ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় - ব্লগিং করে টাকা আয়

প্রিয় গ্রাহক আপনি কি ছাত্র জীবনের টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন। তাহলে আজকের পোস্ট শুধু আপনার জন্য কারণ আজকে এই পোস্ট থেকে ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় এ ছাড়াও লগইন করে কিভাবে টাকা আয় করবেন এ সকল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায়
উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালেই দেখা যায় যে তারা খুব সহজেই পড়াশোনা পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্মে তারা টাকা ইনকাম করছে। আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায়, ব্লগিং করে টাকা আয়, এ সকল প্লাটফর্মে থেকে আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে চান? তবে এই আর্টিকেলের নিচে দেওয়া সমস্ত স্টেপগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি খুব সহজেই ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

ছাত্র জীবনে চলার সময় আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর একমাত্র কারণ হলো টাকা। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য পড়াশোনার খরচ চালানো অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়! তাই আপনি চাইলে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পারেন। তাই আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো বিষয় নিয়ে এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে তা হল,

ছাত্র জীবনের টাকা আয় করার উপায়, ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে টাকা ইনকাম, অ্যাপিলিয়েট মার্কেটিং থেকে টাকা আয়, ব্লগিং করে টাকা আয়, ও ই-কমার্স থেকে টাকা আয়, এই সকল বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, তাই আপনি যদি ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেল স্টেপ বাই স্টেপ মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায়

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় তুলনামূলক অনেক কম রয়েছে। এর মূল কারণ হলো ছোট ছোট কাজগুলোকে অবজ্ঞা অবহেলা করা, যার ফলে তারা বর্তমানে পিছিয়ে আছে। উন্নত দেশ গুলিতে তাকালেই দেখা যাবে যে প্রায় প্রতিটি ছাত্রই নিজের হাত খরচ চালানোর জন্য নিজে কিছু না কিছু কাজ করে ইনকাম করে থাকে।
তবে আমাদের দেশে সবাই যে এমন তা নয়! বর্তমানে আমাদের দেশেও ছাত্র জীবনে আয় করে নিজের হাত খরচ চালাচ্ছে অনেকেই। তবে প্রশ্ন আসতে পারে তারা করে কি? তাই আপনাদের আজকে জানাতে চলেছি যে আপনি কিছু মাধ্যম অবলম্বন করে ছাত্র জীবনেই আপনি আপনার হাত খরচ বহন করতে পারবেন। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে।
  • টিউশন করাঃ আমরা সাধারণত জানি যে ছাত্র জীবনের প্রধান যে ইনকাম রয়েছে তা হল টিউশন করা। টিউশনি পোড়ানোর মাধ্যমে আপনি আপনার আর্থিক স্বচ্ছলতা অন্যথায় আপনি আরো টিউশন করার পাশাপাশি আপনার জ্ঞান আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই যে সকল ব্যক্তি পড়াশোনা অনেক পছন্দ করে বা পড়াশোনা মধ্যেই থাকতে চান? তারা টিউশন করে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন পাশাপাশি আপনার আর্থিক সচ্ছলতা সমস্যাও চলে যাবে।
  • পার্ট টাইম জবঃ শুনতেই খুব পরিচিত মনে হচ্ছে আপনার তাই না? হ্যাঁ ছাত্র হিসাবে আপনি পার্ট টাইম জব করে আপনার আর্থিক সচ্ছলতা দূর করতে পারেন। আপনার প্রশ্ন হতে পারে যে পার্টটাইম জব করব কিন্তু কাজ কি হতে পারে? পার্টটাইম জবের তালিকা আপনি চাইলে ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন। বিভিন্ন জব পোর্টাল সাইটগুলো প্রায় পার্ট টাইম জবের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। পার্টটাইম জবের জন্য জনপ্রিয় জব পোর্টাল সাইড হল বিডিজব ডট কম সেখানে যেয়ে আপনি বিস্তারিত জানতে পারেন যে এখন বর্তমানে কোন জবের পার্ট টাইম অপজারেটি রয়েছে।
  • শো রুমের সেলস ম্যানঃ ইউনিভার্সিটি পর্যায় যারা মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করছেন, তাদের জন্য সবচাইতে বেটার কাজ হল বিভিন্ন শোরুম গুলিতে সেলফ ম্যানের কাজ করা। এতে একাডেমীর সঙ্গে কাজের মিল পাওয়া যাবে এতে করে কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে। এছাড়াও আপনি শুধু শোরুম গুলিতেই নয় কেননা প্রতিটি কোম্পানিরই সেলফ ম্যানের হওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। যা পরবর্তী পর্যায়ে আপনি আপনার নিজের সিভিতে এড করতে পারেন। দক্ষতা মূলক কাজের মাধ্যমে আপনি যদি আয় করতে চান? তাহলে সেলফ ম্যানের কাজটি অনেক ভালো।
  • ব্লগিং বা facebook বা ইউটিউবিং করে টাকা আয়ঃ তরুণদের জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় আয় করার সাইট হল ব্লগিং করা। ইউটিউব ফেসবুক এবং কি গুগল সহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে কনটেন্ট তৈরি করে খুব সহজেই আয় করা সম্ভব। এর মধ্যে কনটেন্ট রাইটিং করে শিক্ষার্থীরা সবচাইতে বেশি ইনকাম করছেন। বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থী তাদের জানা বিষয় থেকে খুব সহজে লিখে ফেলছেন আর্টিকেল। আর সেই আর্টিকেলের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই আয় করছেন।
  • ফটোগ্রাফিক করে আয়ঃ আপনার অনেক দামি ক্যামেরা আছে আপনি ছবি তোলাকে খুব পছন্দ করেন। তবে হতে পারে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ইনকাম। অনলাইনের এমন কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি ফটোগ্রাফিক ছবি বিক্রয় করতে পারবেন যার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনার ছবি যদি কেউ কিনে থাকে তাহলে ওই প্লাটফর্মের ছবির শতাংশ হারে আপনাকে টাকা দেওয়া হবে।

