টাকা ছাড়া ব্যবসা করার ৭টি উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

বর্তমানে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি ধরনের ব্যবসা করার প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছেন। ব্যবসা শুরুর আগে আমাদের যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত সেগুলো হল যে ব্যবসায়ী করুন না কেন সে ব্যবসাটি যেন হালাল পথে হয়। তাই আজকের এই পোস্টে আলোচনা করতে চলেছি টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে 

এবং বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি, কিভাবে একটা ব্যবসা শুরু করা যায় সকল বিষয়বস্তু নিয়ে এই পোস্টের মধ্যে আলোচনা করেছি। আপনি যদি আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে ও টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন চলুন শুরু করা যাক।

আপনার কাছে যদি কোন টাকা না থাকে কিন্তু আপনি চাচ্ছেন একটি ব্যবসা করবেন, কিন্তু ভেবে পাচ্ছেন না কিভাবে ব্যবসা শুরু করবেন। তাহলে চিন্তা নেই আপনার জন্য পোস্টটি। এ পোস্টের মাধ্যমে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমি এ পোষ্টের মাধ্যমে যে ব্যবসা করার আইডিয়া বা উপায় গুলো দিব যেগুলো শুরু করতে আপনাকে এক টাকাও খরচ করতে হবে না। 

আপনি চাইলে আজকে থেকেই এই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে টাকা লাগবে না পুঁজি লাগবেনা তাহলে ব্যবসাটা আসলে কি? সেটাই এখন বলতে চলেছি তাহলে জেনে নিন টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় গুলো। ব্যবসা শুরুর আগে দুটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে, একটি হলো ব্যবসা করার টেকনিক আর দ্বিতীয়টি হলো পরিশ্রম, মন মানসিকতা কারণ ব্যবসা করতে 

গেলে অনেক ধৈর্য অনেক টেকনিক এবং প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়, তাছাড়া সফলতা আসে না। যে যত বেশি পরিশ্রম করতে পারবে সে তত ব্যবসায় সাফলতা নিয়ে আসতে পারবে।

টাকা ছাড়া ব্যবসা করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দরকার হবে। এই জিনিসগুলো বা উপকরণগুলো ব্যবহার করে টাকা ছাড়া খুব সহজেই ব্যবসায় থেকে আয় করা যায়। যে যে জিনিসগুলো প্রয়োজন তা নিম্নরূপ-

বর্তমানে আমরা সকলেই স্মার্টফোন ব্যবহার করি, তাই সকলের কাছেই স্মার্টফোন থাকে। আর ফেসবুক আইডি তো সকলেই ব্যবহার করে থাকি। টাকা ছাড়া ব্যবসা করার জন্য মূলত ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে আয় করার উপায় গুলো দেখাতে চলেছি। আর একটা বিষয় সেটা হল ফেসবুক পেজ সকলেই আমরা ব্যবহার করি কিন্তু ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয় করতে হলে পেজকে বুস্ট করে সকলের কাছে প্রচার করতে হয়। 

তাই যেহেতু আমরা টাকা ছাড়া বা পুঁজি ছাড়া ব্যবসা করার আইডিয়া দিতে চলেছি, তাই ফেসবুক কে বুস্ট না করে, কিভাবে টাকা ছাড়া ব্যবসা করা যায় সে ধাপগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

ধাপ 1। উদ্যোগতা হও: এ ধাপে প্রথমেই আপনাকে ফেসবুকে গিয়ে কিছু গ্রুপ খুঁজতে হবে। এজন্য প্রথমেই ফেসবুকে সার্চবারে উদ্যোগতা লিখে সার্চ করলে অনেকগুলো গ্রুপ আসবে। সেগুলোতে জয়েন হতে হবে। এ ধরনের ফেসবুকে অনেক গ্রুপ রয়েছে যেগুলোতে অনেক মেম্বার রয়েছে। এমনও গ্রুপ পেতে পারেন যেগুলোতে ওয়ান মিলিয়ন টু মিলিয়ন ৫০০ কে মেম্বার রয়েছে সুতরাং প্রথমে এই গ্রুপগুলোতে জয়েন হতে হবে।

