আমাদের বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত জানা জরুরি

বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত বিষয়টি আমাদেরকে বারবার চিন্তার মধ্যে ফেলে দেয়। হঠাৎ করে যদি বমি বমি ভাব হয় তাহলে অবশ্যই ব্যাপারটা আমাদেরকে ঘাবড়ে দেয়। তবে বমি বমি হওয়া যে শুধু বড় অসুখের লক্ষণ ঠিক তা নয়। দুই থেকে তিনবার বমি হওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসায় যদি সেরে যায় তাহলে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু যদি অনর্গল বমি হতেই থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যাপারটা চিন্তার হয়ে যায়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কারণে এ সমস্যার সম্মুখীন আমরা হতে পারি। যেমন আমাদের অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, বাহিরে জাঙ্ক ফুড বেশি বেশি করে খাওয়া ইত্যাদি কারণবশত গ্যাস্টিকের সমস্যা হয়। যার কারণে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। 
বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত
যদি এরকমটা হয় তাহলে বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানাটা অতীবও জরুরী। কেননা আমরা যদি কোন কিছু খাই বা খাওয়ার আগেই বমি বমি ভাব চলে আসে তাহলে আমরা কোন কিছুই ভালো মতো খেতে পারব না। যার কারণে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাবে এবং আমরা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বো। তাই পাঠক বৃন্দ আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত, বমির কারণগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা, গর্ভাবস্থায় কেন বমি হয়, শরীরে কোন অঙ্গগুলোতে সমস্যার কারণে বমি হয়, বমি হলে করণীয় কি এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

বমি হল (ইংরেজিতে Vomiting, Emesis) পাকস্থলীর মধ্যে পরিপাকরত খাদ্যগুলো অনিচ্ছাকৃত ভাবে সজরে মুখ দিয়ে অথবা কখনো কখনো নাক দিয়ে বাহিরে বের হয়ে আসে এবং বাচ্চারা খাবার পছন্দ না করলে গলা থেকে যখন তুলে দেয়। সেটিকে সাধারণত বমি বা ভোমিটিং বলা হয়। বিভিন্ন কারণে একজন মানুষের ভোমিটিং হতে পারে মানসিক কারণে অথবা অযাচিতভাবে হঠাৎ করেই বমি হতে পারে। যদি দুই একবার বমি হওয়ার পর ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে সেরে যায় তাহলে ভয়ের কিছু নেই।

কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি বমি শরীরের বড় অসুখের লক্ষণ। তাই বমি দীর্ঘমেয়াদী ধারণ করলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।

বমির কারণ

আমরা উপরেই জেনেছি যে বিভিন্ন কারণবশত বমি হতে পারে তবে এটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার। বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত এ বিষয়টি জানার আগে আসুন আমরা জেনে নিই বমির কারণ গুলো কি কি। নিচে পর্যায়ক্রমে বমির কি কারন অর্থাৎ কোন বড় ধরনের অসুখ এর লক্ষণ হতে পারে সেটি জানার চেষ্টা করি।

খাদ্যে বিষক্রিয়া: অনেক সময় আমাদের খাদ্যে বিষাক্ত উপাদান থাকার কারণে এবং জীবাণুর কারণে খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বাহিরের তৈরিকৃত খাবার অথবা অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন পচা, বাঁশি খাবার, মাছি বসছে এরকম খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের পেটের মধ্যে বিষক্রিয়া তৈরি হতে পারে। সাধারণত এই বিষক্রিয়া 24 ঘন্টার মধ্যে শুরু হয়। আর এই বিষক্রিয়ার কারণে আমাদের বমি হতে পারে। বমি সঙ্গে পেটে ব্যথা বা পাতলা পায়খানা হতে পারে।
লিভারে ব্যথা: আপনার যদি হঠাৎ করেই পেটের ডান দিকে উপরের অংশে ব্যথা শুরু হয়, তার পাশাপাশি খাবার অরুচি দেখা দেয় এবং বমি বমি ভাব হয় তাহলে সেটি আপনার হেপাটাইটিস এর লক্ষণ লিভারের ব্যথার কারণে বমি বমি ভাব হয়। আর হেপাটাইটিস এর কারণে লিভারে প্রদাহ তৈরি হয়। লিভারের প্রদাহ এর কারণে হালকা জ্বর থাকতে পারে এবং কিছু খেলেই বমি বমি ভাব দেখা দেয়।

পিত্তথলিতে ব্যথা: যদি পিত্তথলিতে ব্যথা হয় তাহলে সেটি পেটের উপরের অংশে কিংবা পেটের ডানদিকে উপরের অংশে ব্যথা হবে। ব্যথাটি আস্তে আস্তে কাজের দিকে ছড়িয়ে যেতে পারে তার সঙ্গে বমি হতে পারে। বিশেষ করে দুপুরে এবং রাতে ভারী খাবার খাওয়ার পর বমি হয়।

