কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় ও সুদের হার কত বিস্তারিত

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেক সময় কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে এবং কি কি কাগজপত্র দাখিল করলে কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়া সম্ভব সেই সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু সঠিক তথ্য না জানার অভাবে আপনি কোন ভাবেই ব্যাংক থেকে লোন পাস করতে পারেন না।  অনেকেই আবার হয়রানির শিকার হয়ে হাল ছেড়ে দেয়। তাই কোন ব্যক্তি যদি কৃষি ব্যাংক লোন পেতে আগ্রহী হয় এবং কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চায় তাহলে আজকের আর্টিকেলটি তার জন্য। 
কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
প্রিয় পাঠক আমরা আজকে কৃষি ব্যাংক লোন সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা নেব। আমি চেষ্টা করব কৃষি ব্যাংক লোন এর যোগ্যতা, কৃষি ব্যাংক লোন পেতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন ও কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি, কৃষি ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম এবং সুদের হার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়ার। সেজন্য প্রিয় পাঠক, পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
পোস্ট সূচীপত্র

কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশের হত দরিদ্র কৃষকদের কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম অতীব সহজ। তবে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। মূলত কৃষি ব্যাংক শস্য খাতে লোন প্রদান করে থাকে। একজন প্রান্তিক কৃষকের যদি এক টুকরো জমি থাকে কিন্তু জমি চাষাবাদ করার জন্য তার মূলধন না থাকে সেই ক্ষেত্রে উক্ত কৃষক যদি কৃষি ব্যাংক এর শাখায় সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে যোগাযোগ করে তাহলে সে লোন প্রাপ্তির অন্তর্ভুক্ত হবে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সাধারণত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষকদের কৃষি ব্যাংক লোনের জন্য অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। 
আপনি যদি একজন কৃষক হন আপনার কিছু পরিমাণ জমি আছে এবং আপনি কোন এক বিষয়ে সরকারি বা বেসরকারি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাহলে আপনি সঠিক কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে ঋণ প্রাপ্তির আওতায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। সে ক্ষেত্রে উক্ত জমির মালিক আপনাকে নিজে হতে হবে অর্থাৎ আপনার নামে সম্পত্তি থাকতে হবে। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লোন পাস করবে। আপনি যদি কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে এবং অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন তাহলে কেবলমাত্র আপনি ঋণটি পেতে পারেন।

কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার সাথে সাথে কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার যেসব যোগ্যতা আছে সেগুলো জানাটাও অতীব জরুরী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পেতে হলে অবশ্যই কিছু যোগ্যতা থাকা লাগবে যেটা কমবেশি সব ব্যাংকেই থাকে। আসন পাঠক বৃন্দ, এবার কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে পয়েন্ট আকারে নিচে তুলে ধরা হলো।
  • আপনাকে কে অবশ্যই একজন কৃষক হতে হবে। যদি কৃষক নাও হন অন্তত কৃষি কাজের সাথে সরাসরি জড়িত আছেন এমন প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
  • পূর্বে যদি আপনি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন এবং তা পরিষদ না করে থাকেন তাহলে আপনি লোন পাওয়ার অযোগ্য বলে গণ্য হবেন।
  • আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং আপনার বয়স ২১ বছরের বেশি হতে হবে।
  • সঠিকভাবে লোনের টাকা ব্যবহার করার ক্ষমতা এবং পরিশোধ করার ক্ষমতাও থাকতে হবে অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় আছে অথবা নমিনির ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা আছে এরকম প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
  • যদি কারো বাড়ি ঘর না থাকে এবং আপনি পূর্বেই ঋণের জর্জরিত আসেন তাহলে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আপনাকে লোন প্রদান করবে না।
এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এবং লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানলাম আসুন এবার আমরা কৃষি ব্যাংক লোন এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে নি।

কৃষি ব্যাংক লোন এর প্রকারভেদ

কৃষি ব্যাংক লোন মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে নিম্নে তা তুলে ধরা হলো।
  • স্বল্পমেয়াদি ঋণ
  • মধ্যমেয়াদি ঋণ
  • দীর্ঘমেয়াদি ঋণ
এই তিন ধরনের ঋণের মধ্যে সেরকম কোন পার্থক্য নেই। তবে ঋণগুলোর মধ্যে ঋণ পরিশোধের সময়কাল এর পার্থক্য রয়েছে। এই তিন ধরনের ঋণ বাদেও কৃষি ব্যাংকের আন্ডারে আরো কিছু ঋণ স্কিম আছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শুধুমাত্র শস্য খাতের জন্য তার থেকে পাঁচটি কাগজপত্র নিয়ে থাকে।

কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঋণের খাত সময়কাল এবং সুদের হার নিয়ে আলাদাভাবে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। অনুগ্রহ করে আপনার ঋণের খাত মিলিয়ে নিন এবং সে অনুযায়ী বিস্তারিত পড়ুন।
  • শস্য ঋণ পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • শস্য ঋণের জন্য প্রথমে লাগবে আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি।
  • দু কপি পাসপোর্ট সাইজের নতুন ছবি।
  • আপনার এলাকার চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট।
  • শুধুমাত্র শস্য খাটের জন্য কোন প্রকার দলিল প্রয়োজন হয় না।

মেয়াদী লোনের ক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কৃষি ব্যাংক ঋণ তিন ভাগে ভাগ করা হয় মূলত স্বল্পমেয়াদি ঋণ, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং মধ্যম মেয়াদী ঋণ এই ঋণ গুলো পেতে যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে নিম্নে তা পয়েন্ট আকারে বর্ণনা করা হলো।
  • আপনার ২ কপি ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • আপনার দু কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে।
  • ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট অথবা নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
  • আপনি যেই জমির উপরে লোন নিতে ইচ্ছুক সেই জমির খতিয়ান জমা দিতে হবে।
  • জমির খাজনা জমা দিতে হবে অবশ্যই খাজনা পরিষদ থাকতে হবে।
  • আপনার জমি কি যদি নিলামের মাধ্যমে হয়ে থাকে তাহলে খাজনার দাখিল সহ আগে দখলদারি সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
  • আপনার উক্ত জমি পূর্বপুরুষের মধ্যে থেকে পেয়ে থাকেন তাহলে মূল খতিয়ান জমা দিতে হবে।
  • আপনার জমিটি যদি ক্রয়-কৃত হয়ে থাকে তাহলে মূল দলিল খারিজ খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপ এর ফটোকপি জমা দিতে হবে।
  • অথবা আপনি যদি ইজারার মাধ্যমে পেয়ে থাকেন তাহলে খাজনার দাখিলাসহ দানপত্র জমা দিতে হবে।
আমরা উপরে কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, যোগ্যতা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জেনেছি এবং তার সাথে ঋণের প্রকার সম্পর্কেও জেনেছি। এখন আমরা ঋণের বৈশিষ্ট্য এবং সুদের হার সম্পর্কে আলাদাভাবে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।

স্বল্প মেয়াদী ঋণের বৈশিষ্ট্য ঋণের খাত এবং সুদের হার

স্বল্পমেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে খাত সমূহ এর মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে শস্য খাত। আপনার যদি কোন জমি থেকে থাকে এবং ওই জমিতে ফসল চাষ করার জন্য অল্প কিছুদিন এর জন্য ঋণ প্রয়োজন হয়। যেমন এক বছর থেকে ১৮ মাস তাহলে আপনি শুধুমাত্র কয়েকটি কাগজপত্র জমা দিয়ে শস্য ঋণ নিতে পারেন। এছাড়াও কৃষি ব্যাংক লোন এর আওতায় স্বল্প মেয়াদী ঋণের বিভাগে ভুট্টা, পাঠ, ডাল/শীতকালীন সবজি, রেনু উৎপাদন, মৎস্য চাষ, চিংড়ি চাষ, বোরো ধান, রুপা আমন ধান, আখ, আলু, বাদাম, সরিষা, গম তিল, গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি, তুলা চাষ, আদা অথবা কচু চাষ, কলা চাষ ইত্যাদি ফসল হয়ে থাকে। 
এ সকল ঋণ নিতে হলে আপনার তেমন কোন কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে না। মাত্র চার থেকে পাঁচটা কাগজপত্র জমা দিলেই এ ঋণ দ্রুত কার্যকর হয়। এমনকি এই ঋণ নিতে কোনরকম দলিল বা জামানত প্রয়োজন হয় না। তবে বলে রাখা ভালো স্বল্পমেয়াদি এই ঋণ এক বছর থেকে ১৮ মাসের জন্য দেয়া হয়। স্বল্পমেয়াদি ঋণের সকল খাতে সুদ দিতে হয় আট শতাংশ।

