মাথা ব্যাথা ঔষধের নাম-মাথা ব্যাথার মলমের নাম

প্রিয় গ্রাহক মাথাব্যথা ওষুধের নাম অথবা মাথাব্যথা মলমের নাম খুঁজছেন? পৃথিবীতে কম মানুষ পাওয়া যাবে যাদের মাথা ব্যাথা হয় না। মাথাব্যথা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। এ পোস্ট থেকে আপনি খুব সহজে মাথাব্যথা ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
মাথা ব্যাথা ঔষধের নাম - মাথা ব্যাথার মলমের নাম
এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল যাদের মাথা ব্যথা হয় না। বিভিন্ন ওষুধ খাবার পরেও মাথা ব্যথা ভালো করার কোন উপায় পাওয়া যায় না। মাথা ব্যথার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ সম্পর্কে সকলের ধারণা থাকা দরকার।

ভূমিকা

মাথা ব্যাথা ঔষধের নাম? মাথাব্যথায় প্রতিটা মানুষ কম বেশি ভুগে থাকে। মাথা ব্যথার প্রকারভেদ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে আপনার মাথাব্যথা হয় যেমন-বিভিন্ন টেনশন করার ফলে, ডিপ্রেশনে ভুগলে, এছাড়াও পানি কম খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। মাথা ব্যথা হলে কি আপনার কোন বড় সমস্যা হয়েছে এটা কখনো ভাববেন না। আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন ৯০ ভাগ মাথা ব্যাথা কোনো ঝুকি নেই।এই পোস্ট থেকে বিশেষ করে জানতে পারবেন মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়।

মাথা ব্যাথা ঔষধের নাম

প্রত্যেকটি ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎস বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখবে, আপনার জন্য কোন ওষুধটা প্রয়োজন। সুতরাং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ সেবন করবেন না। নিম্নলিখিত ৮টি ওষুধের কথা বলব, যেগুলো চিকিৎসকরা মাথাব্যথার কারণে বেশি দিয়ে থাকে, মাথা ব্যাথা ঔষধের নাম-
মাথা ব্যাথা ঔষধের নাম
Migratol (মিগ্রাটল)Beacon Pharmaceuticals Ltd.Tablet
Tolfem (টলফেম)SQUAETablet 200 mg
Tufnil (টাফনিল)Eskayef Bangladesh Ltd.Tablet 200
Tolmic (টলমিক)Beximco Pharmaceuticals Ltd.200 mg
Anilic ( এনিলিক)Drug International Ltd.200 mg
Lograin (লজরিন)Opsonin Pharma Ltd.Tablet
Arain (আরিন)Opsonin Pharma Ltd.200 mg
Minopa (মিনোপা)Medicon Pharmaceuticals Ltd.Tablet

