কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি - মা ছাড়া কবুতরের বাচ্চা পালন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধু,কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি - মা ছাড়া কবুতরের বাচ্চা পালন সম্পর্কে আছে আপনাদের জানানো হবে।কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি - মা ছাড়া কবুতরের বাচ্চা পালন জানার জন্য যদি আপনি অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। তাহলে,কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি - মা ছাড়া কবুতরের বাচ্চা পালন এই পোস্ট আপনার জন্যই।
কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি - মা ছাড়া কবুতরের বাচ্চা পালন
বন্ধুরা, অনেকে অনেক রকম শখ থাকে । যারা কবুতর পালন করেন বা পালন করতে চাচ্ছেন। তারা কবুতর কিভাবে পালন করতে হয় এবং বাচ্চাদের মা ছাড়া কিভাবে পালন করতে হয় তা আজ বিস্তারিত জানানো হবে এই পোস্টের মাধ্যমে,তাহলে নিচে গিয়ে দেখা যাক কি রয়েছে ।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা ঃকবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি - মা ছাড়া কবুতরের বাচ্চা পালন

বন্ধুরা আপনারা অনেকে শখের বসে কবুতর পালন করে থাকেন । কিন্তু আপনারা অনেকেই এই পালন পদ্ধতিটা জানেন না, তো বন্ধুরা আজকে আপনারা এই পোস্টে জেনে নেবেন কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি - মা ছাড়া কবুতরের বাচ্চা পালন সম্পর্কে। কবুতর সাধারণত ১৪ থেকে ১৯ দিনের মধ্যে বাচ্চা বের করতে সক্ষম হয়। কবুতরের বাচ্চা বের হওয়ার সময় ডিমের একদম মাঝখান থেকে ভেঙে বের হয়। এবং এই কবিতার গুলো ১০ থেকে ১৪ গ্রাম ওজন হয় একদিন বয়সে। এরা জন্মের পর চোখ ফোটা থাকে না কবুতরের বাচ্চার চোখ সাধারণত চার থেকে পাঁচ দিন পর ফুটে বা চোখ খুলে । 

তবে অন্যান্য পশু পাখির মত কবুতরের খুব বেশি সময় লাগে না বড় হওয়ার জন্য। এরা যে খাবারগুলো খায় খুব মানসম্মত এবং পুষ্টিকর যার কারণে এদের পরিপূর্ণ হতে বা একটি পরিপূর্ণ কবুতরের বাচ্চা হতে ২৫ থেকে ২৯ দিন সময় লাগে । এবং এ কবুতর গুলো তখনই নিজের খাবার তারা নিজে সংগ্রহ করে বা নিজে খেতে পারে। তবে কবুতরগুলো বয়স যখন মাত্র চার দিন তখন থেকেই বা জন্ম থেকে চারদিন পর্যন্ত তারা এক ধরনের দুধ খেয়ে বাঁচে সাধারণত এই দুধগুলোকে পিজিয়ন মিল্ক বা ক্রপ মিল্ক বলা হয়ে থাকে । এছাড়াও আমরা অনেক অভিজ্ঞ কবুতর চাষিরা আরো সুন্দর অভিজ্ঞতা সহ বলতে পারব কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি - মা ছাড়া কবুতরের বাচ্চা পালন সম্পর্কে । 

যারা কবুতর পালেন তাদের সবচাইতে কষ্ট জনক ব্যাপার হলো মা ছাড়া কবুতর এর বাচ্চা পালন করা । তবে এটি খুব কঠিন হলেও কবুতরটি নিজের বয়সই রাখা যায় । কবুতর যদিও অল্প মেয়াদী এবং অল্প সময়ের মধ্যে তারা নিজের খাবার নিজে খেতে পারে তারপরেও তাদের খামারে বা মা ছাড়া বাচ্চা পালন করা অনেক অসম্ভব একটি কাজ। তবে এক থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত সুন্দর ভাবে বাঁচা বাঁচানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ রয়েছে। 

কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি

প্রিয় বন্ধুগণ এবার আপনাকে জানানো হবে,কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন। কারণ কবুতরের বাচ্চা পালন অনেকেই শখ করে থাকেন । আমাদের দেশে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা শখের বসে কবিতার পালন করছেন। এবং তা দেখে আবার অনেকেই প্রেরণা হচ্ছেন এবং কবিতা পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। একটি কবুতর ডিম দেওয়ার ঠিক ১৯ পরেই বাচ্চা ফটো ওঠে। সন্ধ্যার সময় কবুতরের ডিম গুলো দেখে কবুতরের বাচ্চা উঠানো দরকার। কারণ সব ডিমের বাচ্চা হয় না। যেগুলো ডিমে চিহ্ন রয়েছে একমাত্র সেগুলো ডিমেই কবুতরের বাচ্চা ওঠে। 
চিহ্ন বলতে কবুতরের ডিমের ঠিক এক ধারের দিকে রক্তের চিহ্ন দেখা যায়। কবুতরের বাচ্চা ফুটে ওঠার পর বাচ্চার নাভিটা ডেটল বা স্যাভলন দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে এতে কোন ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকবে না। যেখানে কবিতার বাচ্চা দেবে ওইখানে পড়ে থাকা কাপড় বা খড়কুটো পরিবর্তন করে নতুন পরিষ্কার কাপড় বা খড়কুটো দিতে হবে। কবুতরের বাচ্চা ফুটে ওঠার পর নিয়মিত চার দিন বাচ্চার দেখাশোনা করতে হবে ।প্রতিদিন নিয়ম করে দুই থেকে তিনবার বাচ্চা ঠিক রয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করতে হবে। কারণ অনেক সময় এমন দেখা গিয়েছে ,যে কবুতরের পায়ের নিচে পড়ে অনেক বাচ্চা মারা গিয়েছে। 

কবুতরের বাচ্চা ফুটে ওঠার পর বাচ্চার পায়খানার স্থান খুব সতর্কতার সাথে পরিষ্কার করতে হবে। পায়খানার স্থানে অনেক মলমূত্র লেগে থাকে যা পরিষ্কার করতে হয়। এছাড়াও চারদিন কবুতরের বাচ্চাকে পিজিয়ন মিল্ক খাওয়াতে হবে। কবুতরের বাচ্চা যদি একাধিক হয়ে থাকে তাহলে একটি বাচ্চাকে প্রথমে খাওয়ানোর পর ছড়িয়ে নিয়ে আরেকটি বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে ।কারণ ,দুইটি বাচ্চা এর সঙ্গে খেলে সঠিক পরিমাণে  খেতে পারবে না। এবং খাবার শেষে দুইজনকে এক জায়গায় রাখতে হবে। পঞ্চম দিন থেকে কবুতরের বাচ্চাকে দানাদার খাবার দেওয়া শুরু করবেন। যদি মা কবিতার বাচ্চাকে সঠিকভাবে খাবার খাওয়ায় তাহলে অতিরিক্ত খাবার দেওয়ার কোন দরকার নেই আর যদি না খাওয়া পারে।

তাহলে সিরিজ বা ফিডার দিয়ে অতিরিক্ত খাবার দিতে হবে। কবুতরের বাচ্চার জন্য ভালো খাদ্য হয় পোল্টির ফিট আধা ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে এরপর পানি ফেলে দিয়ে সেই ফিট ভাতের মার অথবা ভিটামিনের সঙ্গে মিশিয়ে কবিতার বাচ্চাকে খাওয়ানো যায়। বাচ্চাদের প্রতি সবসময় খেয়াল রাখতে হবে কারণ মা কবুতর যদি উন্মুক্ত থাকে তাহলে বা তাদের ঠুকরিয়ে মেরে ফেলতে পারে। এছাড়াও কিছুদিন পরপর বাচ্চাগুলোকে হাতে নিয়ে ওজন করে দেখতে হবে যে তারা ঠিক রয়েছে কিনা। অনেক সময় এমনটা দেখা গিয়েছে যে, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর কারনে বাঁচার পা অবশ হয়ে আসে। এমন দেখা দিলে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন এ ও ডি নিয়মিত আট থেকে দশ দিন খাওয়ানো প্রয়োজন।

