ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম - ত্রিফলা কতদিন খাওয়া যায়?

প্রিয় পাঠক গন এবার আপনাদের জানানো হবে, ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম। ত্রিফলা নিয়ে যারা চিন্তিত রয়েছেন, ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম এসব বিষয় নিয়ে আজ তাদের জন্য পোস্ট, ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
প্রিয় বন্ধুরা, আজকে এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের কে ত্রিফলা সম্পর্কে জানানো হবে। ত্রিফলা নিয়ে যারা অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করছেন এবং এর বিষয়ে অনেক কিছু তথ্য জানা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তো আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনাদেরকে এ বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জানানো হবে।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, এটা আলোচনা করা হয়েছে ত্রিফলা নিয়ে আপনারা যারা প্রতিনিয়ত ত্রিফলা খান এবং কোন ফলাফল পাওয়ার জন্য খেয়ে থাকেন । কিন্তু তার উপকার সম্পর্কে জানেন না অথবা ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানেন না তারা এই পোস্টটি অবশ্যই পড়বেন। এই ত্রিফলা অবশ্য তিনটি ফলের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি, এখানে রয়েছে আমলকি, হরিতকি, বহেরা এই তিনটি ফলের মিশ্রণ কে আমরা ত্রিফলা বলে থাকি। এই তিনটি ফলে মিশ্রণ যদি একসঙ্গে , থাকে বা খাওয়া হয় তাহলে এর গুনাগুন যেমন আছে তার চেয়ে আরো গুনাগুন কয়েক মাত্রা বেড়ে যায়। 

যেটা সেবন করলে আমাদের আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় যেগুলো সিজিনাল শরীর দুর্বলতা যেমন কাশি সহ সর্দি ঠান্ডা সকল কিছু নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং সবকিছু দূর করে দেয়। এছাড়াও ত্রিফলা আমাদের শরীরে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে শরীর মন দেহ পরিষ্কার রাখে। এছাড়াও শরীরে প্রয়োজনীয় যে সকল ভিটামিন আর মিনারেলস এর যোগান দেয়। এছাড়াও ত্রিফলা শরীরের অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠি দূর করার জন্য বেশ ভালো কাজ করে থাকে। আমাদের সমাজে ছোট বড় অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে যারা একটি ফল খেয়ে এ থেকে মুক্তি পেতে পারে। তাছাড়া ত্রিফলা শরীরের হজম এর কাজ বেশি করে এবং বদহজম এর মত মারাত্মক রোগের কাজ করে থাকে। 

এছাড়াও মানব জীবনে ত্রিফলা অনেক ভূমিকা রাখে। এই ত্রিফলা মানুষ সমাজে সকলেই পছন্দ করে কারণ এর গুনাগুন ও অপরিসীম। কারণ এই ত্রিফলা পাউডার করে মিশ্রণ করার পর অনেকদিন যাবত থাকে। যা দুধ অথবা সাধারণ পানি দিয়ে মিশিয়ে খাওয়া যায় যা থেকে সাধারণ মানুষগুলো অনেক উপকৃত হয়। এবং যারা বেশিরভাগ মেডিসিন ব্যবহার করতে চান না তাদের জন্য এই ত্রিফলাটি অনেক সুবিধা জনক একটি ঔষধি গুন। যা তিনটি ফলে পাউডার একত্রিত মিশ্রণ করার পর ত্রিফলা নামে পরিচিত হয়েছে। এবং এই ত্রিফলা কেউ যদি সঠিক নিয়মে খেতে পারে সে অনেক ভিটামিন এবং অনেক রোগ থেকে টি পেয়ে যাবে।

ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম

প্রিয় বন্ধুরা, ত্রিফলা এমন একটি ওষুধ যা মানব জীবনে ছোট বড় সকলের প্রয়োজন, এবং ত্রিফলা শারীরিক সব কাজেই অনেক কার্যকরী। তবে এই ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম অবশ্যই আপনারা জানার পর খাওয়া শুরু করলে আরো ভালো হয়ে কার্যকারী হয়ে উঠবে কেননা সকল জিনিসের একটি নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী চললে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য এবং শারীরিক ভারসাম্য সকল কিছুই ভালো থাকবে। যার কারণে আমরা ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানার পর খাওয়া শুরু করব। এই ত্রিফলা আমরা যদি সকালে চায় বিপরীতে হাফ চা চামচ পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারি তাহলে আমাদের জন্য অনেক উপকারী হয়। 

এছাড়াও ত্রিফলা আমরা রাতে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর ঠিক সুবার সময় যদি খেতে পারি তাহলে আমাদের শরীরে ভালো কিছু উন্নতি আশা করা যাবে এবং শরীর অনেক ফ্রেশ থাকবে। এছাড়াও এই ত্রিফলা তিনটি পাউডারের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি আর এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থাকায় আয়ুর্বেদিক ডাক্তার এই ত্রিফলা খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। কারণ এখানে বহেড়া পাউডার, আমলকি পাউডার এবং হরতকি পাউডার তিনটি পাউডার একত্রিত করে ত্রিফলা নাম করে নামকরণ করা হয়। এই ত্রিফলা তিনটি আলাদা করে খাওয়া যেতে পারে, যেমন বহেড়া পাউডার খাবার আগে খেতে পারি তাহলে আমাদের কার্যকরী আরো বেশি হবে। 
আমলকি পাউডার খাওয়ার পরে আমরা খেতে পারি। এবং তার দুই তিন ঘন্টা পর আমরা হরতকি পাউডার পাউডার খেতে পারি। যে নিয়মগুলো বললাম এই নিয়মে খাওয়ার জন্য আয়ুর্বেদিক ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকে। প্রতিদিন ঠিক এভাবে ত্রিফলা খেতে পারি তাহলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য এর মত রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে আমাদের শরীরের বদহজম থেকে মুক্তি পেয়ে আমাদের একটি ক্লিয়ার মস্তিষ্ক এবং ফ্রেশ শরীর নিয়ে চলাফেরা করতে পারব। এবং আমাদের শরীরের যেই সিজনে অসুস্থতা লেগে থাকে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আশাবাদী হওয়া যেতে পারে কারণ এই ত্রিফলা মানব শরীরে অতিরিক্ত প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় যা থেকে আমাদের শরীরে ঠান্ডা লাগার জ্বর হওয়া এবং সর্দি লাগা থেকে অনেকটা মুক্ত থাকা যাবে।

ত্রিফলা কতদিন খাওয়া যায়

সাধারণত ত্রিফলা যেহেতু তিনটি ফলের পাউডার মিশ্রণ এর ফলে এর নাম হয়েছে ত্রিফলা সে কারণে ফল তিনটি অনেক শুকনো অবস্থায় এগুলোকে পাউডার করা হয়। তবে এখানে আলোচ্য বিষয় হল ত্রিফলা কতদিন খাওয়া যায় তাহলে এখানে আমরা বুঝতে পারতেছি একটি শুকনো জিনিস যদি পাউডার করে রাখে এবং তা যদি ভালোভাবে সংরক্ষিত করা হয় তাহলে এই ত্রিফলারটি অনেকদিন যাবত থাকবে। এবং যা আমরা অনেকদিন ধরে খেতে পারব কিন্তু ত্রিফলা খাওয়া নিয়ে নির্দিষ্ট কোন সময় বা মেয়াদ নেই। এটি আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিন খেতে পারব, তবে আমরা ত্রিফলা খাওয়ার সময় অবশ্যই এটা পরিমাণ মতো খাব। 