  • Migratol (মিগ্রাটল): মিগ্রাটল ওষুধটি মাথাব্যথা কমাতে খুব ভালো কাজ করে। এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে আপনার মাথা ব্যাথা কমে যাবে। এই ওষুধটি খাবার আগে অবশ্যই মাথা ব্যথার মাত্রা দেখে খেতে হবে। অবশ্য নিকটবর্তী ডাক্তার এর কাছ থেকে পরামর্শ নিন।
  • Tolfem (টলফেম): মাথা ব্যথার সবচেয়ে ভালো কাজ করে এই ঔষধ। মাইগ্রেন জনিত মাথাব্যথা সকল সমস্যা, যেমন- তীব্র মাথাব্যথা, ঘন ঘন মাথা ব্যথা ইত্যাদি এই ওষুধটি ভালো ভূমিকা পালন করে। আর যাদের মাইগ্রেনের তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে, বেশিরভাগ ডক্টর টলফেম ওষুধটি দিয়ে থাকে।
  • Tufnil (টাফনিল): এই ওষুধটি মূলত মাইগ্রেনের মাথাব্যথা এছাড়া অপারেশনের পরে মাথা ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। বেশিরভাগ ডাক্তার মাথা ব্যথার কারণে এই ওষুধটি দিয়ে থাকে, কিন্তু সব ধরনের মাথাব্যথাতে এর ব্যবহার হয় না, শুধুমাত্র মাইগ্রেন জনিত মাথাব্যথাতে এ ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধটি সেবনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।Tufnil ওষুধ খাবার নিয়ম বিভিন্ন মাত্রার উৎস হতে পারে, প্রাথমিক মাত্রায় সমস্যা দেখা দিলে ১০০ থেকে ২০০ এমজি একটি করে খেয়ে নিতে হবে। অতিরিক্ত সমস্যা হলে এক ঘন্টা পরে আরেকটি ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
  • Tolmic (টলমিক): টনিক ওষুধ মাথা ব্যাথা ভালো করতে সাহায্য করে। আর যে কোন ওষুধ খাবারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ মাথাব্যথা ধরন দেখেই বিবেচনা করা হবে আপনার কি ওষুধ প্রয়োজন।
  • Anilic ( এনিলিক): দ্রুত মাথা ব্যাথা কমাতে ওষুধটি খুব ভালো কাজ করে। এছাড়া এই ওষুধটি অপারেশন করার পর যে ব্যথা হয়, সে ব্যথা নিরাময় করতে ভালো ভূমিকা রাখে। আর মনে রাখবেন শিশুদের জন্য এই ওষুধটি প্রযোজ্য নয়। এজমা, হৃদ রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, যকৃতির সমস্যা এছাড়া বয়স্ক রোগীদের এই ওষুধটি খাওয়ানোর আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। খাওয়ার নিয়ম-তীব্র মাথা ব্যথায় ২০০ এমজি ট্যাবলেট এবং ১ থেকে ২ ঘন্টা পর আবার ২০০ এম জি ট্যাবলেট খেতে হবে। হালকা থেকে মধ্যম ব্যথায়-১০০ থেকে ২০০ এম জি ট্যাবের দিনে তিনবার।
  • Lograin (লজরিন): Lograin জেনেটিক নাম হল- টলফেনামিক এসিড। Lograin ওষুধটি সাধারণত যে সকল মানুষের মাইগ্রেনের ব্যথা রয়েছে, মাথা ভার হয়ে থাকে এছাড়াও যাদের অতিমাত্রায় মাথাব্যথা রয়েছে তাদেরকে মূলত এই ওষুধটি দেওয়া হয়। Lograin ওষুধটি খাওয়ার নিয়ম হল- দৈনিক এক বেলা করে এই ওষুধটি খেতে হবে। আর Lograin ওষুধ মূলত মাথা ব্যথা হওয়ার শুরুতে খেতে হয়। তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শের ওষুধ সেবন করুন।
  • Arain (আরিন): Arain জেনেটিক নাম হল- টলফেনামিক এসিড। এই ওষুধটি সাধারণত Arain নামে পাওয়া যায়। এই ওষুধগুলো দেয়া হয় মূলত যাদের- অতিরিক্ত মাত্রায় মাথাব্যথা করা, সহজে মাথা ব্যথা না কমা, মাথা গরম হয়ে থাকা, তীব্র মাথা ব্যাথা। Arain ওষুধ মূলত দৈনিক এক বেলা করে একটি করে ওষুধ খেতে পারেন। তবে এই ওষুধটি মাথা ব্যথার শুরু হওয়ার পরে খাওয়া উচিত। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
  • Minopa (মিনোপা): মিনোপা একটি মাথা ব্যথার ঔষধ। মিনোপা ওষুধ মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তবে আপনার মাথা ব্যথার পরীক্ষা করে ওষুধ খাওয়া উচিত। এজন্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে মাথা ব্যথার ওষুধ সেবন করতে হবে।
সতর্কঃ প্রতিটা ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। যে কোন ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া আবশ্যক। কারণ মাথাব্যথা প্রকারভেদ দেখে মূলত ডাক্তাররা ওষুধ দিয়ে থাকে। আপনি যদি ভুল ওষুধ খেয়ে ফেলেন দাওয়া অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার বিপরীত প্রতিক্রিয়া হবে। এর জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করুন।