ধাপ 2। প্রোডাক্ট নির্বাচন: এই গ্রুপগুলোতে জয়েন হওয়ার পর আপনাকে যে কাজ করতে হবে, সেটি হল গ্রুপগুলোর ভিতর থেকে দেখবেন কি ধরনের প্রোডাক্ট গ্রুপগুলোতে দেওয়া আছে। এর ভিতর থেকে দুই থেকে পাঁচটি প্রোডাক্ট পছন্দ করবেন একটি বিষয় মাথায় রাখবেন সেটি হল গ্রুপগুলোর ভিতর থেকে সবথেকে চাহিদা বেশি সেই সকল প্রোডাক্টগুলো খাতায় লিখে রাখবেন।

ধাপ 3। পাইকারি বাজার: যে প্রোডাক্টগুলো খাতায় লিখে রাখছেন এ প্রোডাক্টগুলো কোথায় পাওয়া যাই সেটি খুঁজে বের করতে হবে। মনে করুন আপনি কাপড়ের বিজনেস করবেন সে ক্ষেত্রে এটার সোর্স কোথায় এটা খুঁজে বের করতে হবে। ধরুন ভালো কাপড়ের পাইকারি বাজার যেখানে সেটি খুঁজে বের করেতে হবে। আবার আপনি মনে করেন, ইসলামিক আইটেম নিয়ে কাজ করবেন যেমন টুপি, আতর এগুলো কোথায় পাওয়া যায় সেগুলো খুঁজে বের করে খাতায় নোট ডাউন করবেন।

ধাপ 4। ফটোগ্রাফি: এভাবে যে প্রোডাক্টগুলো নিয়ে কাজ করুন সেই প্রোডাক্টগুলোর সুন্দরভাবে ছবি তুলতে হবে। ভালোভাবে ছবি না তুললে সেগুলো মার্কেটিং করা যায় না। সেজন্য সেই প্রোডাক্টগুলোর অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলবেন এবং সেই ছবিগুলো সুন্দরভাবে এডিটিং করে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করবেন। যেহেতু সেগুলো ট্রেন্ডিং টপিক নিয়েছেন তাই পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমার আপনাকে নক করা শুরু করে দিবে।

ধাপ 5। আধুনিক টেকনিক: এরপর হচ্ছে যে প্রোডাক্ট গুলো বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করছেন বা দিচ্ছেন সে প্রোডাক্ট গুলো দেখে কাস্টমার আপনাকে নক দেওয়া শুরু করবে। সব থেকে জনপ্রিয় আধুনিক মাধ্যম হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এই গ্রুপগুলো ব্যবহার করে আপনার টপিক রিলেটেড পোস্টগুলো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গুলোতে সেন্ড করলে প্রোডাক্টের তাড়াতাড়ি রেসপন্স পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন মেসেঞ্জার গ্রুপ টিকটক লিংকদিন এ সকল কিছুতে পোস্টগুলো শেয়ার করবেন তাহলে খুব দ্রুত রেসপন্স পাওয়া যায়।

ধাপ 6। মূলধন ব্যবস্থা: এরপর আপনাকে যে কাজ করতে হবে সেটি হল পাইকারি সোর্স বাজার থেকে প্রোডাক্টগুলো নিয়ে আসতে হবে। এর জন্য মূলধন বা টাকা প্রয়োজন হবে। এখন কথা হল টাকা কোথায় পাবেন কারণ টাকা ছাড়া ব্যবসার করার উপায় বলছি আমি। সেজন্য এখানে কিছু টাকা প্রথমে ইনভেস্ট করতে হবে এর জন্য আপনি আপনার বন্ধু ভাই বোন অথবা মা-বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা 

নিয়ে দু একটা প্রোডাক্ট কিনে সেটি সেল করার পর লাভ থেকে টাকাটা ফেরত দিয়ে দিন। এরপর থেকে লাভের টাকা দিয়ে আপনি প্রোডাক্ট কিনে ব্যবসায় ইনভেস্ট করে মূলধন বাড়তে থাকবে।

ধাপ 7। পরিশ্রম: এই সকল কাজগুলো এর সমন্বয় হচ্ছে পরিশ্রম। সেক্ষেত্রে আলাদা যে পরিশ্রম করতে হবে সেটা বুঝে মেসেঞ্জার গ্রুপে এড হওয়া ফেসবুক গ্রুপে এড হওয়া প্রোডাক্ট চয়েস করা প্রোডাক্টটি ছবি তোলা এবং সেটি পোস্ট করা। সেখান থেকে অর্ডার নেওয়া এইগুলোই মূলত পরিশ্রম করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। 

