অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারন কি-অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের লক্ষণ

প্রিয় গ্রাহক আপনি কি মাথা ঘামা নিয়ে চিন্তিত। অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারণ কি? এছাড়া অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। মাথা বা শরীর ঘামা সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিত জানতে হলে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।
অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারন কি  - অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের লক্ষণ
গরমের সময় আসলে প্রতিটা মানুষ ঘেমে যায়। এই ঘাম হতে পারে বিভিন্ন কারণে। মানবদেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘাম অত্যন্ত দরকারে। ঘাম যেমন আমাদের জন্য ভালো তেমন অতিরিক্ত ঘাম আমাদের জন্য ক্ষতিকর। অনেক মানুষ বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত ঘেমে যায়। আরে ঘামের কারণ হতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ। অতিরিক্ত ঘাম কে মেডিকেল ভাষায় বলা হয় হাইপার হাইড্রোসিস ( Hyperhidrosis )।

ভূমিকা

অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারণ কি? ঘামে পানি ছাড়া কিছুই নেই। ঘামের পানির প্রধান উৎস হলো রক্তরস। অর্থাৎ রক্তের যে পানি থাকে এই পানির পরিবর্তিত রূপ হল ঘাম। সাধারণত গরম অবস্থায় মানুষের দেহ দিনে ১০০ মিলিলিটার ঘাম বের হয়। ঘামে পানি ছাড়া রয়েছে সামান্য পরিমাণে খাদ্য লবণ এবং এর পাশাপাশি পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,, জিংক, কপার, আয়রন, নিকেল ও সিসা পাওয়া যায়। এই সকল রাসায়নিক পদার্থ কোন ঘামের সাথে লবণ হিসেবে থাকে এজন্য ঘামের স্বাদ নন্টা হয়।

অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারন কি

অতিরিক্ত ঘাম এর স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এটাকে বলা হয় হাইপার হাইড্রোসিস ( Hyperhidrosis )। এই শব্দের দুটো অংশ যেমন- Hyper [বেশি], Hidrosis [ঘেমে যাওয়া]। প্রয়োজনের থেকে বেশি ঘেমে যাওয়াকে হাইপার হাইড্রোসিস বলা হয়। শরীরে আমের প্রয়োজন আছে কিন্তু অতিরিক্ত ঘামের ফলে আপনার ভিন্ন রোগ হতে পারে।

অতিরিক্ত মাথা ঘামার কারণ কি? ঘাম হওয়া আমাদের শরীরে একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।আর আমাদের বডির Excretory System [নিঃসারক পদ্ধতি] মধ্যে পড়ে। যেমন- আমরা পস্রাব ত্যাগ করি, পস্রাব ত্যাগের মাধ্যমে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত পানি অর্থাৎ রক্তের অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যায় যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়, এবং শুধু পানি না আমাদের শরীরের যেসব ওয়েস্টেজ মেটেরিয়ালস বা বজ্র পদার্থ রয়েছে এগুলো আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায় মূত্র ত্যাগের মাধ্যমে।
তেমনভাবে আমরা যখন ঠান্ডা থেকে গরমে যাব বা বাড়ি থেকে কোন কাজ করার জন্য রোদে যাব তখন আমাদের শরীরে একটি অটোমেটিক সিস্টেম কাজ করে। অটোমেটিক সিস্টেম হল-আমাদের ব্রেনের মধ্যে যে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম [কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ( CNS )] আছে এই সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম এর মধ্যে একটি গ্ল্যান্ড আছে তার নাম হলো- Hypothalamus গ্ল্যান্ড।

আমাদের শরীরের যে অংশগুলো বেশি পরিমাণে ঘেমে যায় যেমন-ঘাড়ের অংশগুলো, পিঠের দিকে, পেটের দিকে, বগলের এ সমস্ত জায়গায় সবচেয়ে বেশি Sweat Gland[ঘর্মগ্রন্থি] থাকে। শুধু এই জায়গাতে নয় আমাদের শরীরের পুরোটা স্কিনের নিচে এই Sweat Gland[ঘর্মগ্রন্থি] থাকে। যখন রোদ গরমের মধ্যে যাচ্ছি বা কোন ঝাল খাবার খাচ্ছি তখন আমাদের Hypothalamus গ্ল্যান্ড একটি মেসেজ বার্তা পাঠায় এই Sweat Gland[ঘর্মগ্রন্থি] গুলোর কাছে এবং Hypothalamus গ্ল্যান্ড এর বার্তা অনুযায়ী Sweat Gland[ঘর্মগ্রন্থি] থেকে আমাদের শরীরে ঘাম বের হয়। এর মূল কারণ হলো আমাদের শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য অর্থাৎ শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য।

অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের লক্ষণ

অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের লক্ষণ? গরমের সময় আসলেই মানুষ ঘামে। শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হলে, আমরা কখনো গুরুত্ব সহকারে দেখিনা। কারণ গরমের সময় আসলে তো মানুষ ঘামে। কিন্তু এই অতিরিক্ত ঘামের প্রকৃত কারণ বের না করতে পারলে আপনার হতে পারে মারাত্মক বিপদ। কারণ অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সাথে সম্পর্ক রয়েছে জটিল কোন রোগ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, অতিরিক্ত ঘামের ফলে কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে।
  • হৃদরোগঃ হার্টের কোন সমস্যা হলে আপনার অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। অতিরিক্ত ঘামের পাশাপাশি কিছু উপসর্গ হতে পারে যেমন-বুক ধরফর, বুকে ব্যথা এছাড়াও কিছুক্ষণের জন্য অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। এছাড়া পক্ষে চাপ অনুভব, শ্বাসকষ্ট অনুভব করা, হার্টের গতি কম বা বেশি হলে আপনার অতিরিক্ত ঘাম হবে।
  • ডায়াবেটিসঃ অতিরিক্ত ঘামের সাথে ডায়াবেটিস রোগের সম্পর্ক রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের রাজশাহ করার মান কমে গেলে শরীরে অসুস্থদের সাথে অতিরিক্ত ঘামের সৃষ্টি হয়।
  • থাইরয়েডঃ থাইরয়েডের অস্থিরতা কারণে বেশি ঘাম হওয়ার আসক্ত দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইপার থাইরয়েডের জন্য মানুষের শরীরে থাইরয়েড হরমোন ক্ষরণ বেশি হয়। যার কারণে রোগীর খিদে বৃদ্ধি পায়, তবে ওজন কমতে থাকে তার সাথে ঘামের মাত্রা বেড়ে যায়।
  • নিউরোলজিক্যাল সমস্যাঃ মাথায় টিউমার, খিচুড়ি ইত্যাদি ধরনের নিউরোলজিক্যাল সমস্যা কারণে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
  • রক্তে ইনফেকশনঃ যদি রক্তের কোন ইনফেকশন থাকে তাহলে শরীরকে প্রায় উত্তপ্ত করে তুলবে, ফলে ব্লাড প্রেসার অনেকটাই কমে যাবে। এ সময়ে হার্টের চাহিদা অনুরূপ মাত্রা রক্ত পাম্প করে শরীরকে সমর্পণ করতে অকৃতকার্য হবে। ফলে রোগীর দেহ ঠান্ডা হয়ে প্রচন্ড মাত্রাই ঘাম বা শীতলতম ঘাম নিঃসৃত হয় যা অত্যন্ত বিপদজনক হতে পারে।
  • টেনশন ও ভয়ঃ শরীরের মধ্যে কোন স্ট্রেস, টেনশন বা ভয়ের কারণ হলে অ্যাড্রিনালিন ও ননঅ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গিয়ে অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয়তা এবং ঘামের সৃষ্টি হয়।
  • ব্রেন স্টোকঃ মাথায় যন্ত্রণা, শরীরের প্যারালাইসিস অথবা স্ট্রোক হবার অনেকদিন আগে থেকে আপনার শরীরে অতিরিক্ত মাত্রই ঘাম হতে পারে।
  • ঘামের ফলে এ ধরনের রোগ হতে পারে। আপনার অতিরিক্ত ঘাম হলে কখনোই অবহেলা করবেন না। অতিরিক্ত ঘাবড়ে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