মাথা ব্যাথার মলমের নাম

মাথাব্যথা সমস্যা নিয়ে আপনি কি চিন্তিত? মাথা ব্যথার সমস্যা দূর করতে অনেক ধরনের মলম পাওয়া যায়। এ সকল মলমের মধ্যে সেরা কয়েকটি মলম যে মলম গুলোর ব্যবহারের ফলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না। এছাড়া মাথা ব্যথা খুব দ্রুত ভালো করতে সাহায্য।
  • Zandu Balm
  • Moov
  • Tiger Blam
  • Torel
  • Voligel
এই মলমগুলো ব্যবহারের ফলে মাথাব্যথা দ্রুত ভালো করে। এছাড়া মাথা ব্যথার পাশাপাশি শরীরের যেকোনো প্রান্তের ব্যথা যেমন-হাতে ব্যথা, পায়ে ব্যথা, কোনুতে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা পেটে ব্যথা ভালো করতে সাহায্য করে। এই মলম সম্পর্কে বিস্তারিত জানান-
  • Zandu Balm মলমঃ Zandu Balm মাথা ব্যথা কমানোর একটি ভালো মলম। Zandu Balm মলম যেমন আপনার মাথা ব্যথা ভালো করে, এর পাশাপাশি আপনার সর্দি ভালো করে থাকে। আপনার নাকে একবার লাগিয়ে দেখুন সর্দি ভালো হয়ে যাবে। Zandu Balm মলমের উপকারিতা অপরিসীম। মাথা ব্যথার জন্য এই মলমটি নির্ভয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
  • Moov মলমঃ Moov মূলত শরীরের যেকোনো ব্যাথা দূর করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মলম। Moov বললাম কি আপনার শরীরের যে কোন স্থানে ব্যথা দূর করে দেয়। Moov কোন সাইড ইফেক্ট নেই। এছাড়া সর্দি-কাশি মুখ ভালো হয়। গলা এবং না খেয়ে দেয়ার পরে আপনার সঠিক আছে ভালো হয়ে। আবার কোথাও কাটা স্থানে Moov দেওয়ার ফলে সেই স্থান ভালো হয়ে যায়। মাথা ব্যথা বা শরীরের যেকোনো ব্যাথা সারাতে মুভ ব্যবহার করতে পারেন।
  • টাইগার মলমঃ টাইগার মলম দ্রুত মাথাব্যথা সারায়। টেনশন বা অতিরিক্ত চিন্তার কারণে মাথাব্যথা হলে, এই মলমটি ব্যবহার করুন দেখবেন খুব দ্রুত মাথা ব্যথা সেরে গেছে। টাইগার মলম আপনার কপালে খুব ভালোভাবে লাগিয়ে দিবেন এবং সামান্য ডোরবেন তাহলে দেখবেন আপনার মাথা ব্যথা খুব দ্রুতই ভালো হয়ে গেছে।
  • Torel মলমঃ Torel মলম মূলত একটি স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ। Torel মলম যে সকল গ্রুপ রয়েছে- Methyl Salicylate 30% + Menthol 10% + Camphor 4% Topical। Torel মলম শুধুমাত্র মাথাব্যথা নয়, শরীরের যেকোনো প্রান্তের ব্যাথা সারাতে খুব ভালো কাজ করে। যেমন-ঘাড়ে ব্যথা, হাতে ব্যথা, পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি ব্যথা ভালো করে থাকে। মাথাব্যথা হলে Torel মলমটি দিলে খুব দ্রুত কাজ করে। এছাড়াও জয়েন্টে বা গিরায় গিরায় ব্যাথা থাকলে Torel ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • Voligel: Voligel জেনেটিক নাম হল- Diclofenac Sodium। এই জেলটি আপনার ঘাড়ে ব্যথা মাথাব্যথা হাটুতে ব্যথা ইত্যাদি ব্যথা যুক্ত স্থান ভালো করতে সাহায্য করে। ব্যথাযুক্ত স্থানে লাগানোর কিছুক্ষণ পরেই ব্যথা ঠিক হয়ে যায়। এছাড়া কোন খেলাধুলা করার ফলে ইঞ্চুরি হলে, এই জেলটি লাগান খুব দ্রুতই ভালো হয়ে যাবে। যেটি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার ব্যথাযুক্ত স্থানে লাগাতে হবে। জেল লাগিয়ে ডলা যাবে না শুধু লাগিয়ে রাখতে হবে। এই জেলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

