গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি ও সুদের হার সম্পর্কে বিস্তারিত
গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা অনেক সময় জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকি। কিন্তু লোন পদ্ধতিগুলো একটু জটিল হওয়ার কারণে এবং লোন পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে আমরা অনেক ঋণের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারি না। তাই প্রিয় পাঠক বৃন্দ যদি আপনাদের গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিত ধারণা না থাকে তাহলে আপনিও লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
তাই আপনাদের কথা মাথায় রেখে আজকে এই আর্টিকেলে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সহ আরো বিস্তারিত আলোচনা করব যে সকল বিষয় তা হল গ্রামীণ ব্যাংক কি ধরনের লোন দেয়, গ্রামীণ ব্যাংক লোন পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো কি কি ও গ্রামীণ ব্যাংক লোনের সুবিধা এবং সুদের হার কত এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের মধ্যে অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংক বিশ্বের মধ্যে প্রথম ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত লাভ করে। গ্রামীণ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র সীমার নিম্নের স্তর থেকে উন্নয়নশীল জনগোষ্ঠীতে পরিণত করা। গ্রামীণ ব্যাংকের অনেকগুলো কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে যথা: ক্ষুদ্র ঋণ, সঞ্চয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, নারী উন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো আরো অনেক আর্থসামাজিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা।
গ্রামীণ ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠাতা ডঃ মোঃ ইউনুস ২০০৬ সালে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। গ্রামীণ ব্যাংকের সুখ্যাতি বিশ্বজোড়া রয়েছে। প্রিয় পাঠক আসুন আমরা আজকে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি গুলো জানার আগে গ্রামীণ ব্যাংক কি ধরনের লোন দেয় সেটা সম্পর্কে জানি।
গ্রামীণ ব্যাংক যে ধরনের লোন দেয়
গ্রামীণ ব্যাংক কি ধরনের লোন দেয় এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে নিচে পড়তে থাকুন। গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের মানুষদের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন স্তরের মানুষের জন্য বিভিন্ন রকমের ঋণ এর ব্যবস্থা করেছে। নিচে গ্রামীণ ব্যাংক যে সকল ঋণ প্রদান করে থাকে সেটি সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ক্ষুদ্র ঋণ
গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ পদ্ধতি গুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম এবং খুবই জনপ্রিয় একটি ঋণ হচ্ছে ক্ষুদ্র ঋণ। গ্রামীণ ব্যাংকের এই ক্ষুদ্র ঋণ প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং খুব দ্রুততার সাথে ঋণের আওতাভুক্ত হওয়া যায়। যে কোন পেশার মানুষ এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারে এবং গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ পদ্ধতি অনুযায়ী সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলে এই ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করতে পারে। তবে ক্ষুদ্রঋণের এই প্রকল্পটির কিছু শর্ত রয়েছে। উক্ত শর্তগুলো পূরণের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি অনুযায়ী আবেদনকারী লোন পেয়ে থাকে। সাধারণত গ্রাহক এর একটি ক্ষুদ্র দল তৈরি করতে হয় এবং পাশাপাশি প্রত্যেকটি দলে কমপক্ষে পাঁচজন করে সদস্য থাকতে হয়।
কোন কৃষক যদি ভূমিহীন হয়ে থাকে অর্থাৎ তার কোন জমি জমা না থাকে তবুও তাকে ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে জামিনদারের প্রয়োজন পড়ে। ঋণ গ্রহণ করার পর গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃক প্রেরিত কর্মকর্তা এসে সাপ্তাহিকভাবে দিনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে যায়। বাংলাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে ও গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা রয়েছে। তাই আপনি যদি ক্ষুদ্রঋণ এবং গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জেনে এবং উক্ত কাগজপত্র সহিত তাদের শাখায় যোগাযোগ করেন তাহলে সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন।
কৃষি ঋণ