মধ্যম মেয়াদি ঋণের বৈশিষ্ট্য, ঋণের খাত এবং সুদের হার

মধ্যম মেয়াদী ঋণের খাত গুলো হল গরুর খামার, গ্রামীণ যানবাহন, ফলবাগান,রেশম চাষ, পুকুরে মৎস্য চাষ, চিংড়ি চাষ তবে এগুলো একটু বড় আকারে করতে হবে। এছাড়া রয়েছে সামুদ্রিক মৎস্য চাষ, কৃষি যন্ত্রপাতি, খামার যন্ত্রপাতি, গাভী পালন, হাঁস-মুরগি পালন, ছাগল পালন, গরু মোটাতাজাকরণ, হাঁসের খামার, কুটির শিল্প, তাঁত শিল্প পল্লী বিদ্যুতায়ন মধ্যমেয়াদি এই ঋণ গুলো পেতে উপরে বর্ণিত কাগজপত্র গুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলো কাগজপত্রই লাগবে। কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার উপায় এর এই লোনটি সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য নেওয়া যাবে। এই খাত গুলোর মধ্যে বেশির ভাগই আছে শস্য খাত গুলোতে সুদ দিতে হবে ৮ শতাংশ এবং শস্য খাত ছাড়া অন্য সকল খাতে সুদ দিতে হবে ৯ শতাংশ।

দীর্ঘ মিয়াদি ঋণের বৈশিষ্ট্য, ঋণের খাত এবং সুদের হার

দীর্ঘমেয়াদী ঋণের হাত গুলোর মধ্যে রয়েছে দুগ্ধ খামার, হাঁস মুরগির খামার, গবাদি পশুর খামার, ফলের বাগান, কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন, চা বাগান, রাবার চাষ, অথবা রাবার বাগান। কৃষি ব্যাংক লোন এর আওতায় দীর্ঘমেয়াদী ঋণের জন্য পাঁচ বছরের বেশি সময় প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে সময়কাল ঋণের খাত এর উপর কম বেশি হয়। দীর্ঘমেয়াদি ঋণের জন্য ৯ শতাংশ সুদ দেওয়া লাগে। আগের মত দীর্ঘমেয়াদী ঋণে যেসব খাদ শস্য খাদ সেগুলোর জন্য সুদ দিতে হবে ৮ শতাংশ।

কৃষি ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম

উপরে উল্লেখিত আলোচনায় আপনারা জানতে পেরেছেন কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এখন আমরা এই কৃষি ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম সম্পর্কে জানব। শস্য খাতের জন্য মঞ্জুর কিত অর্থাৎ উক্ত জমি বাবদ উৎপাদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে ঋণ গ্রহণ করা হলো সেই জমির উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে সময় মত সুদসহ পরিশোধ করতে হয়। অন্যথায় সুদসহ পরিশোধ না করিলে পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি অ্যাক্ট 1913 এর আওতায় সার্টিফিকেট কেসের মাধ্যমে ব্যাংক আপনার নিকট হতে সমুদয় পাওনা আদায় করার ব্যবস্থা করিবে। 
সাধারণত ফসল উৎপাদন তিন থেকে চার মাস এর মধ্যে হয়ে থাকে। হয়তো বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লোন আপনাকে লোন গ্রহণের তারিখ হইতে লোন পরিষদের জন্য 6 মাস সময় দিবে।

শেষ কথা - কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে আমরা কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি আমরা এখন সম্পূর্ণ অবগত যে কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার জন্য কোন কোন কাগজপত্র এবং যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। উপরে বর্ণিত তথ্যগুলো কৃষি ব্যাংক এর ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে উপরে যেইসব তথ্য গুলো যেকোনো সময় পরিবর্তন করার অধিকার রাখে কৃষি ব্যাংক। আপনার যদি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি আপনার নিজ জেলা অথবা উপজেলার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন। 

আর তার সঙ্গে আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ যে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন। কৃষি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এই পোস্টে আপনার যদি কোন মন্তব্য থাকে তাহলে আমাদের মন্তব্য বক্সে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি দাখিল করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url