ব্লগিং করে টাকা আয়

ব্লগিং করা হলো google একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা। যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে মাসে ৫০০$ ডলার থেকে ৬০০$ ডলার পর্যন্ত আপনি খুব সহজে ইনকাম করতে পারেন আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে। আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল তৈরি করে গুগল থেকে টাকা আয় করার একটি মাধ্যম হলো ব্লগিং করা। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্লগিং করে আয় করার মাধ্যম সম্পর্কে।

ব্লগিং করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আর্টিকেল লিখে আয় করার মাধ্যম গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
  • ওয়েবসাইট তৈরি করাঃ ব্লগিং করতে চাইলে আপনাকে সর্বপ্রথম একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। ওয়েবসাইট তৈরি করতে আপনি হোস্টিংগার্ড বা নেমসিপ থেকে আপনি একটি ডমেন কিনে নিতে হবে, এবং আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
  • টপিক নির্বাচন করাঃ আপনি কোন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন। ওই টপিকটা আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। এমন টপিক আপনি নির্বাচন করবেন যে বিষয় লিখতে আপনার অনেক সুবিধা হবে বা আপনার অনেক মজা লাগবে সেই টপিক নিয়ে লেখালেখি করুন।
  • ছার্জ ভলিউম দেখে লেখালেখি করাঃ ধরেন আপনি এমন একটি টপিক নিয়ে এখন লেখালেখি করছেন, বর্তমানে ওই টপিক কেউ পড়ে না তাহলে ওই টপিক লিখে আপনার কোন লাভ হলো না। তাই এমন টপিক খুঁজে বের করুন যে বিষয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ পড়তে আগ্রহী প্রকাশ করে এমন টপিক খুঁজে বের করুন এবং সেই বিষয়ের উপর একটি আর্টিকেল তৈরি করুন।
  • SEO কনটেন্ট তৈরি করাঃ SEO নিয়ম কানুন মেনে আপনি যদি একটি কন্টেন্ট তৈরি করেন, তাহলে খুব সহজেই আপনার আর্টিকেল বা কনটেন্টটি google এর প্রথম পেজে থাকবে। তাই পুরোপুরি SEO করে একটি কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।
  • এড ওয়েবসাইটে দেখানোর মাধ্যমে আয়ঃ যখন দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর আসছে এবং আপনার কনটেন্ট গুলো তারা পড়ছে তখন আপনি গুগলে এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের ভিতর বিভিন্ন ধরনের এড দেখাবে যার ফলে আপনি আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম

প্রিয় পাঠক, আপনাদের অনেকেরই মনে হয়তোবা প্রশ্ন আছে যে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়? এই প্রশ্নের একটি উত্তর রয়েছে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কত টাকা আয় করতে পারবেন এর প্রথম মাধ্যম হলো আপনি কতটুকু সময় দিতে পারছেন তার উপরে। অনলাইন এমন একটি জায়গা যেখানে সারা বিশ্বের মানুষ অনলাইনের মধ্যে জড়িত রয়েছে।

আপনি কোন দেশে বসবাস করছেন সেটি দেখার বিষয় না! বিষয় হচ্ছে আপনি কতটুকু দক্ষতার সাথে ফ্রীলান্সিংয়ের কাজ করতে পারছেন সেটি দেখার বিষয়। কেননা ফিনান্সিং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি যত বেশি সময় ব্যয় করতে পারবেন বিনিময়ে আপনি তত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বাংলাদেশের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান হল অর্ডিনারি আইটি ডট কম যেখানে আপনি ব্লগিং করে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি টাকা আয় করতে চান? তাহলে আপনার জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট হবে অর্ডিনারি আইটি যেখানে আপনি কোর্স করার মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে মানিব্যাগ গ্যারান্টি সহকারে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে টাকা ইনকাম

২০২০ সালের দিকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সংকট ছিল প্রায় ৪ কোটির মতো। ধারণা করা যায় ২০৩০ সালের মধ্যে এর সংকট হবে ৮ কোটির অধিক। এই তথ্যগুলোর উপর নির্ভর করে বোঝা যাচ্ছে যে, একজন ওয়েব ডেভেলপমেন্টের চাহিদা কত। একজন স্কিল ডেভেলপমেন্ট হতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনাকে Front-End and Back-End খুব ভালোভাবে শিখতে হবে।

HTML AND CSS AND JAVA স্কেট এগুলোর ব্যবহার যদি আপনি জানেন তবে আপনি খুব সহজেই আপনি রিয়েল টাইম ওয়েব এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন। মনে রাখবেন সংকট কাজে নয় সংকট হচ্ছে একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপমেন্টের। বাংলাদেশে আপনি যদি কোন কোম্পানির হয়ে ডেভেলপমেন্টের কাজ করেন তাহলে আপনার বেতন হবে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

কিন্তু আপনি যদি কোন উন্নত দেশের হয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করেন তবে আপনার বেতন হবে ২,০০০$ ডলার থেকে ৪,০০০$ ডলার পর্যন্ত। এছাড়া আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে প্রতি মাসে আপনি ১০,০০০$ হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়া আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগিং করেন তবে আপনার প্রতি মাসে ৫০$ ডলার থেকে ২০০$ পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। তাই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের হাত ধরে ইন্টারনেটের এই যাত্রা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে ঢুকে পড়ুন আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জগতে আর তৈরি করে নিন আপনার ক্যারিয়ার।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে টাকা আয়

যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট যেমন ক্যালকুলেটর, মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি। অ্যাড আমরা ইউটিউবে দেখতে পাই এবং বলে এই প্রোডাক্টটি আপনি যদি কিনতে চান তবে এই ভিডিওর ডিস্ক্রিপশন দেওয়া লিংকে চাপ দিয়ে এই প্রোডাক্টটি আপনি কিনতে পারেন। ফেসবুকে কিংবা ইউটিউবে আমরা ভিডিও দেখার সময় এগুলো অ্যাড আমরা দেখতে পারি সাধারণত এটি হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।

এই প্রোডাক্টটি কেনার ফলে ইউটিউব কিংবা ফেসবুক কমিশন পায় প্রোডাক্টের মূল্য একই থাকে তবে ইউটিউব এবং ফেসবুক তারা প্রোডাক্টের কোম্পানির থেকে কমিশন পায় এটি হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা সম্ভব।অনলাইনের মাধ্যমে আপনি ৩ ভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন যেমন।
  • প্রতি সেল থেকে
  • প্রতি ক্লিক থেকে
  • প্রতিল লিড থেকে
প্রতি সেল থেকে আয় করার উপায়ঃ যখন আপনার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি কোন প্রোডাক্ট কিনবে ওই কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল হওয়ার ফলে আপনি একটি নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন। এই কমিশন আপনি তখনই পাবেন যখনই আপনি ওই প্রোডাক্টটি সেল করতে পারবেন। কোন ব্যক্তি শুধু প্রোডাক্ট দেখল কিন্তু কিনলো না এতে করে আপনি কোন কমিশন পাবেন না আর যদি কিনে তাহলে আপনি ওই কোম্পানি থেকে কমিশন পাবেন এটি হলো অনলাইনের মাধ্যমে সেল থেকে ইনকাম।
প্রতি কিলিক থেকে টাকা আয় করার উপায়ঃ ক্লিক থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যম কেউ প্রোডাক্ট কেনুক আর নাই কিনুক আপনার দেওয়া লিংকে ক্লিক করে কোম্পানির ওয়েব সাইটে ভিজিট করে। তাহলেই আপনি কোম্পানি থেকে একটি নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন। কিন্তু প্রোডাক্ট না কিনে শুধু ক্লিক করলে অত কমিশন আপনি পাবেন না ধরেন প্রতি ক্লিকে ২৫ সেন্ট করে পাবেন তবে এইভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলেও ভালো ইনকাম হয়।

