১০০% ইউনিক শ্রমের মর্যাদা রচনা ১৫ পয়েন্ট

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আপনাদের কাছে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে সেটি শ্রমের মর্যাদা রচনা ১৫ পয়েন্ট নিয়ে। বিভিন্ন রকম পরীক্ষাতে এই রচনাটি এসে থাকে যার কারণে আমরা শ্রমের মর্যাদা রচনা ১৫ পয়েন্ট নিয়ে একটি রচনা তৈরি করলাম। তো চলুন বন্ধুরা আমরা জেনে নেই ইউনিক শ্রমের মর্যাদা রচনা ১৫ পয়েন্ট ।
শ্রমের মর্যাদা রচনা ১৫ পয়েন্ট
বন্ধুরা শ্রমের মর্যাদা একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা। যে রচনা সকল পরীক্ষাতে প্রায় এসে থাকে কিন্তু এটি লিখতে গেলে আমাদের অনেক সময় অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয় তো এরকম ধরনের সকল বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য আমাদের এই রচনাটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনারা সকলে রচনার বিষয়বস্তু বুঝতে পারবে।
পোস্ট সূচিপত্র

শ্রমের মর্যাদা রচনা

শ্রমের মর্যাদা রচনা : প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী ভাই ও বোনেরা আপনারা অনেকেই শ্রমের মর্যাদা রচনাটি পরীক্ষায় আসলে না লিখেই অন্য কোন রচনার দিকে ছুটে চলে যান। যার কারণে অনেক ছাত্রছাত্রীর সুবিধার জন্য শ্রমের মর্যাদা রচনাটি ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আসলাম আমি আশা করি আপনাদের এই রচনাটি অনেক কাজে আসবে মানব জীবনে গুরুত্ব যেভাবে রয়েছে ঠিক সেভাবেই রচনাটি লিখা যেতে পারে তো চলুন বন্ধুরা আমরা আমরা শ্রমের মর্যাদা রচনাটি ১৫ পয়েন্ট জেনে আসি।

ভূমিকা-শ্রমের মর্যাদা রচনা ১৫ পয়েন্ট

মানব জীবনে সাফল্যের চাবিকাঠি এক অলৌকিক বিষয় হলো শ্রম। যে মানুষ অতিরিক্ত শ্রম দেন সে অবশ্যই জীবনে অনেক কিছু করতে পারে। এবং এই শ্রমে রয়েছে শান্তি যে যত বেশি শ্রম দিতে সক্ষম হবে সে তত উন্নত দিকে এগিয়ে যাবে। আদিম যুগের মানুষের ব্যক্তিগত কোন কিছু না থাকা তাদের অতিরিক্ত শ্রম দ্বারা আদি যুগের নারী পাথর দিয়ে ।

মানুষকে সমর জন্য সাহায্য করার মতো হাতিয়ার ছিল নুড়ি পাথর । আদিম মানুষেরা যুগ যুগ ধরে শ্রম দিয়ে অনেক কাল ধরে একটু একটু করে গড়ে তুলেছে একটি বিরাট সভ্যতার সহজ। এখানেও তারা এসব কিছু করতে পেরেছে শ্রমের জন্যই। এবং এই শ্রমের জন্যই মানুষ পশু জগৎ থেকে পৃথক হয়েছে। মানুষের শ্রমের অবদানের পিছনে বা অতিরিক্ত শ্রমের কারণে এখনকার আধুনিক সকল প্রকার যন্ত্র, সহস্রক্ষ ছবি আঁকা ।

এবং অপরূপ সুরের ঝংকার তোলা পেছনে এই ইসলামের অবদান। তবে আমাদের বিশ্বের সকল আধুনিকতার পিছনে রয়েছে আধুনিক বা প্রাচীন মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম।অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় যে একজন পরিশ্রমী মুচি অলস পন্ডিতের চেয়ে ভালো।