তাছাড়াও ত্রিফলার বেশ কয়েকটি ধারণ রয়েছে যা ব্যক্তির স্বাস্থ্য অবস্থা দেখে এবং যেকোনো পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তন করা যেতে পারে। তবে এই তিন ফলা খাওয়ার জন্য আয়ুর্বেদিক ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন দিনে দুইবার খাওয়ার জন্য এটি প্রতিদিন খাওয়া যায়। এবং খেতে পারবে প্রত্যেকটি মানুষ। তবে যারা সুস্থ মানুষ এবং নিজেকে আরও সুন্দর ও সতেজ রাখার জন্য এই ত্রিফলা খেয়ে থাকেন তারা অবশ্যই দিনে একবার বা তাদের অধিকাংশ মানুষই দিনে একবার খেয়ে থাকেন। তবে এই ত্রিফলা খাওয়ার জন্য সকল মানুষের প্রয়োজন একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন তৈরি করার। 

যে রুটিন তৈরি করার ফলে আমাদের প্রত্যেক মানুষ শরীরের যেন বদহত সৃষ্টি না হয় এবং তার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য উন্নতির কথা চিন্তা করে কাজ করতে পারে। যে কোন মানুষের শারীরিক অবস্থা এবং পরিস্থিতি স্বাস্থ্যগত অবস্থা সকলের ভিন্ন ভিন্ন তাই এটি কতদিন সেই ব্যক্তি গ্রহণ করবে সে সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে কোন কিছু উল্লেখ করা নেই। তবে আপনার চলাফেরা স্বাস্থ্য অবস্থা সকল কিছু যদি আপনার জীবন যাপনের ওপর নির্ধারণ করে তাহলে আপনি এটি প্রতিনিয়ত সেবন করতে পারেন যে সেবনের কারণে আপনি আপনার মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে পারবেন। 
এবং শরীরের বিভিন্ন ক্লান্তি দূর করার জন্য এই ত্রিফলা ফলটি খাওয়ার উদ্যোগ নিয়ে নিতে পারেন। যা আপনার শরীরের সকল প্রকার ভিটামিন জোগাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ঠেকাতে সাহায্য করে। এজন্য কোন ব্যক্তি এই ত্রিফলা কতদিন খাওয়া যায় এই সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেনি যার কারণে আমরা একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন এর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। এছাড়াও এই ত্রিফলার ব্যাপারে কোন বিজ্ঞানী ও কোন ধরনের নিয়ম বের করতে পারেনি কেননা একটি ফল একটি মানুষ সংরক্ষণ করে সারা জীবন খেতে পারে সেটা সেই ব্যক্তি একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

ত্রিফলার জলের উপকারিতা

প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা এখানে আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারবো ত্রিফলার জলের উপকারিতা সম্পর্কে । সকল মানুষ চাই যে তার শারীরিক অবস্থা, এবং তার মস্তিষ্ক সকল কিছু নিয়েই সে সুস্থ থাকুক। ইতিমধ্যে ত্রিফলা ফল ভিজিয়ে খাওয়ার অভ্যাস প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই রয়েছে। যেটি ভিজিয়ে রেখে খেলে আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারে এসে থাকে এবং যা আমরা কল্পনাতেও ভাবতে পারিনা যে আমরা এই তিনটি ফল যদি একত্রিত করে। ভিজিয়ে রেখে খাই তাহলে এই তিনটি ফল এর মধ্যে রয়েছে হাজারও গুনাগুন। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে এই ত্রি ফলাফলটির গুণ বলে শেষ করা যায়নি কারণ প্রায় প্রত্যেকটা অসুখের ওষুধ হিসাবে আমলকি, হরতকি, বহেড়া, ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