মা ছাড়া কবুতরের বাচ্চা পালন

কবুতর প্রেমিক ভাইরা , আপনারা অবশ্যই যারা কবুতর চাষি তারা কবুতর এর বাচ্চা বা একদিনের বাচ্চা রেখে কবুতরের মা যখন হারিয়ে যায় বা মারা যায় তখন  তারা অনেক টা পথভ্রষ্ট বা কবুতরের বাচ্চাটি বাঁচাতে অনেক হিমশিম খেয়ে যায় । তো যারা মা ছাড়া কবুতরের বাচ্চা পালন সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই অংশটুকু ভালো করে পড়ে নিবেন । আমরা জেনে নেব কিভাবে মা ছাড়া কবুতরের বাচ্চা গুলোর যত্ন নেব ঃ 

প্রথম দিন থেকে সাত দিনের মধ্যে যা করবেন ঃ কবুতরের বাচ্চা হ্যান্ড ফিডিং করে বাঁচানোটা সবচাইতে কঠিন হয়ে পড়ে । তবে বাবা-মার অবর্তমানে এক থেকে সাত দিনের মধ্যে বাচ্চাকে বাঁচাতে হলে হ্যান্ড ফিডিং করে বাচ্চা বাঁচাতে হবে। তবে অতিরিক্ত তাপমাত্রা প্রয়োজন একদিকে অপরদিকে ক্রপ মিল্ক খাইয়ে এদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। 

এদেরকে সিরিজ অথবা বেবি ফিডার এর সাহায্যে খাওয়ানো প্রয়োজন তবে দিনের মধ্যে মিনিমাম ৫-৬ বার খাওয়াতে হবে তবে এটির পরিমাণ হবে 15 মিনিট এবং তা অবশ্যই তিন থেকে চার ঘন্টা পর পর। এছাড়াও ওদের পেট খালি হলে আবার খাওয়াতে হবে প্রতিদিন কমপক্ষে দিনের বেলা খুব ঘনঘন বাচ্চাদের চেক করতে হবে। 
এদেরকে সবসময় খড় অথবা গরম কোন স্থানে রাখতে হবে‌। সেটা আপনি ইলেকট্রনিক লাইটের নিচেও রাখতে পারেন, তাছাড়াও গরম কোন কাপড় এর মধ্যেও রাখতে পারেন।

আপনি দ্বিতীয় সাত দিনের মধ্যে যা করবেন : আপনি দ্বিতীয় সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন 40 টি করে শস্যদানা এবং তার সাথে 15 মিলি ক্রপ কবুতরের বাচ্চাকে মিনিমাম চার ঘন্টা পর পর খাওয়াবেন। এছাড়াও ২০ থেকে ২৫ পিচ ডাব্লি ছোট সাইজের এবং ছোলা ১০ পিস সহ পপকর্ন কবুতরের বাচ্চাকে ধরে মুখে খাইয়ে দিবেন। 

এছাড়াও খেয়াল রাখবেন যে আপনার শস্য দানা গুলো অবশ্যই সিদ্ধ করে নিতে হবে যাতে করে কবুতরের বাচ্চা গুলো সেই শস্য দানা গুলো হজম করতে পারে। এই শস্য দানা গুলি যখনি পেট খালি হবে খাইয়ে দিবেন।

আপনি তৃতীয় সাত দিনের মধ্যে যা করবেন : তৃতীয় সাত দিনের মধ্যে আপনি অন্তত ৬০ কি শস্য দানা খাওয়াবেন এ বয়সে কবুতরের বাচ্চা গুলোকে ৬ ঘন্টা পর পর চারবার করে ১৫ মিলি পানি সহ শস্য দানা গুলি খাওয়াতে হবে। এই বয়সগুলোতে আপনি কবুতরের বাচ্চাকে ডাবলি দিবেন ২০ পিস এবং ছোলা দিবেন দশটি এবং সাথে পপকর্ন দিবেন মোটামুটি দশটি তবে এক্ষেত্রে কবুতরের বাচ্চাকে হাতে ধরে পিস পিস করে একেবারে মুখে করে দিয়ে দিন। 