ঐতিহাসিক পটভূমি

মানুষের অতিরিক্ত শ্রম এর মাধ্যমে গড়ে ওঠা হাজারো আধুনিকতা মানবসভ্যতা। কিন্তু কোন মানুষের শ্রমের প্রতি সব সময় একই মনোভাব ছিল না। সেই প্রাচীন সমাজের শ্রমের মূল ছিল যৌথ যৌথভাবে সকলের শ্রম দিত। শ্রেণীভেদে আস্তে আস্তে দেখা দিলে শ্রবণ মর্যাদা হারাতে থাকে সমাজে। তবে আগের থেকে সামাজিক মর্যাদা ছিল না শ্রমজীবীদের মিশরে ও প্রাচীন রোমে ও কোন ধরনের মর্যাদা ছিল না শ্রমের। এ ধরনের শ্রমের মানুষদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে ।

ক্রীতদাস হিসাবে তাদেরকে গণ্য করা হতো। তবে তারাই সমান্তযুগে শ্রমজীবী মাধ্যমে কৃষক প্রায় সূচনা পালন করেছে এই শ্রমের কিন্তু তারা ছিল মর্যাদাহীন ও অনেক কিছু বঞ্চিত হীন । তবে শ্রমিকরা দুনিয়ার শ্রমিকরা শোষিত হলেও শিল্প বিপ্লবের পর পুঁজিবাদী ও গণতান্ত্রিক অধিকার লাভ করে। তবে শ্রমিকরা তখনই সবচেয়ে বেশি মর্যাদা পায় রুশ বিপ্লবের পর শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে সমাজতন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত হলে।

ছাত্র জীবনে শ্রমের মর্যাদা

ছাত্রজীবনে শ্রমের কোন শেষ নেই। ছাত্র জীবনে যে যত বেশি তার অধ্যায়নে শ্রম দিবে সে তত বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে এবং শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। তবে ছাত্র জীবন সুন্দর করার জন্য বা জীবন সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য ছাত্র জীবনের শ্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই শ্রমকে হবে অধ্যয়ন করা ছাত্রজীবনের কাজ। যদি কোন ছাত্র অলস অথবা কর্ম বিগ মুখ হতাশ হয় সে ছাত্রছাত্রী কখনো বিদ্যালয়ে সফলতা লাভ করতে পারবে না। 

বিদ্যা সে তখনই লাভ করতে পারবে যখন সে পাঠ্য বইয়ের সাথে শ্রম শুরু করবে। এখানে পাঠ্যবইয়ের সাথে শ্রম বলতে বুঝানো হয়েছে পাঠ্যব ই সে যত বেশি সময়ের শ্রম দিবে সে ততো বেশি বিদ্যা লাভ করতে পারবে। কারণ ছাত্র জীবনে বা মানব জীবনে শিখার কোন শেষ নেই শিক্ষার বা কোন বয়স নেই। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না এবং এই শিক্ষাটা অর্জন করতে গেলে অবশ্যই সে ছাত্রকে তার পাঠ্য বইয়ের সাথে সময়ের শ্রম দিতে হবে ।

এবং যে শ্রম তাকে বিদ্যা অধ্যয়নের জন্য অনেক উপরে নিয়ে যাবে। একজন ছাত্র পরিশ্রম সাফল্যের মূল চাবিকাঠি পরিশ্রম ছাড়া কোন ব্যক্তি সাফল্য অর্জন করতে পারবে না যে ব্যক্তির প্রতিমা বলে কিছুই নেই সে ব্যক্তি বিদ্যার উপর সাধনা কর দেখবে সিদ্ধি লাভ হবে।