অগ্নাশয়ের ব্যথা: অগ্নাশয়ে ব্যথা হলে বমি সঙ্গে সঙ্গে পেটের উপরের অংশে প্রচন্ড ব্যথা হবে। ব্যথাটি আস্তে আস্তে পিঠের দিকে ছড়িয়ে পড়বে। রোগীর প্রচন্ড জ্বর থাকবে এবং দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়বে। অগ্নাশয় রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত এই বিষয়টি খুব ভালোভাবে জানতে হবে।

অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা: অ্যাপেন্ডিক্স এর প্রধান লক্ষণ পেটের ডান দিকের অংশে প্রচন্ড ব্যথা হবে এবং তার সঙ্গে বমি হতে পারে। এপেনডিক্সের ব্যথা বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও আলসার: সকালে উঠেই যদি আপনার গলা থেকে বুক পর্যন্ত জ্বলতে থাকে পাশাপাশি অম্ল ঢেকুস উঠে তাহলে বুঝতে হবে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে অবশ্যই আপনার বমি বমি ভাব হবে এবং বমিও হতে পারে। আবার যদি কারো পেপটিক আলসার অথবা ডিউডেনামে আলসার হয়ে থাকে তাহলে ভাত খাওয়ার পর বমি আসে।

মূত্রথলিতে সংক্রমণ: পরিপাকতন্ত্রের সমস্যার জন্যই যে শুধু বমি হয় সেটি আসলে ভুল কথা। যদি কারো মূত্রথলিতে সংক্রমণ হয় যার কারণে তলপেটে ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, গায়ে প্রচন্ড জ্বর এবং তার সঙ্গে বমি হবে।

কিডনি রোগ: দীর্ঘমেয়াদি ভাবে কারো যদি কিডনি রোগ থেকে থাকে তাহলে কিডনি ফেলের কারণে কিডনিতে ক্রমাগত বর্জ্য পদার্থ জমা হতে থাকে যার কারণে রোগীর খাবারে অরুচি তৈরি হয় এবং বমি হয়।

মাইগ্রেনের সমস্যাতে বমি: যদি কারো মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে অর্থাৎ মাথার বাম পাশে ডান পাশে অথবা পিছনের সাইডে হঠাৎ ব্যথা শুরু হয় যাকে এনকেফেলাইটিস বলা হয়। এই সমস্যার কারণে মাথায় তীব্র ব্যথা হয় এবং একপর্যায়ে রোগীর বমি শুরু হয়।
গর্ভাবস্থায় বমি: সাধারণত মহিলাদের গর্ভাবস্থায় বমি হয়ে থাকে। বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত এ বিষয়টি গর্ভবতী মায়েদের ভালোভাবে জানা উচিত। প্রথম তিন মাস গর্ভবতী মায়েদের বমি হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। তবে গর্ভাবস্থায় কারো কম আকারে বমি হয়। আবার কারো দীর্ঘমেয়াদী বমি হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় বমি হলে ঘাবড়ানোর কোন কিছু নেই সন্তান প্রসবের পর সেটি এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়।

আমরা এ পর্যন্ত বমির কারণসমূহ এবং কোন অসুখের কারণে কেমন ভাবে বমি হয় সেটি জানলাম। আসন পাঠকগণ এবার আমরা জেনে নিই ঘন ঘন বমি হলে বা বমি বমি ভাব হলে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত।

বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত

একজন সুস্থ সবল মানুষ যদি হঠাৎ করেই বমি করে দেয় অথবা বমি বমি ভাব হয় খাবারের অনিহা সৃষ্টি হয় তাহলে এমনিতেই সেই লোক অসুস্থ হয়ে পড়বে। তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে এবং তার সুস্থ সবল জীবন ধারণ করা ব্যাহত হবে। আসুন এই পর্যায়ে আমরা জেনে নিই যদি এরকম কারো বমি বমি ভাব হয় বা বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত এবং বমি হলে করণীয় কি।
  • সাধারণত বমি হওয়ার পর রোগীর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ পানি বেরিয়ে যায়। তাই ডাক্তারদের মতে, বমি হওয়ার পর অবশ্যই রোগীকে খাবার স্যালাইন খেতে দিতে হবে। কারণ লবণ পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। আর পানি শূন্যতার বিষয়টি স্যালাইনের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব। অনেকে মনে করে থাকেন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বা হাই প্রেসার রোগীর জন্য স্যালাইন খাওয়া বারণ। আসলে কথাটি ঠিক নয় যদি কারো বমি হয় তাহলে তার শরীর মাত্রা অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই অবশ্যই বমি হওয়ার পর স্যালাইন খাওয়া বাধ্যতামূলক। আবার অনেকে মনে করেন বমি হলে কলা খাওয়া যাবে কি, আসলে কলা খাওয়াটা বমির কারণ নয় বরং আসলে পাকা কলা খাওয়ার মাধ্যমে বমি উপশম হতে পারে।
  • তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বমি করার পর সঙ্গে সঙ্গে আমরা একবারে অনেক স্যালাইন একসাথে পান করব না। অল্প অল্প করে সময় নিয়ে স্যালাইন পান করতে হবে। কারণ একবারে বেশি পরিমাণ স্যালাইন পান করলে সেটিও বমি হয়ে বেরিয়ে আসতে পারে। যদি বমি কোন রকম কন্ট্রোলে না আসে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বমির ওষুধ খেতে হবে। বমির ওষুধ হিসেবে( Emistat 8 mg এবং Acliz Plus 25 mg / 50 mg ) ট্যাবলেট গুলো খাওয়া যেতে পারে।
  • আবার যদি বমির মাত্রা খুব বেশি হয় তাহলে উক্ত মেডিসিন গুলো ট্যাবলেট এর পরিবর্তে শিরাপথে ইনজেকশনের মাধ্যমে রোগীর শরীরে পুস করতে হবে। তবে অবশ্যই সেটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করা উচিত। সাধারণত একবার থেকে দুইবার বমি হওয়ার পর স্যালাইন খেলেই রোগী সুস্থবোধ করে থাকেন। আবার বমির ওষুধ গুলো খাওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়। যদি অবস্থা বেগতিক হয় তাহলে ওষুধ এবং স্যালাইন সবগুলোই বারবার বমি হিসেবে বের হয়ে চলে আসতে পারে তাই দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
  • হাসপাতালে ভর্তি করার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বমি বন্ধের জন্য স্যালাইন শরীরে পুশ করবেন এবং তার সাথে বমি বন্ধের ইনজেকশন গুলো দিয়ে দিবেন। তৎক্ষণাৎ বমি বন্ধ হওয়ার পর রোগীর ইতিহাস জেনে তার বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেয়া হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বুঝা যাবে আসলে তার কি কারনে বমি হচ্ছে। ডাক্তারের নিকট যাওয়ার পূর্বে যদি আপনি কোন রকম ওষুধ নিয়ে থাকেন তাহলে সেটি অবশ্যই ডাক্তারকে জানাবেন।
  • বাচ্চাদের বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত এবং করনীয় বিষয়গুলো ও ঠিক একই রকম। যদি কোন বাচ্চা ঘন ঘন বমি করে থাকে তাহলেও তাকে অল্প অল্প পরিমাণে সময় নিয়ে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। তাহলে বাচ্চা বমি করলেও দুর্বল হবে না। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কোন ওষুধটি জরুরী সেটি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অবশ্যই বাচ্চাকে খাওয়ানো যাবে না। যদি বাচ্চার বমি বন্ধ না হয় এবং অবস্থা বেগতিক হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিতে হবে অথবা নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
এছাড়া বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত এই তালিকাতে কিছু ভেষজ উদ্ভিদ এর দ্বারা বমি বন্ধ হতে পারে। যেমন আদা কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চালাতে পারেন। আবার পুদিনা পাতার রস এবং লেবু পাতার রস বমি বন্ধ করতে ভালো কাজ করে। যদি আপনার বমি বমি ভাব হয় তাহলে মুখে একটি লবঙ্গ অথবা দারচিনি রেখে দিন দেখবেন আপন মনে বমি বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া আপনার অবস্থা যদি খারাপ হয়ে যায় তাহলে উপরে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করুন।

লেখকের শেষ কথা

আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত এবং পাশাপাশি বমি হলে করণীয় বিষয়গুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এখন আমরা বুঝতে পারবো কোন কোন রোগের কারণে বমি হতে পারে বমি হলেই যে কোন মারাত্মক রোগ নয় সেটি সম্পর্কেও ধারণা পেয়ে গেলাম। প্রিয় পাঠক গন আমরা তথ্যগুলো বিভিন্ন চিকিৎসা বিষয়ক অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এবং উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করেছি। 

আপনার অবশ্যই কোনরকম চিকিৎসা গ্রহণের পূর্বেই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোনো রকম ওষুধ খাওয়াবেন না। আপনাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। এরকম আরো তথ্যবহুল পোস্ট পেতে হলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আপনার এই আর্টিকেল বিষয়ে যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে আমাদের মন্তব্য বক্সে আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি পেশ করুন পরিশেষে সবার সুস্থতাই আমাদের কাম্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url