সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় বা পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন

সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য এবং সিটি ব্যাংক থেকে লোন পেতে লোন পাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন। প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা যদি সিটি ব্যাংক লোন কিভাবে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে এবং সিটি ব্যাংক লোনের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারেন। তাহলে অবশ্যই সিটি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার বিষয়টা আপনাদের জন্য সহজ হবে। 
সিটি-ব্যাংক-লোন-পাওয়ার-উপায়
বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে অবশ্যই লোন পাওয়ার জন্য আপনার উক্ত ব্যাংক সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করাটা জরুরী। সঠিক তথ্য ব্যতীত আপনি সিটি ব্যাংক লোন পেতে হয়রানির শিকার হতে পারেন বা লোন গ্রহণে অক্ষম হতে পারেন। তাই আপনাদের কথা মাথায় রেখে সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এবং সিটি ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

বাংলাদেশে এখন অনেক বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এখন অনেক ব্যাংক রয়েছে যারা সরকারি ব্যাংকের থেকেও ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিটি ব্যাংক তার মধ্যে অন্যতম সিটি ব্যাংক। ১৯৮৩ সালের ২৭ মার্চ “ দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড” নামের যাত্রা শুরু করে। ২০০৮ সালে তাদের সেবায় আমূল পরিবর্তন আসে। এ কার্যক্রমে যুক্তছিল নতুন লোগো, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ক্রেডিট কার্ড এবং সিটি ওয়ালেট তাছাড়া নামটি পরিবর্তন করে রাখা হয় “ সিটি ব্যাংক”। আসুন আজকে সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এবং পদক্ষেপ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা নেই।

সিটি ব্যাংক থেকে কত ধরনের লোন পাওয়া যায়

সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার আগে অবশ্যই আমাদেরকে সিটি ব্যাংক থেকে কত ধরনের লোন পাওয়া যায় এ বিষয়টি জানা অতীব জরুরি। কেননা লোনের ধরন অনুযায়ী আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনার জন্য কোন লোনটি প্রয়োজন। তাছাড়া সিটি ব্যাংক লোনের প্রকারভেদ এর ভিত্তিতে সুযোগ সুবিধা ও আলাদা। কত ধরনের সিটি ব্যাংক বা কত ধরনের লোন প্রদান করে থাকে নিম্নে সেটা পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
  • হোম লোন
  • পার্সোনাল লোন
  • বাইক লোন
  • অটো লোন
  • প্রবাসী লোন
সিটি ব্যাংক সাধারণত এই কয় ধরনের লোন প্রদান করে থাকে। উপরে বর্ণিত খাত গুলোতে আবেদন কারিগন তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। তবে লোনের সুবিধাগুলো ভোগ করতে হলে অবশ্যই সিটি ব্যাংক কর্তৃক কিছু নিয়ম এবং শর্তাদি পালন করতে হবে। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আসুন আমরা নিচে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটি লোনের খাত সম্পর্কে অর্থাৎ প্রত্যেকটি সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় বা পদ্ধতি এবং কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।

সিটি ব্যাংক হোম লোন পাওয়ার পদ্ধতি

সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এর মধ্যে প্রথম যে লোনের কথা বলব সেটি হচ্ছে সিটি ব্যাংক হোম লোন। যদি কোন গ্রাহকের জমি আছে কিন্তু বাড়ি করার জন্য উপযুক্ত মূলধন নেই সেই গ্রাহক বা ব্যক্তি এখন থেকে সিটি ব্যাংকের আওতায় সিটি ব্যাংক হোম লোন নিতে পারেন। সিটি ব্যাংক হোম লোন পদ্ধতি এর আওতায় গ্রাহকগণ ৫ লক্ষ টাকা থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারেন। উক্ত হোম লোনের কিস্তির মেয়াদ এক বছর থেকে শুরু করে ২৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। সিটি ব্যাংক হোম লোন পাওয়ার যোগ্যতা নিচে তুলে ধরা হলো।
  • সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আগ্রহী ব্যক্তির বয়সসীমা ২২ বছর থেকে শুরু করে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • যেকোনো কাজের বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে কমপক্ষে তিন বছর।
  • আগ্রহী ব্যক্তি যদি সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকে তাহলে তার মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকার উপরে হতে হবে। অথবা যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকে তাহলে তার মাসিক বেতন ৫০ হাজার টাকার উপরে হতে হবে।
সিটি ব্যাংক হোম লোন পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর যোগ্যতা থাকার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র ও দরকার। এবার নিচে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো তুলে ধরা হলো।
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • নমিনি জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • যে অফিসে কর্মরত সেই অফিসের আইডি কার্ডের ফটোকপি। যদি ব্যবসায়ী হয় তাহলে ভিজিটিং কার্ড/ ব্যবসায়ী কার্ডের ফটোকপি।
  • টিএন সনদপত্র লাগবে এবং গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
এগুলো কাগজ বাদে যদি অন্য আরো কোন কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সেটি উক্ত শাখার কর্মচারী আপনাদেরকে জানাবে।

সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন পাওয়ার পদ্ধতি

সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এর মধ্যে আরেকটি লোন হলো সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন। আপনার যদি ব্যক্তিগত কোন কাজের জন্য লোনের প্রয়োজন হয় (যে কোন ধরনের সমস্যায়) তাহলে সেটি ব্যাংক পার্সোনাল লোনের আওতায় আপনি লোন গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারেন। সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর সুবিধা হচ্ছে যে কোন ব্যক্তি 5 লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারেন। উক্ত লোনের পরিশোধ করার মেয়াদ হচ্ছে বারো মাস থেকে শুরু করে ৬০ মাসের মধ্যে। সিটি ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নেওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে সেগুলো নিচে পয়েন্ট আকারে বর্ণনা করা হলো।
  • আবেদনকারীর বয়স ২২ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • যে কাজের উদ্দেশ্যে সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিচ্ছেন সেই কাজের উপর অবশ্যই কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যদি পূর্বে বিজনেস নিয়ে কাজ করে থাকেন তাহলে সেই বিজনেসের উপর কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • যদি কোন কোম্পানি আওতায় কাজ করেন তাহলে বেতনের কমপক্ষে ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে।
সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন রয়েছে সেগুলো নিচে পয়েন্ট আকারে বর্ণনা করা হলো।
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
  • আগ্রহী ব্যক্তির তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • জামিনদারের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • ব্যবসায়ী কার্ড/ অফিস আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • পূর্বে ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে এক বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে এবং ট্রেড লাইসেন্স লাগবে।
সাধারণত সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন পাওয়ার জন্য উক্ত শাখার কর্মচারী কর্তৃক দেওয়া ফর্মের সাথে উপরে বর্ণিত কাগজপত্র গুলো জমা দিলে এবং সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেলে আপনি লোনের আওতাভুক্ত হবেন।

সিটি ব্যাংক বাইক লোন পাওয়ার পদ্ধতি

যদি কারো ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাইক বা মোটরসাইকেল কেনার প্রয়োজন হয় তাহলে সিটি ব্যাংক সেই স্কিমটি চালু করেছে। সিটি ব্যাংক সাধারণত বাইক লোনের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে। লোন নেওয়ার ৩৬ মাসের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে হয়। সিটি ব্যাংক বাইক লোন পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা দরকার নিজে তা বর্ণনা করা হলো।
  • আবেদনকারীর বয়স ২১ বছর থেকে শুরু করে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • বেতনভুক্ত কর্মচারী হলে এক বছরের স্যালারি সিট দেখাতে হবে অথবা ব্যবসায়ী হলে এক বছরের ব্যবসার লাভের অংশ দেখাতে হবে।
  • রাইট শেয়ারিং এর জন্য কমপক্ষে ছয় মাসের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • বেতনভুক্ত কর্মচারীদের জন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে ১২ হাজার টাকার উপরে ইনকাম দেখাতে হবে। ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ব্যবসার লোভ-ভাংস 30000 টাকা দেখাতে হবে।
এসব গুলো শর্ত যদি পূরণ করতে পারে কেউ তাহলেই সে সিটি ব্যাংক বাইক লোন এর জন্য আবেদন করতে পারবে। উক্ত ব্যক্তিকে সিটি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে বাইক লোনের ফরম পূরণ করে যথাযথ কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে এবং জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই কর্মকতার সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে নিতে হবে।

