গলা ব্যথার ওষুধের নাম - গলা ব্যাথার কারণ

প্রিয় গ্রাহক আপনার কি গলা ব্যথা হয়েছে? গলা ব্যথার ওষুধের নাম এছাড়া গলা ব্যাথার কারণ সম্পর্কে জানার জন্যই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজ করছেন? আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি খুব সহজে গলা ব্যথা সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।
গলা ব্যথার ওষুধের নাম - গলা ব্যাথার কারণ
পোস্ট সূচিপত্রঃ গলা ব্যথা বিভিন্ন অসুস্থতা বিভিন্ন সমস্যার সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারে এবং বিভিন্ন কারণে গলা ব্যথা হতে পারে। গলা একটি সাধারণ সমস্যা এই সমস্যার সময়ের সাথে পরিবর্তন হতে পারে।

ভূমিকা

গলা ব্যথার ওষুধের নাম? গলা ব্যাথা হতে পারে ঠান্ডার কারণে বা গরম পানি খাবারের ফলে, এছাড়াও হাঁপানি, এলার্জি বা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া কারণে হতে পারে। গলা ব্যথা বা গলার ভিতরে সমস্যা হতে পারে ব্যক্তিগত দৈনন্দিন কার্যকলাপে এবং জীবনযাপনের প্রভাবে গলা ব্যথা হতে পারে। গলা ব্যাথা অল্প থেকে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। গলা পথে নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত গলা ব্যথা করলে আপনি ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে পারেন। এছাড়া বাড়িতে বসে ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসক নিতে পারেন।

গলা ব্যাথার কারণ

গলা ব্যথা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। গলা ব্যথা হতে পারে কিছুদিনের জন্য বা দীর্ঘস্থায়ী। গলা ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে আপনার বিভিন্ন সমস্যা, যেমন- ক্যান্সার বা প্রকৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। গলা ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা কোন জটিল সমস্যা যুক্ত হয় তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক গলা ব্যথার কিছু সাধারণ কারণ -
  • এলার্জিঃ এলার্জির কারণে গলা ব্যথা হতে পারে। অনেকের মাছ-মাংস বা বিভিন্ন শাকসবজিতে এলার্জি থাকে। যাদের এসব খাবারের এলার্জি রয়েছে, এই খাবারগুলো খাবার ফলে আপনার গলা ব্যথা করতে পারে।
  • ভাইরাস ইনফেকশনঃ ভাইরাসের ইনফেকশন যেমন-সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, জ্বর এছাড়া অন্যান্য ভাইরাসে ইনফেকশনে কারণে গলা ব্যাথা হয়ে থাকে।
  • ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশনঃ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের ফলে গলা ব্যথা হতে পারে, যেমন টনসিলাইটিস বাই স্ট্রেপ।
  • অ্যাসিডিটি বা পচনের সমস্যাঃ পচনের সমস্যা বা অ্যাসিডিটি থাকলে গলা ব্যথা হয়।
  • ধূমপানঃ নিয়মিত ধূমপান করার ফলে গলা ব্যথা হতে পারে, এর সাথে বিভিন্ন অসুখ যেমন- কক বা কাশি মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • পরিবর্তনশীল কারণঃ আবহাওয়া পরিবর্তন যেমন- ঠান্ডা, প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে থাকা ইত্যাদি কারণে হতে পারে।
সাধারণ এই সকল কারণ ছাড়াও অন্যান্য কারণে জন্য গলা ব্যথা হতে পারে এজন্য অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। যখন গলা ব্যথা অনুভব করবেন অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

গলা ব্যথার ওষুধের নাম

গলা ব্যথা হলে আমরা ওষুধ খেয়ে থাকি। গলা ব্যথার মূল কারণ এর উপর ভিত্তি করেই মূলত ডাক্তারের ঔষধ দিয়ে থাকে। গলা ব্যথা হতে পারে বিভিন্ন কারণে তার মধ্য ইনফেকশন এর কারণে গলা ব্যথা হয়ে থাকে। গলা ব্যথার কিছু ওষুধ এর নাম নিচে দেয়া হলো
গলা ব্যথার ওষুধের নাম
এন্টিহিস্টামিনিক ওষুধসেটিরিজিন (Cetirizine)৫ বা ১০ মিলিগ্রামের
Fexofenadine(ফেক্সোফেনাডাইন)১২৫ থেকে ২৫০ মিলিগ্রাম
Rupatadine (রুপাটাডিন)১০ মিলিগ্রাম
ডিকংজেস্টেন্টডায়মল্ফার (Dextromethorphan)৫ থেকে ৩০ মিলিগ্রাম
গুয়ায়াফেনেসিন (Guaifenesin)৫ থেকে ১০ মিলিগ্রাম
নন-স্টেরোয়িডাল
এন্টি-ইনফ্লামেটরি
ওষুধ
ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen)ট্যাবলেটে ২০০ মিলিগ্রাম
নাপ্রোক্সেন (Naproxen)২৫ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম
প্রমুক্তারক ওষুধহ্যাইড্রোকোডোন (Hydrocodone)১০ মিলিগ্রাম
ডিক্লোফেনাক (Diclofenac)৫০ মিলিগ্রাম বা ১০০ মিলিগ্রাম
আসপিরিন (Aspirin)১০০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম
ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen)২০০ মিলিগ্রাম