সুতরাং এই আধুনিক টেকনিক ব্যবহার করে আপনি ভাল টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে মূলধনের প্রয়োজন হয় কিন্তু অল্প দিয়ে শুরু করলে আপনি সফল ব্যবসায়ী হতে পারবেন।

উপরে আমি কিছু ব্যবসা করার আইডিয়া উল্লেখ করেছি। আপনি যদি একজন ছাত্র-ছাত্রী বা বেকার হন তাহলে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় আমার দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী করলে আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে পারবেন। এর জন্য কিছু পরিশ্রম তো অবশ্যই করতে হবে। কারণ পরিশ্রম না করলে সফল হওয়া যায় না এটা যে কোন ক্ষেত্রেই। 

অনেক ছাত্র-ছাত্রী বেকার আছে তারা অনেক অজুহাত দেই আমার টাকা নাই এই নাই আর নাই কি করে ব্যবসা করব। এগুলো অজুহাত না দিয়ে আমার দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী ব্যবসা শুরু করেন অবশ্যই সফল হবেন ।আর আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে ব্যবসা করার আইডিয়া বা টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন আরও জানবেন বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি।

বর্তমানে যেকোনো ব্যবসা করলেই লাভজনক হওয়া যায়। সে ব্যবসা ছোট হতে পারে অথবা বড় হতে পারে। কিন্তু ব্যবসার মধ্যে সততা রাখলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায়। তাও অনেকেই জানতে চাই বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি? এক্ষেত্রে আমার মতে সবথেকে লাভজনক ব্যবসা হল-ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবসা, মেডিসিন ফার্মেসি, কাপড়ের ব্যবসা, পুরাতন ফার্নিচার ব্যবসা, খাবার হোটেলের ব্যবসা, পুরাতন কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করা। 

এই ব্যবসা গুলো করলে বেশি লাভবান হওয়া যায়। তাই শুরু করে দিন এই ধরনের ব্যবসা গুলো নিয়ে আর টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে চাইলে উপরে আমি আলোচনা করেছি সেই উপায়গুলো অবলম্বন করে যেকোনো ধরনের ব্যবসা করতে পারেন সেটিও সবথেকে কম পুঁজিতে ব্যবসা করার মত উপায়।

কিভাবে একটা ব্যবসা শুরু করা যায় এ বিষয়টি অনেকেই মাথায় চিন্তা করে। যে কি করে ব্যবসা শুরু করব টাকা কোথায় পাবো ব্যবসার জন্য পণ্য কোথায় পাবো অনেক কিছু চিন্তা-ভাবনা করে ব্যবসা শুরুর আগে। এসব চিন্তা ভাবনা সকলেরই মাথাত আসে, কারণ একটাই ব্যবসা করা সহজ কিছু না। কারণ ব্যবসা করতে গেলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়, ধৈর্য ধরতে হয়। 

দেন তারপরেই সফলতা আসে, তাছাড়া সফলতা আসে না। একটি ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু পরিকল্পনা দরকার হয়। যেমন আপনি কি প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন, আপনার ব্যবসায়ী কাঠামো কি হবে, মার্কেট বিবেচনা করতে হয়, কিভাবে পণ্য নিয়ে আসবেন, কোন পণ্য বিক্রি করলে বেশি বিক্রি হবে এ সকল চিন্তাভাবনা করে একটা ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরি করতে হয়। 

উপরে আমি আলোচনা করেছি টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে। উপরে দেখানো নিয়ম অনুযায়ী যে কোন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাই ব্যবসা শুরু করার আগে সঠিকভাবে চিন্তা-ভাবনা করে ব্যবসা শুরু করা উচিত।

এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে। যে কোন কিছু শুরু করার আগে চিন্তা ভাবনা করে শুরু করা উচিত। কারণ ব্যবসা করতে গেলে অনেক পরিশ্রম করতে হয় ও ধৈর্য ধরতে হয়। সেজন্য যে ধরনেরই ব্যবসা করুন না কেন অনেক চিন্তা ভাবনা করে ব্যবসা শুরু করা উচিত। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। 

আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোস্টটি অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করবেন এবং ব্যবসা সম্পর্কে কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমাদেরকে, ধন্যবাদ।