শ্রমের তাৎপর্য বা গুরুত্ব

মানব জীবনে নিত্যদিনের একটি অপরিহার্য উপাদান হলো মানব জীবনের শ্রম এর কোন বিকল্প নেই। মানব জীবনের শ্রমের তাৎপর্য বা গুরুত্বপূর্ণ এতটাই অপরিহার্য যে কোন মানুষ মানুষের দেখা ওদেখা সমাহারের শ্রমের ওপর নির্ভরশীল আমাদের সবার জীবন ও কর্ম। তবে আমরা সে জীবনে বা সেই দৈনন্দ জীবনে যদি শ্রম না দিই তাহলে আমাদের চলাচল অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে উঠবে এবং সেই অর্থহীন হয়ে কোন দিকে যেতে পারবে না এবং সে ফ্রামহীন মানুষ শ্রম বিমুখ মানুষ হয়ে পড়বে ।

তবে এখানে অলস মানুষ শয়তানের কারখানা বলা হয়ে থাকে। তবে তবে একটি কথা মনে রাখবেন মানুষ নিজে নিজেই ভাগ্য নির্মাণ তা আর যে নিজেকে সাহায্য করে আল্লাহ তাকে সাহায্য করে। এখানে এ কথা বলার উদ্দেশ্য হলো মানুষের ভাগ্যের নির্মাণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রয়োজন। যে পরিশ্রম হয়ে উঠবে মানুষের সাফল্যের চাবিকাঠি যে ব্যক্তি যত বেশি পরিশ্রম করে সে ব্যক্তি তত বেশি সুখী হতে পারে সুতরাং এখানে বলা হয়ে থাকে পরিশ্রমে মানুষের যথার্থ শাণিত হাতিয়ার । 

যদি আমরা প্রাচীনকাল থেকে লক্ষ্য করে দেখি এক বিংশ শতাব্দীর নগর সভ্যতার চোখ ধাঁধানো দৃশ্যমান বিস্ময়কর অগ্রগতিতে শ্রমের অবদান ঠিক কোন অংশেই কম নেই এখানে ইসলামের গুরুত্ব বলতে গিয়ে বলা হয়েছে মানুষের জীবন শেষ হবে একদিন কিন্তু সে মানুষ যে প্রাণকে মূল্যায়ন করে আজীবন থাকবে সুতরাং জীবনে অমর হতে চাইলে শ্রম এর কোন বিকল্প নেই সবই সত্যি শ্রমিক জাতি জীবনের মূল উৎসাহক কারণ ।

আপনি হয়তো বা মরে যাবেন কিন্তু আপনার শ্রম দিয়ে যে কাজ গুলি করে যাবেন সে কাজগুলো কখনোই হারাবে না বা অদৃশ্যমান হবে না যে কারণে এখানে বলা হয়েছে যে শ্রম করে সে অমর কারণ শ্রম করবে বা শ্রম দিবে সে যদিও মারা যায় তার শ্রম দেওয়া জিনিসগুলি কখনোই মারা যাবে না তাই প্রত্যেকটা মানুষের শ্রমের প্রতি আস্থা থাকা উচিত।

শ্রমের মহিমা

শ্রম হল একটি সমৃদ্ধির উৎস। শ্রম আনন্দ নির্মাণের ও সৃজন দেয় মানুষকে তবে মানুষ জন্মায় তবে তার বিকাশের জন্য দরকার শ্রম ও প্রতিভা নিয়ে শ্রম দেওয়ার জন্য। তবে নিজের ভাগ্যকেও গড়ে তুলতে হয় শ্রমের মাধ্যমে এবং শ্রমের মাধ্যমে গড়ে মানুষ পৃথিবীতে মহান সৃষ্টিকর্তা যা করেছেন তাও মানুষের শ্রমের জন্যই সৃষ্টিকর্তা সবকিছু করে দিয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত যে সকল মানুষ জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত ।

এই পৃথিবীর সব কাজ খাদ্য বাসস্থান চিকিৎসা বস্ত্র শিক্ষা যা কিছু দৃশ্যমান সবকিছুই অর্জিত হয়েছে শ্রমের দ্বারা এখানে কুরআনে ঘোষিত হয়েছে যে মানুষের জন্য শ্রম ব্যতীরেকে কিছুই নেই।