মাথা ব্যথা কমানোর ৪টি উপায়

আপনি কি জানেন ১০টি জিনিস আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনের সম্মুখীন যা আপনার মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। জেনে নিন যে কোন দশটি জিনিস আপনার মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে এবং ব্যবহার না করলে আপনার মাথা ব্যথা কমে যেতে পারে।
  • মোবাইল ফোনঃ আমরা সকলে ইউটিউব, ফেসবুক ভিডিও, টিকটক ইত্যাদি বিষয়ে সময় নষ্ট করি। বাস্তব কথা হলো-যখন আমরা ক্রমাগত দীর্ঘ সময় চোখের চাপ দিই এটি মূলত মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে। আপনি প্রতি ২০ মিনিটে ২০ ফুট দূরে একটি বিন্দু বাছাই করেন, এবং আপনি ২০ সেকেন্ডের জন্য সেই বিন্দুর দিকে তাকিয়ে থাকেন। এটি আপনার চোখের এক মুহুর্ত রিসেট করতে, পুনরায় ক্যালিব্রেট করতে এবং তাদের উপর যে চাপ পড়েছে তার হ্রাস করতে দেয়। অতঃপর, আপনার মাথা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কম হয়।
  • ক্যাফিনের অভাবঃ আমি ক্যাফিন প্রত্যাহারের কথা বলছে। আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্যাফিন গ্রহণ করেন এবং হঠাৎ করে এটি বন্ধ করে দেন, তাহলে আপনি প্রত্যাহার করতে পারেন যার ফলে মাথাব্যথা, কুয়াশা, বিরক্তি এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ক্যাফিন প্রত্যাহারের লক্ষণ গুলি অনুভব করার জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত। আপনি যখন ক্যাফিন গ্রহণ করেন তখন আপনার মস্তিষ্কের মধ্যে রক্তনালী গুলো সংকুচিত করে।
  • বালিশঃ পৃথিবীতে অনেক মানুষ তার জীবনে এক তৃতীয়াংশ ঘুমিয়ে কাটায়। আপনার ঘুমের আরাম ঘার ব্যথা এবং মাথা ব্যাথার ক্ষেত্রে পরের দিন সকালে আপনি কেমন অনুভব করেন তার সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত। আপনার ঘুমানোর ধরন খারাপ আপনার মাথা ব্যথা হতে পারে। সুতরাং স্বরূপ, যদি আপনি আপনার পিঠে ঘুমান, আপনার তেমন বালিশ এর প্রয়োজন নেই। আপনার মেরুদন্ড একটি নিরপেক্ষ স্থানে থাকে। কিন্তু আপনি যদি একদিকে কাথ হন, তারলে আপনার মাথা কি উপরে তুলতে এবং আপনার মেরুদন্ডকে নিরপেক্ষ অবস্থায় রাখতে সাহায্য করার জন্য, আপনার সেই অতিরিক্ত স্তরের সমর্থন প্রয়োজন, আপনার ঘাড়ে ব্যাথা টেনশনের মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে।
  • মাখনঃ এটি পনির এবং ওয়াইন। এই দুইটা খাবার যা সাধারণত একসাথে খাওয়া হয়। তবে মাইগ্রেনের সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য ট্রিগার হতে পারে। কেন এটা ঘটবে? কারণ টাইরামিন নামে পরিচিত একটি পর্দা রয়েছে যা খাবারে পাওয়া যায়। নীল পনির, পারমেসান, সুইস পনির, ওয়াইন ইত্যাদি। যা মস্তিষ্কে রক্তনালীকে প্রাথমিক ভাসোকনস্ট্রিকশন সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে মাথা ব্যথা হয় না।

মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়

টেনশন টাইপ মাথাব্যথাঃ মাথাব্যথা হওয়ার কারণ এর মধ্যে, টেনশনে মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষ টেনসনে ভুগে। এজন্য আপনার টেনশন কমাতে হবে তাহলে মাথাব্যথা সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবে।
  • ঘুমের কারণে মাথাব্যথাঃ ঘুমের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। হঠাৎ মানসিক চাপ কমে যাওয়ার ফলে মাথায় এক ধরনের হরমোন কমে যায়। ফলে মাথাব্যথা হতে পারে, তবে ঘাবড়ে যাবেন না অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে মাথা ব্যাথা হতে পারে। ৮ ঘন্টার বেশি ঘুমানোর ফলে মাথাব্যথা হতে পারে। আবার অনেকের ঘুম কম হওয়ার ফলে মাথাব্যথা হতে পারে। ঘুম কম হওয়ার ফলে মস্তিষ্কে ব্যথা অনুভব ক্ষমতা বেড়ে যায়। এর জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। ঘুমানো যাবে না এবং কম কমানো যাবে না নিয়ম মেনে ঘুমাতে হবে।
  • বিভিন্ন ধরনের খাবারঃ বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন-চা, কফি, পানি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার ফলে মাথা ব্যাথা হতে পারে। এ ধরনের খাবার অবশ্যই কম পরিমাণে খাবেন।
  • পানিঃ পানির সল্পতার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। অনেকেই বুঝতে পারে না, যে কখন পানির সল্পতা দেখা দিচ্ছে। শুধু বমি বা ডায়রিয়া জন্য পানি স্বল্পতা দেখা দেয় না, তার পাশাপাশি আপনি অতিরিক্ত ঘামলে এবং পানি কম খেলে পানি স্বল্পতা হতে পারে। দিনে অন্তত দুই লিটার পানি খেতে হবে। মাথা ব্যাথা শুরু হলে যথেষ্ট পরিমাণে পানি খাবার চেষ্টা করবেন।
  • কোনবেলা খাবার না খাওয়াঃ সঠিক মত খাবার না খেলে মাথা ব্যথা করতে পারে। কারণ আমরা যে খাবার খাই এই খাবার থেকে শরীর একপ্রকার চিনি তৈরি করে, যেগুলো ব্রেনের খাবার হয়ে থাকে। আর খাবার না খাওয়ার ফলে চিনির পরিমাণ কমে যায় ফলে আপনার মাথা ব্যাথা হয়। সমাধান হলো কোন বেলার খাবার বাদ দেওয়া যাবেনা মাথাব্যথা হলেও খাবার খেতে হবে।
  • শুয়ে-বসে থাকাঃ সারাদিন শুয়ে বসে থাকার ফলে আপনার শারীরিক পরিশ্রম কম হয়। আর শারীরিক পরিশ্রম কম হওয়ার ফলে আপনার মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। এজন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে।
  • মানসিক চাপঃ মানসিক চাপ মাথা ব্যাথার একটি কারণ। কোন বিষয়ের কারণে মানুষের চাপে থাকলে অবশ্যই সে বিষয় থেকে দূরে থাকবেন। আর যত দ্রুত পারেন সমাধান করে নিন।