বাচ্চাদের মাথা ঘামার কারণ

বাচ্চাদের মাথা ঘামার কারণ? বাড়ন্ত বাচ্চাদের শরীর গরম থাকে, বাড়ন্ত শিশুদের সব সময় মেটাবলিজম মানে তাদের ওজন জন্মের পরে পাঁচ মাসের ডবল হয়ে যায়, নয় মাসের তিনগুণ বাড়ে। এর ফলে বাচ্চাদের শরীরে কোষগুলো খুব দ্রুত কাজ করে যার ফলে শরীর বা মাথা গরম হয়ে যায় ফলে অতিরিক্ত ঘামে। এছাড় অনেকগুলো কারণ আছে যেগুলো ভিটামিন ডি ডেবিসেনসি হয় তাদের খেতে একটু ঘাম বেশি হয়।
বিশেষ করে রাতের বেলার ঘামে, বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগে, ভাইরাস হয়, এর ফলে ঘাম হয় বিশেষ করে মাথার পেছনে বেশি ঘামে। তোর যদি আপনার বাচ্চার মাথা অতিরিক্ত ঘামে অবশ্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বাচ্চাদের মাথায় ঘামলে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায়

গরমের সময় বা বিভিন্ন সময় আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ঘেমে থাকে। অতিরিক্ত ঘামের কারণে যে কোন জায়গায় যাওয়ার ফলে অনেক বিরক্ত লাগে। কারণ অল্পতেই শরীর ভিজে যায়। অতিরিক্ত ঘাম দূর করতে কয়েকটি উপায় রয়েছে। এই উপাইগুলো ফলো করলে, আপনার ঘাম কম হবে।
  • ভিটামিন বি২ এই ধরনের রোগ হয়। এজন্য ভিটামিন বি২ জনিত খাবার খেতে হবে তাহলে ওখান থেকে মুক্তি পাবেন।
  • ভিটামিন বি পরিবার যেমন- বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫ খাদ্য খেতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ ভিটামিন বি ট্যাবলেট গ্রহণ করতে হবে।
  • বেশি করে পাকা ফলমূল ও শাক সবজি খেতে হবে। যেমন পাকা পেঁপ, তরমুজ, আম, কামরাঙ্গা, ফুলকপি, গাজর, বরবটি এ সকল খাবার খুবই উপকারী।
  • শরীর দুর্বলতা থেকে গা ঘেমে থাকে। এজন্য পুষ্টিকর শাকসবজি ও ফলমূল বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
  • আয়োডিন যুক্ত খাবার যেমন-এসপারাগাস, ব্রকোলি, টারকি, গরুর মাংস, যকৃত, সাদা পেয়াজ, খাবার লবণ প্রভৃতি থেকে এটি হয়ে থাকে। এই সকল খাবার থেকে বিরত থাকুন।
  • চায়ের মধ্যে থাকার টনিক অ্যাসিড এটি ঘামের বিরুদ্ধে ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে। এখন আপনি ১,৫ লেটার পানির মধ্যে ৫ পাঁচটি চায়ের ব্যাগ মিশ্রণ করুন এবং এই পানির মধ্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে হাত বা পা ভিজিয়ে রাখুন।
  • আপনার শরীরের কোন ধরনের পাউডার ব্যবহার করবেন না। কারণ এই পাউডারটি ঘাম দূর করার থেকে আরো বৃদ্ধি করতে পারে।
  • আপনি যদি পান, ক্যাফেইন যুক্ত কফি, ধূমপান ইত্যাদি খান তাহলে এইগুলো খাওয়া থেকে দূরে থাকুন, কারণে এই খাদ্যগুলো অতিরিক্ত ঘাম উৎপন্ন করে।
  • বেশি বেশি পানি খেতে হবে। যতটুকু পারেন দিনে চার থেকে পাঁচ বার পানি দিয়ে হাত-পা, মুখ পরিষ্কার করে নেবেন।
  • বেশি বেশি করে শসা খাবেন। কারণ শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। বেশি বেশি শসা খেলে আপনার ঘাম কম হতে সাহায্য করবে।

অতিরিক্ত কপাল ঘামার কারণ কি

অতিরিক্ত কপাল ঘামার কারণ কি? কিছু মানুষ রয়েছে যারা প্রয়োজনে থেকে বেশি ঘেমে যায়। এর কারণ স্বরূপ গবেষণা দেখা গেছে অতিরিক্ত ঘাম জিনগত কারণে হতে পারে। এছাড়া যারা মানসিক ভাবে দুশ্চিন্তা, ভয়-ভীতি, আতঙ্ক, অনিদ্রা ইত্যাদি এ সকল কারনেও অতিরিক্ত কপাল ঘেমে থাকে।