গ্রামীণ ব্যাংক কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের মানুষদের কথা চিন্তা করে কৃষি ঋণ এর ব্যবস্থা করেছেন। দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কৃষকদের বিভিন্ন কৃষিকাজের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে এবং গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতিগুলো খুব সহজ করে দিয়েছে। যার কারণে কৃষক পর্যায়ের মানুষ খুব সহজেই তাদের কৃষি কাজের জন্য ঋণের আবেদন করতে পারে। আসুন এবার জেনে নেই কোন কোন কৃষি কাজের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি এর আওতায় কৃষি ঋণ পেয়ে থাকে।
- জমি কিনতে বা বর্গা নেওয়ার জন্য।
- কৃষি কাজের জন্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়।
- বীজ, সার ও কীটনাশক ক্রয়।
- মৎস্য চাষ, পশু পালন এবং কৃষিভিত্তিক আরো অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে।
উপরে বর্ণিত সব গুলো কৃষি খাতে এবং গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংক কৃষি ঋণ প্রদান করে থাকে।
পশু সম্পদ ঋণ
বাংলাদেশের অত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার কৃষকদের সাধারণত পশুপালন এর উদ্দেশ্যে এবং ক্রয়ের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক পশু সম্পদ লোন প্রদান করে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক পশু সম্পদ ঋণ প্রদান করার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ যেন পশু পালন খাতে আরও উন্নয়নশীল হতে পারে। কোন কোন পশুপালনের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক পশু পালন লোন প্রদান করে থাকে সেটি নিচে বর্ণনা করা হলো।
- গরু পালন
- হাঁস মুরগি পালন
- ভেড়া পালন
- ছাগল পালন
- মাছ পালন
তবে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি এর আওতায় গ্রামীণ ব্যাংক পশু পালন ঋণের জন্য অবশ্যই গ্রহীতাকে ১৮ বছরের বেশি হতে হবে এবং পশুপালন সম্পর্কে কমপক্ষে এক বছরের অভিজ্ঞতা আছে সেই প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
উদ্যোক্তা ঋণ
যদি কেউ মনে করে গ্রামীণ ব্যাংক এর উদ্যোক্তা ঋণ গ্রহণ করতে চায় ও ব্যবসার উদ্দেশ্যে এবং সেটি সম্প্রসারণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়। কিন্তু মূলধনের কারণে সেটি পারছে না তাহলে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে সে উদ্যোক্তা ঋণের আওতাভুক্ত হতে পারে। উদ্যোক্তারা কোন কোন কাজের জন্য ঋণ পেতে পারে সেটি নিচে তুলে ধরা হলো।
- ব্যবসার উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয়
- কারখানা নির্মাণ করে পণ্য উৎপাদন অথবা কারখানা ভাড়া দেয়া
- বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতি ক্রয়
- বিপণন ও সেটির প্রচার
- কর্মচারী নিয়োগ
উপরে বর্ণিত কাজগুলোর উদ্দেশ্যে গ্রামীণ ব্যাংক উদ্যোক্তা ঋণ দিয়ে থাকে। তবে এই ঋণ পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছর হতে হবে। এছাড়াও ব্যবসার সম্পূর্ণ পরিকল্পনা উক্ত ব্যাংক শাখার কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিত জানাতে হবে।
হাউজিং লোন
মানুষের সামাজিক চাহিদাগুলো হচ্ছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। তাই গ্রামীণ ব্যাংক মানুষের চাহিদাগুলোর কথা চিন্তা করে বাসস্থান এর জন্য হাউজিং লোন প্রদান করে থাকে। এই হাউজিং লোন প্রোগ্রাম ১৯৮৪ সালে শুরু হয়। গ্রামীণ ব্যাংক হাউজিং লোনের আওতায় টিনশেড বাড়ি নির্মাণের জন্য ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে থাকে। ঋণের মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং সেটি সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়।
শিক্ষা ঋণ
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর তাই গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি আরো একটি দরকারি এবং প্রয়োজনীয় ঋণের ব্যবস্থা করেছে। আর সেটি হল গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা ঋণ। এক্ষেত্রে কোন ধরনের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ঋণ প্রদান করে থাকে নিচে তা পয়েন্ট আকার দেওয়া হলো।
- মেডিকেলের ছাত্র অথবা ছাত্রী
- ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রছাত্রীদের
- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী
- MA / MS / MBA এর স্টুডেন্ট
এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংক ১৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা ঋণের ব্যবস্থা করেছে। তবে গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা ঋণ পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীর পরিবারের যে কেউ অবশ্যই এক বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়মিত সদস্য হতে হবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর থেকে ২৫ বছর হতে হবে। তবে এ ঋণের সুবিধা হল শিক্ষার্থী অবস্থায় এই ঋণ পরিশোধের প্রয়োজন নেই।
