২১ বছর বয়স পূর্ণ হতে হবে। কিন্তু সেই সময় কত বছর বয়সের পর আর আইনজীবী হওয়া যাবে না সে বিষয়ে কোন নির্ধারণ ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে এসে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এটা বাস্তবায়ন করেছেন যে ৪০ বছরের পর আর কোন ব্যক্তি এডভোকেটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। অর্থাৎ এ নির্ধারিত বয়সের পর যদি কেউ অ্যাডভোকেট হতে চান তাহলে বার কাউন্সিল তাকে কোনরকম সনদ দেবে না। তাই ৪০ বছর বয়সের পর সে আর বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

সরকারি উকিল হওয়ার উপায়

আইনজীবী হওয়ার জন্য যে যোগ্যতাগুলো থাকা প্রয়োজন সেগুলো আমরা উপরে বর্ণনা করেছি। এখন কেউ যদি সরকারি উকিল হতে চায় সেজন্য তাকে কি করা উচিত। অবশ্যই প্রথমে তাকে তার স্নাতক ডিগ্রী অর্থাৎ আইন বিষয়ক ডিগ্রি বাংলাদেশের স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয় অর্জন করতে হবে। এরপর তাকে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। সাধারণত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন ব্যক্তি যদি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে তাহলে তার বয়স ২১ বছর এর অধিক হয়ে যায়। তাহলে তার আর বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স নিয়ে আর কোন চিন্তা থাকে না। 
ডিগ্রী লাভ করার পর তাকে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয় এবং অবশ্যই উত্তীর্ণ হতে হয়। একজন আইনজীবী হওয়ার জন্য অবশ্যই ৬ থেকে ৭ বছর সময় প্রয়োজন। বার কাউন্সিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সে একজন লাইসেন্স প্রাপ্ত উকিল হয়ে যায়। তবে এখন তাকে বিভিন্নভাবে আইনি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে এবং সে যদি আরও ভালোভাবে তার আইন বিষয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের তালিকাভুক্ত হওয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট শাখায় আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হতে পারবে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আজকের এই আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আশাকরি যদি কারো মনে আইনজীবী হওয়ার ইচ্ছা প্রয়াস হয়ে থাকে এবং বাংলাদেশে আইনজীবী হওয়ার নূন্যতম বয়স সম্পর্কে পূর্বে জানা না থাকে তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলের তথ্যগুলো তার অবশ্যই অনেক কাজে আসবে। আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করার জন্য। আমাদের এই আর্টিকেলের সব তথ্যগুলো একজন সরকারি আইনজীবীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ অথবা পরিচিত কোন আইনজীবীর সাথে আলাপ করে আরও বিশদ জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। 

তারপরেও যদি এই সম্পর্কে আপনাদের কোন প্রশ্ন বা মতবাদ থাকে তাহলে আমাদের দেয়া মন্তব্য বক্সে আপনার মন্তব্যটি করতে পারেন। আমরা সবসময়ই আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আর আপনি যদি তথ্য বহুল সব বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং অন্যকে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানানোর জন্য আমাদের এই আর্টিকেল বা পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url