আমাদের দেশের শ্রমের মর্যাদা

সামাজিক অসাম্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে পরজবী শ্রেণী মানুষের মাধ্যমে এই বিষয়টি ঘটে থাকে, তবে দেখা যায় মানব সভ্যতায় ইতিহাসে। এছাড়াও সমাজের নিচ তলায় যাদের অবস্থান হয় তারা হলো দিনমজুরি চাষী কুলি যারা কায়িক শ্রম করে তাদের অবস্থান। এবং এই অসহায় মানুষগুলির নৃত্য সংগীত হয় বস্ত্রহীনতা শিক্ষাহীন এবং অন্যহীন। তবে বিলাসিতার জীবন অপরদিকে হয়ে থাকে পরজীবী মানুষদের পরজীবীর শ্রেণীর মানুষরা ডুবে থাকে সে সকল আনন্দ আয়েস নিয়ে। 

তবে যারা সমাজের তলার মানুষ তারা শ্রম বিমুখতার জন্ম দিয়েছে এবং দুর্ব্যবস্থায় তাদের মনে শ্রমের এই দুর্দম অবস্থান তৈরি করে দিয়েছে তবে পরজীবী মানুষরা কখনোই সেরকম শ্রমিক হয়ে ওঠে না। বর্তমানে আমাদের দেশে যারা নিচুতলার মানুষ তারা শুধু নিজের শ্রম বিসর্জন দিয়ে সবকিছু করে দেয় এবং লাভবান হয়ে ওঠে আমাদের দেশের সকল পরজীবী শ্রেণীর মানুষরা। এবং এ থেকে পরজীবী মানুষদের ওপর ঘৃণার মনোভাব এবং কায়িক শ্রমের প্রতি সৃষ্ট হয়েছে এক ধরনের অবজ্ঞা।

শ্রম বৈষম্য নিরাশনের উপায়

শ্রম বৈষম্য আসে নিজেদের বিবেক থেকে প্রত্যেকটা মানুষের তার নিজ নিজ শক্তি অনুসারে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী সমাজে বিভিন্ন ধরনের সেবা করে আসে। তবে শ্রম বৈষম্য নিরাশনের প্রধান উপায় তাদের নিজের বিবেকটা। যারা মূলত শ্রমিক এবং শ্রম দিয়ে নিজের সকল স্বপ্নকে পূরণ করার ইচ্ছে থাকে, তারা অবশ্যই কোন শ্রমকে ছোট করে দেখে না সেটা দৈহিক শ্রম হোক এবং মানসিক শ্রম হোক সব শ্রম দিয়েই সবকিছু জয় করার উদ্দেশ্যে তারা শ্রম দিয়ে থাকে। 

সমাজে যাদের শ্রমের কোন অবকাশ নেই তারাই জীবনে সাফল্য কামনা করতে পেরেছে। তাছাড়াও দৈহিক শ্রম ও মানসিক শ্রম দুই ধরনের শ্রমের অদৃশ্য ভাবে বাধা রয়েছে একটি যোগ সূত্রে। সমাজে কোন কাজই ছোট না, বা উপেক্ষার না সেটা হোক বা কোন দিনমজুর এবং ম্যানেজার কৃষক শিল্প কারো কাজই সমাজে ছোট নয়। 

তবে এখানে মূল বিষয় হলো সকল কাজের দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করলে সাধিত হয় এবং অগ্রগতি আসে শ্রমের। তবে সবার লক্ষ্যে একটি কথা বলে যাই সবাইকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে এ কথাটি সবাই মনে রাখবেন।

ইসলামে শ্রমের মর্যাদা

মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( স:) সকল শ্রমিকদের জন্য একটি সুসংবাদ দিয়েছেন যে শ্রমিকদের সম্মান এবং জান্নাত দুটোই তাদের শ্রম দাঁড়ায় ঠিক করা হবে। এবং এই ইসলামী আমাদেরকে শিখিয়েছে শ্রমের মর্যাদা কত উপরে। এবং আরো শিখিয়েছেন যে শ্রমের মর্যাদা কি হওয়া উচিত। এছাড়াও আমাদের এটুকু জানা উচিত যে শ্রমের মাধ্যমে কোন লজ্জা নেই লজ্জা রয়েছে অলসতা এবং মক্কা বিজয় হয়েছে সকল সে সকল শ্রমিক মানুষের কঠোর পরিশ্রমে। 