এবং এছাড়াও ফিডার দিয়েও আপনি খাওয়াতে পারেন তাছাড়া আপনি ফিডিং মেশিন ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু আপনি এ সময় যদি আপনি কমপ্লেক্স মিক্স করে খাওয়াতে পারেন প্রতিদিন এক সিসিবি তাহলে আরো ভালো হবে। তবে মনে রাখতে হবে যে কবুতরের বাচ্চাগুলোকে কখনোই অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো যাবে না। 

এছাড়াও বিশেষ একটি কাজ বাচ্চাগুলোকে মিনিমাম ২ ঘন্টা রোদে দিবেন খাবারের পাশাপাশি। এবং রোদের তাপমাত্রা অবশ্যই ৩০ ডিগ্রি থেকে ৩৫ ডিগ্রি রাখার ব্যবস্থা এবং তাপমাত্রাতে রাখতে হবে।

আপনি চতুর্থ সপ্তাহে যা করবেন: চতুর্থ সপ্তাহে আপনি কবুতরের বাচ্চাগুলোকে ওজন অনুযায়ী মিনিমাম ১০% হ্যান্ড ফিডিং করুন এবং কবুতরের বাচ্চা গুলোর কাছে সবসময় পানি ও খাবার রাখবেন। কারণ কবুতর এ সময় নিজের থেকে ই খাওয়ার চেষ্টা করবে এবং নিজে নিজে সেটা অল্প করে খাওয়া শুরু করবে। 

তবে মনে রাখবেন কবুতর যখন নিজের থেকে খাওয়া শুরু করবে তখন অবশ্যই হ্যান্ড ফিডিং কমিয়ে দিতে হবে এবং সম্পূর্ণভাবে শিখলে হ্যান্ড ফিডিং না করলেও চলবে।

কবুতরের বাচ্চা কত দিনে ফুটে

বন্ধুরা এবার আমরা জানবো,কবুতরের বাচ্চা কত দিনে ফুটে।কবুতর একটি গৃহপালিত পাখি।বাসা বাড়িতে এইপাখি শখের বসে পালন করে থাকে। পৃথিবীতে বর্তমানে ২০০জাতের কবুতর পাওয়া গিয়েছে।আর বাংলাদেশ বার্তমানে ৩০টি জাতের কবুতর পাওয়া গিয়েছে,কবুতরের বাচ্চা কত দিনে ফুটে অনেকেই জানেন না । কবুতরের বাচ্চা ফোটানোর জন্য মর্দা ও মাদী উভয়ের প্রয়োজন হয়।কিন্তু এরা সহজে জোড়া বাদে না। 

এদের কে এক সঙ্গে নিয়ম করে ৭দিন রাখলে তারপর এরা জোড়া বাঁধে। একটি কবুতরের ১৬থেকে ২০ ঘন্টা পর্যন্ত ডিম্বলানীতে থাকে এবং সে সময় সেটা নিষ্ক্রিয় হয়। ডিম পাড়ার পর মাদী এবং মর্দা কবুতর উভয়ে ডেমে তা দিয়ে থাকে। মর্দা কবুতর সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তা দেয় এবং একটি মাদী কবুতর বিকাল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত তা দেয়। 

কবিতার ডিম দেওয়ার ঠিক পঞ্চম দিনের মাথায় ডিম চেনা যায়। বাতির আলোয় ডিম ধরলে ঠিক ডিমের রক্ত চিহ্ন দেখা যায়। কবুতরের ডিম এর বাচ্চা ডিম দেওয়ার ঠিক ১৭ থেকে ১৯দিনের মধ্যে বাচ্চা ফুটে যায়। আর এভাবেই একজোড়া কবিতর এক বছরে 10 থেকে ১২ জোড়া কবুতরের বাচ্চা উৎপাদন করে থাকে। কবুতরের বাচ্চা ফোটার পর তাদের হলুদ রঙের লোম দ্বারা সারা শরীর ঢেকে থাকে। 