এই তিনটি ফল যদি কোন ডায়াবেটিস রোগী ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে পান করে তাহলে তার ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রেখে তার শারীরিক কার্যক্রম সকল কিছু চালিয়ে যাবে। এবং তার শরীর স্বাস্থ্য মন সকল কিছুই অনেক চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে জানা গিয়েছে, এই তিনটি ফলের মধ্যে কোন ফলেই গুণে মানে কম নেই। তাহলে আমরা টি খোলা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম ইতিমধ্যে আমরা ত্রিফলার জলের উপকারিতা সম্পর্কে ও অনেক কিছু জেনেছি তবে তিনটি ফলের মধ্যে আলাদা আলাদা পুষ্টি ও স্বাস্থ্য গুণাগুণ রয়েছে যা একত্রিত করে খাওয়ার জন্যই মানব শরীরের কোন বাসা বাধার ক্ষমতা থাকে না। তাই জন্য একটি ফল আর ভূমিকা প্রত্যেক মানুষের জীবনে অপরিসীম। 

এই ত্রিফলা অবশ্যই হজম শক্তির একটি উৎস যেটা খাবার পর হজম শক্তি অনেক ভালো থাকে এবং ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে জ্বর সর্দি কাশি সকল কিছুর ঔষধি গুনাগুন এই ত্রিফলার মধ্যে পাওয়া যায়। তবে এই ত্রিফলা অনেক রিচার্জ করে কিছু ব্যবসায়ীরা বাজারে ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আকারে তৈরি করে বাজারজাত করে বিক্রি করতেছে। যেগুলো খেলে অনেক মানুষই অনেক সুস্থতা অনুভব করতেছেন। এবং তা থেকে তাদের শরীর থেকে শুরু করে সকল কিছু খুব সুন্দর ভাবে সচল রয়েছে। 

তবে এই ত্রিফলা মানে তিনটি ফল কোন ব্যক্তি যদি রাতে ভিজিয়ে সকালে সেই পানি পান করে তাহলে তার অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে এবং তার শরীরের বিভিন্ন দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই ত্রিফলা। এবং এই ত্রিফলা কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খায়। তাহলে তার নারীর দাঁত অনেক শক্ত হওয়াসহ নারীর দ্বার থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হওয়া থেকে শুরু করে মুখের দুর্গন্ধ এবং দাঁত শক্ত করে দাঁতের হলদে দাগ দূর করা পর্যন্ত কার্যকারী হয়ে থাকে দাঁতের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময়

প্রিয় বন্ধুরা, এই প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ স্বাস্থ্য কে টিকিয়ে রাখার জন্য কোন মেডিসিনের ব্যবস্থা ছিল না, যার কারণে সেই প্রাচীনকাল থেকেই এই ত্রিফলা খাওয়ার প্রচলনটা এখনো রয়ে গেল তবে অনেকেই জানেন না ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময় কি তবে যদি কেউ জেনে থাকেন তাহলে তার সেটা একটি স্বাস্থ্যকর সময় ও নিয়ম মাত্র কেননা এই ত্রিফলা খাওয়ার কোন কঠিন নিয়ম বা সময় নেই। এই ত্রিফলা যদি কেউ বা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে খায়। তাহলে তার শরীরের জন্য সবচাইতে বেশি উপকারী হয়ে থাকে । 

কেননা এই ত্রিফলা এত কার্যকরী যার কেউ যদি ঘুমানোর সময় ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে খায় তাহলে তার দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ এর মত রোগীর ও পায়খানা ক্লিয়ার করতে পারবে। কারণ এই ত্রিফলা দেহের ভিতরের সকল দূষিত পদার্থ বের করে দেয় যেটা মানব জীবনে অত্যান্ত একটি ভালো দিক। ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময় নেই বললেই চলে কারণ। এই ত্রিফলা একটি মানুষ তার সুস্থতা সুবিধার জন্য চেয়ে থাকে এই ত্রিফলা প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ খাওয়া পছন্দ করে এবং পরবর্তী ও মানুষগুলো এটি ফলা খেয়ে চারা উপকারিতা বুঝতে পারেন তারা অবশ্যই খাবারের সাথে নেওয়ার জন্য উপযোগী হিসেবে ব্যাক্তি চিহ্নিত করবে। 