এছাড়াও যারা পরিশ্রমই এবং সৎ ব্যবসায়ী তাদের শহীদের সাথে কিয়ামতের দিন থাকবে হযরত মুহাম্মদ (স:) ছিলেন কঠোর পরিশ্রমে একজন ব্যাক্তি। যে কখনো শ্রমকে অবহেলা করেনি এবং শ্রম সম্মান দেখিয়ে সে সবসময় চলাফেরা করেছে।

শ্রমের দৃষ্টান্ত

শ্রমের এক মুহূর্ত পথিক হিসেবে স্মরণীয় ছিলেন যারা বিশ্বকে জয় করেছে শুধুমাত্র শ্রম দ্বারা। তাদের নাম আজও শোনার অক্ষরে লেখা আছে ইতিহাসের পাতায় যারা ছিলেন নিরলস শ্রমের দারুন প্রতিক। তবে শ্রম সাধনে শক্তি হিসেবে কাজ করেছে শিল্প বিজ্ঞান শিক্ষা সাহিত্য অর্থনৈতিক চিকিৎসা ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে। তবে আমাদের নবী ছিলেন কঠিন পরিশ্রমে শ্রমের দৃষ্টান্ত প্রতীক হলো আমাদের নবী। তিনি নিজ শ্রম দিয়ে ছুটে চলেছিলেন ।

ইসলাম প্রতিষ্ঠান করার জন্য মক্কা থেকে মদিনার হের গুহায় ছুটে চলেছিলেন। এবং তায়েফের ময়দানে তিনি রক্ত ঝরানো শ্রম দিয়েছিলেন তবে তিনি বহু তিতিক্ষার পর ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। এবং অনেক বিজ্ঞানী বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠাতা করেছে এবং অনেক কিছু আবিষ্কার করেছে তাদের নিজস্ব শ্রম দ্বারা।

শ্রমবিমুখতা

এখানে অলস মস্তিষ্ক যেন শয়তানের কারখানা তবে শ্রম এর বিপরীত নাম হলো শ্রমবিমুখতা । যে সকল মানুষগুলো শ্রম কে ভয় করে তারা তাদের জীবনে উন্নতি করতে পারে না। বরং তারা কোন কিছু না করে তারা আবার অন্যের উপর নির্ভর হয়ে থাকে। যারা শ্রম দিতে ভয় পায় তাদের জীবন অনেক ব্যথা দায়ক তারা কখনো আনন্দে থাকতে পারে না। তাদের কোন আনন্দ নেই কোন লজ্জা নেই তাদের জীবনে ব্যর্থতায় শ্রম বিমুখতার চূড়ান্ত ফলাফল। 

যেমন কোন গাছের চারা অযত্নে বা পানিহীনতায় ধীরে ধীরে প্রাণ হারিয়ে ফেলে ঠিক তেমনি ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলে অলস মানুষ কর্মচঞ্চলটা। তবে একটা কথা মনে রাখবেন সুখ আর ধন এ দুটো জিনিসই এনে দেয় পরিশ্রম। তাছাড়াও শ্রমের পাশাপাশি শ্রম করার জন্য দরকার তার নিজের আগ্রহের। যেখানে আগ্রহী মানুষ সব সময় আনন্দিত হয় এবং আনন্দ না থাকলে কাজে মন বসে না একঘেয়েমি চলে আসে দিন দিন।