সিটি ব্যাংক অটো লোন পাওয়ার পদ্ধতি

আপনি চাইলে সিটি ব্যাংক অটো লোনটি নিতে পারেন। আপনার নিজস্ব পছন্দের যদি কোন কাজ সম্পন্ন করার ইচ্ছা থাকে তাহলে সিটি ব্যাংক থেকে অটো লোন নিতে পারেন। সিটি ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন তিন লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অটো লোনের মাধ্যমে দিয়ে থাকে। সিটি ব্যাংক অটো লোন বারো মাস থেকে শুরু করে ৭২ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। সিটি ব্যাংক অটো লোন পেতে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন তার নিচে তুলে ধরা হলো।
  • অটো লোন নেওয়ার জন্য আবেদনকারীর বয়স ২২ বছর থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • কাজের উপরে সর্বনিম্ন এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • ব্যবসায়ী হলে যে কোন ব্যবসার সাথে দুই বছর যুক্ত আছে এরকম প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
  • সিটি ব্যাংক থেকে অটো লোন নিতে মাসিক বেতন 40 হাজার টাকার উপরে হতে হবে। তবে সিটি ব্যাংক অটো লোনের সুবিধা হল এই লোন নেওয়ার জন্য কোনরকম জামিনদার প্রয়োজন হয় না।
আপনার যদি সিটি ব্যাংক অটো প্রয়োজন হয় তাহলে উপরে বর্ণিত কাগজপত্র সহকারে উক্ত শাখায় গিয়ে ফরম পূরণের মাধ্যমে লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

সিটি ব্যাংক প্রবাসী লোন পাওয়ার পদ্ধতি

সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এর মধ্যে সর্বশেষ যে লোনটি সেটি হচ্ছে সিটি ব্যাংক প্রবাসী লোন। সিটি ব্যাংক সাধারণত প্রবাসীদের কথা মাথায় রেখে এই সুবিধাটি চালু করেছে। এই প্রবাসী লোনকে রেমিট্যান্স লোন বলা হয়। প্রবাসীরা লোনের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে। তবে সিটি ব্যাংক প্রবাসী লোন পাওয়ার জন্য উক্ত ব্যক্তিকে কি কি শর্ত গুলো পালন করতে হবে নিচে তার বর্ণনা করা হলো।
  • প্রবাসীর ব্যক্তিরা সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন তবে তাদের আয়ের উপর ভিত্তি করে লোন প্রদান করা হয়ে থাকে।
  • এছাড়াও গৃহপালিত পশু কেনার জন্য, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় ও মেরামতের জন্য রেমিটেন্স লোন পাওয়া যায়।
  • সিটি ব্যাংকের যেকোনো এজেন্ট পয়েন্ট থেকে লোনের জন্য কর্মকর্তা কর্তৃক ফর্ম সংগ্রহ করে উপযুক্ত কাগজপত্র গুলো জমা দিয়ে সিটি ব্যাংক থেকে রেমিটেন্স লোন নেওয়া সম্ভব।
প্রিয় পাঠক আমরা উপরে সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এবং সিটি ব্যাংকের কত প্রকার লোন নেওয়ার পদ্ধতি রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনার যদি উপরে বর্ণিত সবগুলো যোগ্যতা থাকে এবং উপযুক্ত কাগজপত্র সঙ্গে থাকে তাহলে যেকোনো সিটি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে আপনি লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবার আপনি নিজে না গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমেও সিটি ব্যাংক লোন পেতে পারেন সেজন্য আসুন আমরা নিচে আলোচনার মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে সিটি ব্যাংক লোন পাওয়া যায় সেটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