এই তুই ফলাটি সক্রিয়ভাবে ডাইজেস্টিভ সিস্টেম সাপোর্ট করে এবং যতরকম খাদ্য হজমের সমস্যা থেকে মুক্তির একমাত্র সমাধান হলো ত্রিফলা। যে ত্রিফলা কিছু মানুষ সকালে চায়ের জায়গায় ত্রিফলা পান করে থাকে। তবে এই ত্রিফলা খাবার ফলে মানব শরীরে বিভিন্ন যৌন দুর্বলতা থেকে শুরু করে যৌবনকে টিকিয়ে রাখা পর্যন্ত কাজ করে থাকে। যে কি খোলা খাবার পূর্বে তার আহার থেকে শুরু করে সকল কিছুর উপরে টান বেড়ে যায় যে কারণে মানুষ এটি সেবন করে। তবে বিশেষভাবে ত্রিফলা আয়ুর্বেদিক একটি উপাদান। যে ত্রিফলা বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ঔষধের সাথে মিশ্রণ থাকে। এবং এই মিশ্রণের মিশ্রণ ছাড়া কোন আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি করা হয়নি বলে মনে হয়। 

এর অন্য কোন কারণ নেই শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সম্মত একটি উপাদান যা গাছ থেকে উৎপাদিত হয়ে থাকে এবং যেখানে কোন ফর্মুলা বা কীটনাশক ব্যবহার না করে এ ফলগুলি ফলে। শুধুমাত্র ত্রিফলার এইটুকুই সুবিধা নয় এই ত্রিফলা যদি সঠিক সময়ে কোন গর্ভবতী মা খান। তাহলে তার গর্ভের সন্তান অনেক স্বাস্থ্য সম্মত হয়ে ওঠে। এবং সেখানে তার সন্তানের বদহজমের মতো সকল রোগের সমাধান দিয়ে থাকে ত্রিফলা। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে যে ক্লান্তি যে ক্লান্তি গুলো দূর করার জন্য ত্রিফলা যথেষ্ট বলে মনে হয় তবে ত্রিফলা গর্ভাবস্থায় খেলে মা ও শিশু দুজনেই অনেক সুস্থ থাকার আশাবাদী করা যায়।

ত্রিফলা কি প্রতিদিন খাওয়া যায়

ত্রিফলা অনেক মানুষ অনেক পছন্দ করে কিন্তু অনেক মানুষ ভয় পায় যে এটি ফলা যদি প্রতিদিন খাওয়া হয় তাহলে হয়তোবা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হতে পারে । এজন্য অনেক মানুষ প্রতিদিন ত্রিফলা খান না তবে যারা প্রতিদিন ত্রিফলা খান না এ পোস্টটি তাদের জন্য তারা অবশ্যই এ পোস্টটি পড়বে এবং জানবেন। তবে আজকের আলোচ্য বিষয় ত্রিফলা কি প্রতিদিন খাওয়া যায় আমরা জানবো এবং সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। ত্রিফলা খাওয়ার কোন সময় সূচি নাই যার কারণে একটি ব্যক্তি কি ফলা প্রতিদিন খেতে পারে কিন্তু বলা যায় সতর্কতার সাথে ত্রিফলা অতিরিক্ত বেশি না খেয়ে যদি ত্রিফলার পাউডার তৈরি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেটি এক চামচ এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য হাফ চামচ যথেষ্ট। 