অতিরিক্ত কপাল ঘামার মূল কারণ হতে পারে, যারা Anxiety & Depression। মানুষ বেশি ডিপ্রেশনে ভোগার কারণে মাথা ঘেমে থাকে। মেডিকেল রিপোর্টে যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে এ ঘামটি এ ধরনের সমস্যার জন্য হতে পারে। এর জন্য কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। আপনাকে ভয়, আতঙ্ক থাকা বা ডিপ্রেশন থাকা যাবে না। অবশ্যই অতিরিক্ত কপাল ঘামলে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

অতিরিক্ত শরীর ঘামলে কেন ঠান্ডা লাগে

শরীরের একটি ইন্টারনাল মেকানিজম, যখন আমাদের খুব গরম লাগে তখন শরীর নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য আমাদের ঘামায়। আমরা যখন ঘামি আমাদের শরীর থেকে পানি বের হয়,আর এই পানিটা আমাদের চামড়ার উপরে থাকে। আর এই পানিটা যখন শুকিয়ে যায় তখন আমরা ঠান্ডা অনুভব করি। কারণ ঘামের পানি তরল থেকে বাতাসে রুপান্তরিত হয়। আর এই বাতাসের রূপান্তরিত হওয়ার জন্য শরীরে কিছু তাপ প্রয়োজন হয়। আর এইটা তখন চারপাশের পরিবেশ থেকে নেয় যেমন আমাদের চামড়ার থেকেও কিছু তাপ শুসে নিয়ে গেল। আর শুসে নিয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের শরীর ঠান্ডা অনুভব হয়।

অতিরিক্ত মুখ ঘামার কারণ কি

অতিরিক্ত মুখে ঘা হওয়ার কারণ কি? অতিরিক্ত মুখে ঘাম হবার নির্দিষ্ট কোনো কারণ থাকে না। কারণ মুখে ঘাম বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন বংশগত সমস্যার কারণে মুখে ঘাম হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার ফলে মুখে ঘাম হতে পারে, যেমন- ইনসুলিন, পিলোকারপিন ইত্যাদি ধরনের ওষুধ। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম আমাদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। কোন ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে মুখে ঘাম হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ অতিরিক্ত মুখে ঘাম হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নেবেন।

কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে

কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে? মূলত ভিটামিন বি-২ এর অভাবে গা ঘামে। এজন্য ভিটামিন বি-২ যে খাদ্যগুলো রয়েছে, ভিটামিন বি-২ যুক্ত খাদ্যগুলোর বেশি পরিমাণে খেতে হবে। ভিটামিন বি-২ এর খাদ্য যেমন কলা, ডিম, দুধ, গাজর, টমেটো, সবুজ শাক, মাছ, কাঠবাদাম ইত্যাদি। সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর ভিটামিন যুক্ত খাদ্য খেলে আপনার আর অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা হবে না।

মাথা ঘামলে কি চুল পড়ে

গরমের সময় হোক বা ঠান্ডার সময় হোক যে কোন সময় আমাদের শরীর ঘামতে পারে। সারা বছর ধরে অনেকের হাত, পা, মাথা, এমনকি শরীরের বিভিন্ন জায়গা ঘেমে যায়। মাথা ঘামার ফলে চুল পড়ে যেতে পারে। চুলের গোড়া ভিজে থাকার কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। যদি মাথাতে অতিরিক্ত চুল পড়ে সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘামের ফলে আপনার মাথাতে চুল পড়তে পারে।
আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে অতিরিক্ত ঘামের ফলে চুলের গোড়ায় ঘাম থেকে এক ধরনের টক্সিক যুক্ত উপাদান বের হয়। এই টক্সিক উপাদানটি আমাদের চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এই টক্সিক উপাদান এর ফলে চুল পড়ার মতো চুল পড়ার মত যেমন সমস্যা দেখা দেয় এবং তার সাথে চুলের গোড়ায় বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হতে পারে।

লেখক এর মন্তব্য

অতিরিক্ত ঘাম সকলের জন্য বিরক্তকর একটি কারণ। আমাদের শরীরে ঘাম যেমন উপকার করে তেমন ক্ষতি কারণ হতে পারে। কারণ অতিরিক্ত খারাপ বিভিন্ন রোগের লক্ষণ। এজন্য অকারণে অতিরিক্ত ঘামলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাজ থেকে চিকিৎসা নেবেন।প্রিয় গ্রাহক এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url