এন্টিহিস্টামিনিক ওষুধঃ এই ওষুধগুলো এলার্জিজনিত গলা ব্যথা ভালো করে। এন্টিহিস্টামিনিক এরমধ্য তিনটি ওষুধ হল-
  • সেটিরিজিন (Cetirizine): ঔষধটি একটি ব্যাথা নাশক ঔষধ। সেটিরিজিন অতি বাজারে Alatrol নামে পাওয়া যায়। এই ওষুধটি খাবারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কারণ সঠিক ডোজ স্যার ওষুধ খেলে ক্ষতি হবে। আর মনে রাখবেন সেটিরিজন অথবা এর পরবর্তী যৌগ হাইড্রোক্সিজেনের সংবেদনশীল রোগের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ।
  • Fexofenadine(ফেক্সোফেনাডাইন): এই ওষুধটি ব্যাথা নাশক ঔষধ। এই ওষুধ বাজারের বিভিন্ন নাম পাওয়া যায় যেমন- Fexo, Fenadin, Fexofast। এটি মূলত ইরাইথ্রোমাইসিন (Eromycin, A mycin, Etroccin) বা কিটোকেনাজলের সাথে ব্যবহার সেক্সিফেনাডিন এর ঘনত্ব বৃদ্ধি হয়। ওষুধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • Rupatadine (রুপাটাডিন): এই ওষুধটি ব্যথা নাশক ওষুধ। রুপাটাডিন এটি বাজারে রুপা ১০ মিলিগ্রাম বা অন্যান্য কোম্পানির ওষুধ রয়েছে। Rupatadine একটি অ্যান্টিহিস্টামিনিক ওষুধ। এই ধরনের ওষুধ খাবারের পূর্বে অবশ্যই সঠিক ডোজ নির্ধারণ করতে হবে। এজন্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন।
ডিকংজেস্টেন্টঃ এই ওষুধগুলো গলা ব্যথার সাথে কাশি ভালো করে। ডিকংজেস্টেন্ট এরমধ্য দুইটি ওষুধ হল-
  • ডায়মল্ফার (Dextromethorphan): অতিরিক্ত ব্যথা সারাতে এই ওষুধটি ডাক্তার দিয়ে থাকেন। এই ওষুধটি ব্যথার পাশাপাশি হাঁপানি, সাইনাস, এলার্জি এছাড়া সম্পর্কিত রোগ ভালো করতে ব্যবহার হয়। ওষুধ কি খাবারের পূর্বে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থেকে পরামর্শ নিবেন। কারণ আপনার অসুস্থর পরিমান দেখে ডাক্তারের ডোজ নির্ণয় করবে। ডায়মল্ফার (Dextromethorphan) ওষুধ কি বিভিন্ন হতে পারে যেমন-ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ ইত্যাদি।
  • গুয়ায়াফেনেসিন (Guaifenesin): এই ওষুধটি ব্যথা নাশক ওষুধ। তবে ব্যথার পাশাপাশি কফ, ঠান্ডা হলে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধটি খাবেন না। কারণ প্রতিটা ওষুধের ডোজ রয়েছে। আপনার অসুস্থর ভিত্তিতে ডাক্তাররা বিভিন্ন ডোজ দিয়ে থাকে। এই ওষুধটি রোগীর বয়স অনুযায়ী ডোজ নির্ণয় হয়।
নন-স্টেরোয়িডাল, এন্টি-ইনফ্লামেটরি ওষুধঃ এ ধরনের সকল ওষুধ গলা ব্যথা ভালো করে। নন-স্টেরোয়িডাল, এন্টি-ইনফ্লামেটরি এরমধ্য দুইটি ওষুধ হল-
  • ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen): এই ওষুধটি মূলত ব্যাথা নাশক ঔষধ, কিন্তু এই ওষুধ খাবারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। ইবুপ্রোফেন ব্যথার পাশাপাশি অন্যান্য রোগ ভালো করে। আপনার ব্যথার ভিত্তিতে ডাক্তার বিভিন্ন ডোজ দিবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না।