বাচ্চা ওঠার পর থেকে চার দিন বাচ্চার খুব যত্ন নিতে হয়। প্রায় পরীক্ষা করতে হয় যে বাচ্চা ঠিক রয়েছে কিনা। পাঁচ দিন থেকে বাচ্চাকে দানা খাবার খাওয়ানো যায়। অনেক সময় আবার বাচ্চার ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এর অভাব হয়ে যায় অর্থাৎ তাদের পা অবশ হয়ে গেলে বোঝা যায় ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিনের অভাবে এগুলো হয়েছে এমন অবস্থায় তাদের ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন খাওয়ানো হয়। মা কবুতর যদি বাচ্চাকে খাবার খাওয়াতে না পারে ।
তাহলে বাচ্চাকে ইনজেকশন অথবা ফিডারের মাধ্যমে অতিরিক্ত খাবার খাওয়াতে হয়। ঠিক ১৯ থেকে ২০ দিনের পর লোম ও ঠোঁট স্বাভাবিক হয়। আর ঠিক ৩০ দিনের মধ্যেই একটি কবুতরের বাচ্চা পূর্ণ কবুতরের বাচ্চার চেহারা পেয়ে যায়। একটি কবিতার সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। আর যে কবুতরগুলো বাসায় পালন করা হয়ে থাকে তারা 10 থেকে 15 বছর পর্যন্ত বাঁচার সম্ভাবনা থাকে। বাচ্চা উন্মুক্ত হওয়ার পরেই।একটি মা কবুতর আবার ডিম দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।

কবুতরের বাচ্চা বড় করার উপায়

প্রিয় বন্ধুরা এবার আমরা জানবো, কিভাবে কবুতরের বাচ্চা বড় করার উপায়। একটি কবুতরের বাচ্চা বড় করার উপায় প্রথমেই হচ্ছে খেয়াল রাখতে হবে ,যে বাচ্চা ওঠার পর কোন ঠান্ডা বাতাস বাচ্চার গায়ে লাগছে কিনা। যে পাত্রে বাচ্চারা হবে সে পাত্রে খড়কটু দিয়ে রাখতে হবে যেন বাচ্চাটা গরমের উষ্ণতা পাই। কারণ অনেক সময় এমন দেখা গেয়েছে যে ঠান্ডার কারণে বাচ্চা মারা যায় ।

আবার বাচ্চা জন্মানোর ঠিক একদিন পরেই ঠান্ডার জন্য বাচ্চা মরে গিয়েছে। বাচ্চা জন্মানোর পর প্রায় চার দিন খুব সতর্কতার সাথে বাচ্চার যত্ন নিতে হয়। চারদিনে নিয়ম করে তিন থেকে চারবার পরীক্ষা করে নিতে হয় যে বাচ্চা ঠিক রয়েছে কিনা। কারণ বাচ্চাটি তার মা কবুতরের পায়ের নিচে পড়ে মারা যেতে পারে। এই চার দিন  বাচ্চা পিজয়ন মিল্ক খাওয়াতে হয়। 

ঠিক চারদিন পর থেকে বাচ্চাকে দানাদার খাবার প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু এ পাঁচ দিনের দিনে পোল্টি মুরগির ফিট ৩০ মিনিটের জন্য পানিতে ভিজে রেখে। পানি থেকে সেগুলো তুলে ভাতের মাড় অথবা ভিটামিন এর সঙ্গে খাওয়ালে সেটির বেশি ভালো হয়। এবং পা অবশ হয়ে গেলে বুঝতে হবে যে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের অভাব হয়েছে। 

এমন সময় ক্যালসিয়াম ভিটামিন এ ও ডি নিয়ম করে 8 থেকে 10 দিন খাওয়ানো হয়। বাচ্চাটিকে প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ রোদে রাখতে হবে ।এর মাধ্যমে সে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পারবে। যখন মাদী কবুতরের কাছে মর্দা কবুতর আসবে তখন বাচ্চাগুলোকে একটু দূরে সরে রাখা ভালো কারণ ঠুকরে মেরে ফেলতে পারে। ঠিক ২৪ থেকে ২৬ দিনের মধ্যেই পাখির ডানা , লেজ এতে লোম ওঠে এবং ঠোঁট স্বাভাবিক হয়ে যায়। 