মানসিক শ্রম

মেধা শক্তি দিয়ে যে অর্থ উপার্জন করা হয় বা মেধাকে কাজে লাগিয়ে যে কাজ করতে হবে বা করা হয় সে কাজটি হল মানসিক শ্রম। আমরা যেগুলো কাজ করি শুধু কি শ্রম দিয়ে থাকি না আমাদের সেই শ্রমের মধ্যে একটি মন মানসিকতা থাকার দরকার । এবং আমাদের মন যদি ভালো না থাকে তাহলে কাজে কখনো মন বসে না সে ক্ষেত্রে আমাদের মন যদি চায় ।
আরো পড়ুন 
তাহলে সে কাজে ভালো উন্নতি এবং আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। সে ক্ষেত্রে সেগুলো কাজও হয়ে দাঁড়াবে মানসিক শ্রম কেননা মানসিক দিক থেকে ভালো না থাকলে শ্রম দেওয়া সম্ভব নয়।

শারীরিক শ্রম

পরিশ্রম করতে হলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকতে হবে এবং এই সুস্থতা আসে কঠোর পরিশ্রম এবং সফলতা থেকে। যা মন মানসিকতা ভালো করার জন্য একটি সফলতায় যথেষ্ট। এই পৃথিবী সকলে বেঁচে থাকার জন্য শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করতে হয়। যেমন মানসিক শ্রম কাজে আগ্রহ সৃষ্টি করে আর শারীরিক সং তাসকে বাস্তবায়ন করে তোলে। আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সবকিছুই দিয়েছেন হাত-পা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ।

তবে ,এগুলো দিয়েছেন পরিশ্রম করে পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য। এছাড়াও কোন সময় ভাববেন না যে শারীরিক পরিশ্রম কোন আত্মসম্মানে বিষয় নয়। কারণ কোন কাজকে ছোট করে দেখা উচিত নয় এবং সকল কাজকে সেই কাজের সম্মান অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

উপসংহার-শ্রমের মর্যাদা রচনা ১৫ পয়েন্ট

অনেকদিন পরে এই খেটে খা মানুষগুলো অর্থাৎ শ্রমজীবী মানুষদের একটা নতুন যুগ আসে। খেটে খাওয়া এ মানুষগুলোর মর্যাদা দিতে বাধ্য হয় ওপর তালার মানুষগুলো। পুরো পৃথিবী আজ বুঝতে পেরেছে শ্রমজীবী মানুষরাই হচ্ছে আসল নায়ক। এই সমাজ - সভ্যতার সাফল্য এবং একমাত্র চাবিকাঠি এই শ্রমজীবী মানুষেরা। চীন ভিয়েতনাম সহ অনেকগুলোই এখন শ্রমজীবী মানুষেরা গুরুত্বপূর্ণ সূচনা পালন করে থাকে। উন্নত যে দেশগুলো রয়েছে সেখানে শ্রমজীবী মানুষদের মর্যাদা লাভ করছে। 

ওই সব দেশের মতোই আমরা যদি আমাদের দেশে শ্রমজীবী মানুষদের সম্মান করি ।তাদের কাজকে সম্মান করি ।তাহলে আমাদের দেশেও তাদের মর্যাদা ও অধিকার লাভ করবে। এবং আমরা খুব তাড়াতাড়ি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো এবং আমাদের দেশে উন্নত একটি দেশে পরিণত হবে। আমরা সবাই এটা জানি যে, আদম থেকে মানুষেরা গুহায় বসবাস করত। এবং গুহা তৈরি করতে তারা হাতুরি, বাটার এসব ব্যবহার করত। 

যা এখন নির্মাণ কাজের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এগুলো থেকে এটা বোঝা যায় যে , শ্রমজীবী মানুষদের উন্নতি ।এবং তাদের কাজের সুফল যুগ যুগ ধরে বহমান থাকবে এবং থেকে যাচ্ছে। এইজন্য কবি লিখেছেন,যদি দরিদ্রতা থেকে পেতে চাও চিরন্তরে নিস্তার, তবে শ্রমানন্দে উঠো মেতে তোমার হাতকে কর হাতিয়ার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url