  • নাপ্রোক্সেন (Naproxen): এই ওষুধটি মূলত এন্টি ইনফ্লামেটরি ওষুধ এবং ব্যথা কমানোর ওষুধ।নাপ্রোক্সেন এই ওষুধটি ২৫ মিলিগ্রাম থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম মধ্যে থাকে। নাপ্রোক্সেন ওষুধটি বিভিন্ন নামে মার্কেটে রয়েছে যেমন- Aleve, Anaprox, Naprosyn ইত্যাদি। আপনার ব্যথার উপর ভিত্তি করে ডাক্তাররা বিভিন্ন দোষ দিয়ে থাকে এজন্য অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই ওষুধ সেবন করবেন।
প্রমুক্তারক ওষুধঃ এই ধরনের ওষুধ গুলো গলা ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। এই ওষুধ গুলোর মধ্যে-
  • হ্যাইড্রোকোডোন (Hydrocodone): এই ওষুধটি মূলত মাংস পেশি ব্যথার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধটি অতিরিক্ত গলা ব্যথা বা তীব্র ব্যথা ভালো করে। হ্যাইড্রোকোডোন ওষুধটি যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় তাহলে অধিকাংশ তীব্র ব্যথা ভালো করতে সাহায্য করে। হ্যাইড্রোকোডোন ওষুধের ১০ মিলিগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করবেন না।
  • ডিক্লোফেনাক (Diclofenac): এই ওষুধটি শরীরের মধ্যে যে কোন ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এই ওষুধটি ব্যথার পাশাপাশি জীবাণু ও জ্বালানি প্রক্রিয়া নির্মূল করতে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ব্যাথা চিকিৎসার সাথে অন্যান্য অসুস্থ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। অবশ্যই এই ওষুধ সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। ডাক্তার এই ওষুধ মূলত ৫০ মিলিগ্রাম বা 100 মিলিগ্রাম পাওয়ারের দিয়ে থাকে।
  • আসপিরিন (Aspirin): এই ওষুধটি খাবারের ফলে ব্যথা দূর হয়। আসপিরিন ওষুধটি পাওয়ার বিভিন্ন মাত্রা হতে পারে যেমন ১০০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম ইত্যাদি। ব্যথা ধরন দেখে মূলত এই ওষুধটি ডোজ নির্ধারণ করা হয়। আসপিরিন ওষুধ সেবনের আগে ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নেন।
  • ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen): এই ওষুধটি খাবারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার অত্যন্ত জরুরী। এই ওষুধ খাবারের জন্য সঠিক পরামর্শ না হলে ঝুঁকি মধ্যে পড়তে পারেন। ডাক্তাররা এই ওষুধের ২০০ মিলিগ্রাম প্রতি ট্যাবলেট দেয়। প্রতিটা মানুষের বয়স, ওজন এবং অবস্থান উপর ভিত্তি করে ট্যাবলেটের ডোজ দেওয়া হয়।
এই সকল ওষুধগুলো খুব সহজে আপনি ওষুধের ডিসপেন্সার এর দোকানে পেয়ে যাবেন। তবে মনে রাখবেন কোন ওষুধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। কিছু কিছু ওষুধের জন্য সাইড ইফেক্ট হতে পারে এজন্য অবশ্যই ডাক্তারের মতামত নেবেন।

ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয়

ঠান্ডায় আমরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ি যেমন- সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, ঢোক গিলতে সমস্যা ইত্যাদি। সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি ঠান্ডায় গলা ব্যথা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। ভাইরাস সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট প্রদাহের কারণে গলা ব্যথা হতে পারে। জেনে নিন ঠান্ডায় গলা ব্যাথা হলে কি করবেন-
  • উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন
  • হালকা গরম পানির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন গড়গড়া করুন
  • ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলুন
  • পানি খাবারের সময় কুসুম গরম পানি পান করুন
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে আরাম করুন
  • শুষ্ক পরিবেশে বা উষ্ণতায় থাকুন
  • অতিরিক্ত গলা ব্যাথা করলে ওষুধ সেবন করুন
এ সকল উপায় যদি কার্যকর না হয় অতিরিক্ত গলা ব্যথা করলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন। কারণ এই গলা ব্যথা বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হয়ে থাকে। এর জন্য দীর্ঘদিন গলা ব্যথা করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত

আমাদের প্রায় মানুষের গলা ব্যথা সমস্যা নিয়ে ভুগি। গলা ব্যথা নিরাময় করার বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া রয়েছে। গলা ব্যথা সারানোর জন্য কিছু খাবার খেতে হবে। খাওয়ার পরে আপনার গলা ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।গলা ব্যথা হলে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে গলা ব্যাথার সমস্যা অনেকটাই ভালো হয়ে যায়।
  • শুষ্ক খাবারঃ কিছু শুষ্ক খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে গলা ব্যথা কমিয়ে তুলতে পারে, যেমন- টোস্ট,বিস্কুট,রুটি ইত্যাদি।
  • গরম পানিঃ গরম পানি খেলে গলা ব্যথা অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে।
  • তাজা ফল ও সবজিঃ গলা ব্যথা হলে তাজা ফলো সবজি বেশি বেশি করে খেতে হবে। কারণ সবজিতে অনেক পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো গলা ব্যাথায় সারাতে সাহায্য করে।
  • গরম দুধ ও মধুঃ গলা ব্যথা করলে গরম দুধ ও মধু খেতে পারেন এতে আপনার গলা ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।
গলা ব্যথা হলে অবশ্যই পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং গরম খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত গলা ব্যথা হলে বা দীর্ঘদিন ধরে গলা ব্যথা হলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন। গলা ব্যথা অন্য কোন রোগের কারণে হতে পারে এজন্য চিকিৎসা নিতে হবে।
ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে ঔষধ

ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয়

ঢোক গিললে গলা ব্যথা করে? এই গলা ব্যথা কিছু সাধারণ অসুস্থ বা অন্যান্য রোগের জন্য হতে পারে। গলা ব্যথা হতে পারে, গলায় ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়া, এলার্জি, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও খাবার ইসরা হাফ পর্যন্ত সমস্যা হলে গলা ব্যথা হয়। এছাড়াও গলায় বিভিন্ন অসুস্থর কারণে গলা ব্যথা হতে পারে। অতিরিক্ত থেকে কোলে ব্যথা হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ দিবেন।

গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

প্রায় সকল পরিবারেই কেউ না কেউ গলা ব্যথায় ভোগেন। গলা ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। আমাদের কিছু অভ্যাসগত কারণের জন্য গলা ব্যথা হতে পারে। অতিরিক্ত পানিতে ভিজে থাকা, অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খাওয়া, ঠান্ডা রুমে অবস্থান নেওয়া, উপযুক্ত কিছু খাবার খাওয়ার ফলে গলা ব্যথা করতে পারে। এছাড়া গলা ব্যথা হবার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। গলা ব্যথা কমানোর জন্য দুটি পথ রয়েছে। একটি হলো একজন ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নেবেন এবং দ্বিতীয় হল দ্বিতীয় ঘরে বসে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিবেন। জেনে নেওয়া যাক গলা ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায়
  • মেথিঃ মেথিতে আছে অনেক গুনাগুন। মেথি সেতু গলা ব্যথা দূর করে না তার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের নিরাময়ী হিসেবে কাজ করে। গলা ব্যথার জন্য আপনি মেথির চা করে খেতে পারেন। মেথির চা আপনার গলা ব্যথা কমাতে বা একেবারে ভালো করতে অনেকটাই সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে মেথির মধ্যে যে সকল উপাদান রয়েছে এই উপাদান গুলো গলা ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মেথির চা করে খেতে পারেন।
  • রসুনঃ রসুনের গুণাবলী ভরপুর। যেকোনো ব্যথা হলে, রসুন খেলে আপনার ব্যথা ভালো হয়ে যায়। প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ হলো রসুন। রসুন বিভিন্ন সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রসুনের প্রচন্ড ক্ষমতায় রয়েছে। রসুন শুধু গলা ব্যথা দূর করেনা এর পাশাপাশি সর্দি, কাসি এবং বিভিন্ন ভাইরাস সংক্রমণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এজন্য রসুন নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ফলে গলা ব্যথার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ নিরাময় করবে।
  • মধুঃ মধুতে প্রচুর পরিমাণে গুনাগুন রয়েছে। চায়ের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা ভালো হয়। গলা ব্যথার পাশাপাশি কাশি, গলার বিভিন্ন অস্বস্তি দূর করে। মধু মূলত সকল রোগের নিরাময়ক ঔষধ। গলা ব্যথা ভালো করার জন্য অবশ্যই চা এর সাথে নিয়মিত মধু মিশিয়ে খাবেন। তাহলে দেখবেন আপনার গলা ব্যথা অনেকটাই কমে গেছে এবং তার পাশাপাশি সর্দি, কাশি থাকে তাহলে ঠিক হয়ে যাবে।

লেখক এর মন্তব্য

আপনার যদি গলা ব্যথা হয় তাহলে আপনি একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন এছাড়া আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতি মাধ্যমে গলা ব্যথা সারাতে পারেন। তবে গলা ব্যথার মাত্রা বেশি বা দীর্ঘদিন হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। হাতের গলা ব্যথা হলে আপনি ঘোড়ার পদ্ধতি অবলম্বন করে গলা ব্যথা ভালো করতে পারে।

প্রিয় গ্রাহক আজকের পোস্ট থেকে আশা করি আপনি গলা ব্যাথার সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক উপকৃত হয়েছেন। এমন ধরনের আরো পোস্ট পেতে হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আজকের এই বিষয়ে আপনার কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url