মাথা যন্ত্রণা কমানোর ব্যায়াম

মাথার যন্ত্রণা কমানোর জন্য কোন ব্যায়াম করলে আপনার দ্রুত মাথা যন্ত্রণা কমে যাবে। মাথার তিনটা বেস্ট ব্যায়াম রয়েছে, এই ব্যাংকগুলো করলে আপনার মাথা ব্যথা বা মাথা যন্ত্রণা কমে যাবে।
  • আপনার সিনা টাকে টান করে ঘাড় একদম শক্ত করে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড থাকতে হবে। এই ব্যায়ামটি সকাল, দুপুর, রাত তিন বেলায় করতে হবে। এভাবে রেগুলার ৭ থেকে ১০ দিন ব্যায়াম করার ফলে আপনার মাথা যন্ত্রণা বা মাথাব্যথা কমবে।
  • বাম হাত পিঠের পেছনে দিতে হবে এবং ডান হাত মাথা উপরে রেখে ডান দিকে মাথা বাকাতে হবে। মাথা ডান দিকে বাঁকানোর পড়ে এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনবেন। ঠিক একইভাবে বাম হাত দিয়ে বাম দিকে মাথা বাকি একই ব্যায়াম করবেন। এই ব্যায়ামটি সকাল, দুপুর, রাতে এই তিন বেলা করতে হবে।
  • কোন শক্ত ফিতা বা বেল্ট দিয়ে এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। বেল্ট বা ফিতা মাথার পেছনে অক্সিপট নামে একটি স্থান রয়েছে ওখানে ধরে দুই হাতে টান দিয়ে একবার ডানে এবং বামে নিতে হবে। এই ব্যায়ামটি ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড করলেই হবে। এভাবে সকাল, দুপুর এবং রাতে ব্যায়াম করতে পারেন।
এই তিন ধরনের ব্যায়াম যদি আপনি নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে আপনার মাথা ব্যাথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘাড় ব্যথা বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং শরীরকে সুস্থ রাখুন।

মাথা ব্যথা কমানোর দোয়া

যে দোয়া পড়ার ফলে আল্লাহ তাআলা সাথে সাথে আমাদের মাথাব্যথা দূর করে দেয়। আর এই দোয়াটি পরীক্ষিত তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন দোয়া পড়লে আল্লাহ তাআলা মাথা ব্যথা দূর করে দেন।

لَا يُصَدَّعُوْنَ عَنْهَا وَلَا يُنْزِفُوْنَ
লা-ইযু ছদ্দা‘ঊনা আনহা-অলা-ইযুংঝিফূন

জার মাথায় সমস্যা তার মাথায় হাত রেখে এই দোয়াটি তিনবার পাঠ করে ফু দিবেন। আল্লাহর রহমতে তার মাথাব্যথা কমে যাবে। আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে মাথা ব্যাথার ধরন বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কারো যদি কারণে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে এই দোয়া পড়ে কাজ হবে না, কারণ তার খাবার খেলে মাথা ব্যথা ভালো হবে। তবে যাদের অযথা মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে, এই দোয়া তোরে ফু দেন ইনশাল্লাহ ভালো হয়ে যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url