এক মাসের মধ্যেই একটি বাচ্চা পরিপূর্ণ বাঁচাতে পরিণত হয় এবং উন্মুক্ত হয়ে যায়। কোন প্রজাতির বাচ্চা ১৫ থেকে ৩০ জনের মধ্যেই ওরা শুরু করে দেয়। আবার এমন কোন প্রজাতির বাচ্চা রয়েছে যাদের এক মাসের বেশি সময় লাগে উড়তে। একটি স্ত্রী এবং পুরুষ কবিতার সঠিকভাবে না মিললে কিন্তু ডিম দেয় না।

কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়

প্রিয় বন্ধুগণ এবার আপনাদেরকে জানানো হবে,কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়। আমরা অনেকেই শখের বশে বাসা বাড়িতে অনেক ধরনের কবুতর পালন করে থাকি। বাংলাদেশে বর্তমানে ৩০ প্রজাতির কবুতর রয়েছে এদের মধ্যে কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় তা আজ আপনাদেরকে জানাবো এই পোস্টে। 

বেশি বাচ্চা দেয় এমন দেশি কবুতরের জাতের মধ্যে রয়েছে জালালী কবুতর, গোলা, দেশি গিরিবাজ। আর উন্নত জাতের কবুতরের মধ্যে বেশী বাচ্চা দেয় এমন কবুতরগুলো হলো, গিরিবাজ জাতের কবুতর, গোলা কবুতর, লাক্কা, সিরাজ ইত্যাদি। উপরে উল্লেখিত যেসব কবিতা রয়েছে সেসব কবিতরগুলো সবগুলোই বেশি ডিম দেই, কিন্তু দেশি কবুতরের মধ্যে জালালি কবিতর বেশি ডিম দেয়। 

এদের এনার্জির বেশি থাকায় বাচ্চা ফুটানোর পর দুই সপ্তাহের মধ্যে ডিম দেওয়া শুরু করে। আরেকটি হচ্ছে উন্নত জাতের কবুতরের মধ্যে গিরিবাজ এই কবুতরের এনার্জি বেশি থাকায় বারো মাসে ১২ জোড়া বাচ্চা ফুটে থাকে।

শেষ কথা-কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি 

প্রিয় বন্ধুরা, আজ এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে কবুতরের বাচ্চা পালন পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক কিছু তথ্য জানিয়েছি। একটি কবুতরের ব্যথার জন্মানোর পর চারটা দিন তার খুব সতর্কভাবে অনেক দেখে শুনে রাখতে হয় এবং যত্ন নিতে হয়। এবং তা অবশ হয়ে গেলে বুঝতে হয় যে তার ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিনের অভাব রয়েছে। 

এছাড়াও আরো জানি যে কিছু যাদের কবুতর এক পাশের মধ্যে পরিপূর্ণ কবুতরের বাচ্চা হয়ে ওঠে এবং পড়তে সক্ষম হয়। এবং কিছু তাদের কবুতর এক মাসের মধ্যে পরিপূর্ণ হয়ে গেলেও এদের এক মাসের বেশি সময় লেগে যায় উঠতে। এছাড়া এ পোস্টটা আরও জেনেছি যে কোন কবুতর বেশি ডিম দেয় এবং বাচ্চা দেয়। 

দেখি চাঁদের মধ্যে কবুতর রয়েছে এবং উন্নত জাতের মধ্যে কোন কবিতার রয়েছে তা সব জানানো হয়ে গিয়েছে। তো বন্ধুরা আপনারা যদি এমন তথ্যমূলক পোস্ট প্রতিনিয়ত পেতে চান তাহলে আপনারা মাঝে মধ্যে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন কারণ এই ওয়েবসাইটির প্রতিনিয়ত তথ্যমূলক পোস্ট করা হয়। 

এবং এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনার উপকার হলে আপনি অন্যকে শেয়ারের মাধ্যমে দেখার সুযোগ করে দিন, ভালো থাকবেন, আপনারা সুস্থ থাকবেনষষ ,ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url