গ্রামীণ ব্যাংক লোন পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আমরা উপরে জেনেছি গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি গুলো কত রকম হয়ে থাকে সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছি। আসুন এবার জেনে নেই গ্রামীণ ব্যাংক লোন পাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। কেননা শুধু গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি এর বিস্তারিত সম্পর্কে জানলে হবে না। লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলোর বিষয়ে পয়েন্ট আকারে নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
- শুধুমাত্র শিক্ষা লোন ব্যতীত অন্যান্য সকল লোনের জন্য গ্রহীতাকে অবশ্যই বিবাহিত হতে হবে।
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- যে ব্যক্তি ঋণ নিতে ইচ্ছুক তার অবশ্যই নিজস্ব ঘর-বাড়ি থাকা জরুরী।
- প্রথমবার কেউ যদি ঋণ গ্রহণ করতে চায় তাহলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পাবে।
- ঋণের জন্য ৫% সার্ভিস চার্জ হিসেবে দিতে হবে।
- নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দিতে হবে।
- ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদ জমা দিতে হবে।
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা এখন গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি, লোনের প্রকারভেদ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা গুলো পেয়েছেন। সুতরাং আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক লোনের আওতায় যেকোনো একটি লোনের সুবিধা ভোগ করতে চান তাহলে উপরে বর্ণিত সকল কাগজপত্র সহকারে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন অথবা উপজেলার গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় গিয়ে উপস্থিত হবেন। উক্ত শাখার কর্মচারীর সাথে আলাপ করে আপনি কোন ধরনের লোন পেতে ইচ্ছুক সেটি তাকে জানান।
সেই অনুযায়ী আবেদন ফরমের সাথে আপনার উক্ত কাগজপত্র গুলো জমা দিন। আশা করি যদি আপনার কাগজপত্রগুলো সঠিক হয় তাহলে অবশ্যই আপনি ঋণের আওতাভুক্ত হবেন।
গ্রামীণ ব্যাংক লোনের সুবিধা এবং সুদের হার
গ্রামীন ব্যাংক লোন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে শিক্ষা ঋণ এর সুবিধা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা যদি কোন মেধাবী ছাত্র অবস্থায় পড়াশুনা করতে টাকা পয়সার সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে উক্ত ছাত্র অথবা ছাত্রী গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শিক্ষা ঋণ নিতে পারে। এবং যতদিন না পর্যন্ত তার পড়াশোনা সম্পূর্ণ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তার ঋণ পরিশোধের কোন প্রয়োজন হয় না। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গুলো মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়। যা অনেক ক্ষেত্রেই সহজ হয়।
তাছাড়া কৃষকদের ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য ঋণ গ্রহীতাদের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি গুলো সহজ হওয়ার কারণে তারা খুব সহজেই লোনের আবেদন করতে পারেন। গ্রামীণ ব্যাংক লোন গুলোর সুদের হার অনেকাংশেই কম। এটিও একটি ঋণ গ্রহীতাদের জন্য অন্যতম সুবিধা।
আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক গ্রামীণ ব্যাংক লোনের সুদের হার কত।
গ্রামীণ ব্যাংক সাধারণত ঋণ প্রার্থীদের কথা মাথায় রেখে খুবই কম সুদে ঋণ প্রদান করে থাকে। যা অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক কম। গ্রামীণ ব্যাংক সাধারণত কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণ খাতে সুদের হার ৬% নিয়ে থাকে এবং অন্যান্য যেগুলো গ্রামীণ ব্যাংক ঋণের খাত রয়েছে সেগুলোর সুদের হার ও ৬% হয়ে থাকে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি আপনাদেরকে গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি, গ্রামীণ ব্যাংক লোনের প্রকারভেদ এবং লোন পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার মাধ্যমে সঠিক তথ্য গুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে আপনাদের অবগতির জন্য স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে আমাদের এই আর্টিকেলের সম্পূর্ণ তথ্য গ্রামীণ ব্যাংক অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি গুলো সবসময়ই পরিবর্তনশীল।
তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনি যখন কোন লোন নিতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন ঠিক তার আগে অবশ্যই উক্ত শাখার কর্মচারীর সাথে লোনের ব্যাপারে এবং বিশেষ করে সুদের হার সম্পর্কে সম্পূর্ণ জেনে তারপরেই কেবলমাত্র লোনের জন্য আবেদন করবেন। আপনাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। এই আর্টিকেল বিষয়ে যদি আপনার কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের মন্তব্য বক্সে মন্তব্য করুন এবং তথ্যগুলো উপযুক্ত মনে হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url