প্রতিলি লিডে থেকে আয় করার উপায়ঃ আপনার দেওয়া লিংকে কোন ব্যক্তি যদি প্রবেশ করে এবং কোম্পানির দোয়া ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এবং কোম্পানির দোয়া প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী প্রকাশ করে, তাহলেই আপনি কোম্পানি থেকে নির্দিষ্ট একটি অ্যামাউন্ট পাবেন। এই ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট কিনার ব্যাপারটি জরুরী নয় শুধু আগ্রহ প্রকাশ করলেই কোম্পানি থেকে আপনি কমিশন পাবেন।

ই-কমার্স থেকে টাকা আয়

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মূল্য অনেক বেশি হয়ে থাকে। তবে ই-কমার্স ওয়েবসাইট দাঁড় করানোর জন্য একটু বেশি খরচ হয়ে থাকে। যদি আপনি একটু কষ্ট করে ই-কমার্স ব্যবসার দাড় করাতে পারেন তাহলে আপনার মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনারা যদি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইন থেকে আয় করতে চান? তাহলে আপনার জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবসা করা পারফেক্ট হবে যদি আপনি একটু খরচ করতে পারেন।

তবে ই-কমার্স ওয়েবসাইট সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণ আপনার যদি জ্ঞান না থেকে থাকে তাহলে আপনি লসে পড়ে যেতে পারেন। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে অন্য সব ওয়েবসাইটে থেকে বেশি আয় করা সম্ভব। কেননা একটি ওয়েবসাইট থেকে যত ভাবে ইনকাম করা যায় সবকিছুই ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আয় করার সকল মাধ্যম উল্লেখ করা রয়েছে। তবে প্রথমেই বলেছি আপনাকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে অনেক খরচ পড়বে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট মার্কেটিং করে দাঁড় করাতে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে যে মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন তা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
  • প্রোডাক্ট ফেল করে আয়ঃ ই-কমার্স ওয়েবসাইটে শার্ট-প্যান্ট, মোবাইল, ঘড়ি, এবং খাবারের বিভিন্ন প্রোডাক্ট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ইত্যাদি ইত্যাদি জিনিসপত্র সেল করার মাধ্যমে ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারেন।
  • গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয়ঃ গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে আপনি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারেন।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়ঃ যে কোন কোম্পানির পণ্য আপনি যদি মার্কেটিং করে বিক্রয় করতে পারেন এবং কি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কোন কোম্পানির লিংক দিয়ে আপনি যদি মার্কেটিং করে প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন তাহলে কোম্পানি থেকে আপনি কমিশন পাবেন এই ভাবেও আপনি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারেন।
  • কোর্স করানোর মাধ্যমে আয়ঃ ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কোর্স করে আয় করতে পারেন যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স, ওয়েব ডিজাইন কোর্স, গ্রাফি ডিজাইন কোর্স, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরনের কোর্সের মার্কেটিং এর মাধ্যমে ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারেন।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাধ্যম রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারেন। তাই যেগুলো টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এগুলো টপিকের মধ্যে আপনি যেই বিষয় নিয়ে মার্কেটিং করতে আগ্রহী প্রকাশ করেন সে বিষয়ে আপনি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই আয় করতে পারেন।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় গ্রাহক, আশা করি এই আর্টিকেল থেকে ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় এবং ব্লগিং করে আয় করার মাধ্যম সম্পর্কেই বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। এরপরেও যদি আপনাদের কোন মতামত জিজ্ঞাসা থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলের নিচে দেওয়া কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করবেন ধন্যবাদ।

আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার দিয়ে পৌঁছে দিবেন। এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url