সিটি ব্যাংক অনলাইন লোন

সিটি ব্যাংক অনলাইন লোন পাওয়ার জন্য আপনাকে সর্বোত্তম গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে “CITY TOUCH” নামক অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে। তারপর অ্যাপ এ ঢুকে নিচের অংশে ডানদিকে একটি “MORE “ নামক অপশন রয়েছে সেটিতে ক্লিক করতে হবে। এই পর্যায়ে এসে “Loan Service” লেখাটিতে ক্লিক করতে হবে। তারপর পরের ধাপে “Apply For Quick Loan” এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে এখন আপনাকে আপনার একাউন্টটি সিলেক্ট করতে হবে। সেজন্য “Select FD Account” এই অপশনে ক্লিক করে আপনার একাউন্টটি সিলেক্ট করে দিবেন। 
এখন আপনি কত মাসের জন্য লোন নিতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে। আর সেজন্য “Select Loan TENURE (MONTHS) এই অপশনে গিয়ে কত মাসের জন্য লোন চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করবেন। এরপর কত টাকা ঋণ চাচ্ছেন সেটি উল্লেখ করতে হবে। আর সেজন্য “SELECT AMOUNT (BDT) এই অপশনে গিয়ে ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। এখন ‘MONTHLY INCOME” এই অপশানে গিয়ে আপনার মাসিক ইনকাম বসিয়ে দিবেন এবং “eTIN” নাম্বার থাকলে দিবেন। না থাকলে দেওয়ার দরকার নাই। এ পর্যায়ে এসে “SELECT BRANCH” এই অপশনে গিয়ে আপনার নিকটস্থ সিটি ব্যাংক শাখা সিলেক্ট করুন। 

“SELECT PROFESSION” এ গিয়ে আপনার পেশা সম্পর্কে জানান আপনার একটি সচল মোবাইল নম্বর দিন। এবং “NEXT” অপশনে ক্লিক করুন। একটু পর আপনার ফোনে SMS এর মাধ্যমে একটি “OTP” কোড পাঠানো হবে। এরপর “OTP” টি বসিয়ে দিন এবং “SUBMIT” বাটনে ক্লিক করুন। আপনার আবেদনের কাজটি সম্পন্ন হল এখন তিন দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানাবে। আপনি ঋণ পাবেন কিনা যদি আপনার তথ্যগুলো সঠিক হয় তাহলে অবশ্যই আপনি ঋণের আওতাভুক্ত হবেন। 
কিন্তু সিটি ব্যাংক অনলাইন লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে আগে “CITY TOUCH” এর আওতায় রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেজন্য আগে উক্ত শাখার কর্মচারীর সাথে কথা বলে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করবেন। না হলে আপনি কোন প্রকার অনলাইন ঋণ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
প্রিয় পাঠক, আমরা এতক্ষন সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এবং সিটি ব্যাংক অনলাইন লোন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আসুন এবার জেনে নিই সেটি ব্যাংক লোনের সুদের হার কত।

সিটি ব্যাংক লোনের সুদের হার

যেহেতু সিটি ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে। তাই তাদের সুদের হারের ক্ষেত্রেও একটু ভিন্নতা আছে। তবে মোটামুটি সবগুলো ঋণের ক্ষেত্রে একটি গড় হিসাব সিটি ব্যাংক দিয়ে থাকে। সেটি হল সিটি ব্যাংক সাধারণত সুদের হার নয় শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ নিয়ে থাকে। সুদের হার সব সময় পরিবর্তনশীল। আমরা সিটি ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এবং উইকিপিডিয়া থেকে উপরে বর্ণিত তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছি। বলে রাখা ভালো সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় তাদের নিয়ম-নীতি পরিবর্তন করতে পারে। 
তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনি যদি লোনের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আবেদনের পূর্বে সিটি ব্যাংকের উক্ত শাখার কর্মচারী সাথে সম্পূর্ণ বিষয় আলোচনা করে নিবেন।

শেষ কথা-সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আমরা আপনাদের কথা মাথায় রেখে সিটি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, সিটি ব্যাংক অনলাইন লোন এবং সুদের হার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমরা আপনাদের সঠিক তথ্য গুলোই প্রদান করার চেষ্টা করেছি। এখন যদি কোন ব্যক্তি সিটি ব্যাংক থেকে লোন সংগ্রহ করতে চায় তাহলে উপরে বর্ণিত সবগুলো পদক্ষেপ অবলম্বনের মাধ্যমে সে লোনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। আপনাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ এতক্ষণ ধরে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। আমরা সব সময় এরকম তথ্যবহুল পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে থাকি। 

তাই আপনি যদি এরকম তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট পেতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আর এই আর্টিকেল বিষয়ে আপনাদের মনে যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের মন্তব্য বক্সে জানাবেন আমরা অতিসত্বর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। এবং তার সাথে আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে যথাযথ মনে হয় তাহলে একটি শেয়ার করবেন। একটি শেয়ার আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url