কারণ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী প্রাচীন একটি ঔষধি হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসতেছে ত্রিফলা এই ত্রিফলা যেমন স্বাস্থ্য উন্নতি করে এবং স্বাস্থ্যের পাচন উন্নতি করে ঠিক সেরকম ভাবে ত্রিফলা রক্ত শুদ্ধিকরণ করে। এবং তা থেকে মানুষের মানসিক শান্তি সহ ইত্যাদি সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে ত্রিফলা। আপনার যদি ডায়াবেটিসে সমস্যা থাকে তাহলে আপনি বেছে নিতে পারেন ত্রিফলার মত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা। এছাড়াও আপনার যদি রক্তে কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি বেছে নিতে পারেন ত্রিফলা এবং এটি ফলা তিনটি ধাপে রয়েছে। যা তিনটি ফলের একত্রিত মিশ্রণ কে আমরা ত্রিফলা বলে থাকি। যে ত্রিফলা ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। 
এছাড়াও ওজন কে কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে পি ফলা মত জিনিস এ ছাড়া স্বাস্থ্যের চোখের উন্নত করতে পারে এবং চিন্তা মুক্তি প্রদান করতে পারে ত্রিফলা। তবে এখানে অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক চিন্তাভাবনায় অনুমোদিত করেছেন যে কি ফলা প্রতিদিন খাওয়া যাবে এবং ইতি ফলা খাওয়ার সময় অবশ্যই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের পরামর্শ করা উচিত তবে সঠিক মাত্রায় সকলে এই ত্রিফলা সেবন করবেন। তাহলে আপনি দেখবেন যে আপনি শারীরিকভাবে অনেকগুলো সমস্যার সমাধান পেয়ে গেছেন এবং এই ত্রিফলা হাড়ের মধ্যে থাকা অনেক ভয়াবহ জ্বর কে হার মানিয়ে সেটা সুস্থতা অর্জন করার সক্ষমতা রয়েছে ত্রিফলার মধ্যে। 

তাহলে বন্ধুরা আমরা এ থেকে জানতে পারলাম ত্রিফলা কি প্রতিদিন খাওয়া যায় হ্যাঁ বন্ধুরা ত্রিফলা একটি মানুষ প্রতিদিন খেতে পারবে কিন্তু সেটা পরিমাণ মাত্রায়। যে মাত্রা মানুষের শরীরের কোন ক্ষতি করবেনা এবং এই ত্রিফলা খাওয়ার জন্য একটি স্বাস্থ্যবান রুটিন তৈরি করে নেওয়া উচিত সেটি আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী।

শেষ কথা-ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম 

প্রিয় বন্ধুরা আমরা ত্রিফলার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। যে ত্রিফলা মানব শরীরে অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটায়। যে পরিবর্তনগুলো সকল মানুষের প্রয়োজন সেটা মানসিক শারীরিক এবং মন ভালো রাখার জন্য ভালো একটি জিনিস ত্রিফলা। যার কারণে আমরা এই পোস্টটিতে ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানিয়ে দিয়েছি যা দ্বারা কোন মানুষের কোন ক্ষতি যেন না হয় যার কারণে তাছাড়া আমরা আরো কিছু জানিয়েছি আমরা যা জানি না যেমন ত্রিফলা কতদিন খাওয়া যায় অনেক মানুষই জানে না। যার কারণে এখানে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি সুন্দরভাবে। আমরা যারা ত্রিফলা বিষয়ে জানি কিন্তু জানি না যে ত্রিফলার জলের উপকারিতা সম্পর্কে এই বিষয়টাও আমরা সবাইকে খুব সুন্দর ভাবে এবং পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছি। 

শুধু তাই নয় এখানে আমরা ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক সময় সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছি যেটা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ গ্রহণ করে আসতেছে সেটা শারীরিক ভালোর জন্যই এবং সুস্থ থাকার আশা করে। তো বন্ধুরা এই পোস্টটি দ্বারা আমরা অনেক কিছু ত্রিফলা সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি যা আপনাদের সকলের উপকারে আসবে ধন্যবাদ। আপনারা যারা প্রতিনিয়ত ত্রিফলা খান তারা অহেতুক ভয় করবেন না কারণ ত্রিফলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী যারা এই ত্রিফলার সেবন করে শুধুমাত্র তারাই জানেন যে।এটি কতটা উপকারী একটি জিনিস তো বন্ধুরা যারা এখন পর্যন্ত এই ত্রিফলা সেবন করেননি তারা অবশ্যই ত্রিফলা সেবন করে দেখবেন এবং নিজেরাই এই ত্রিফলার গুণ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url